১০ সারাংশ / ভাবসম্প্রসারণ
(ক) সারমর্ম লেখো:
ফুটিয়াছে সরবরে কমল নিকর, ধরিয়াছে কী আশ্চর্য শোভা মনোহর। গুণ গুণ রবে এরা মধু পান করে, কিন্তু এরা এদিন হারাইবে যখন, আসিবে কি অলি আর করিতে গুঞ্জন। আশায় বঞ্চিত হলে আসিবে না আর সুসময়ে অনেকেই বন্ধু বটে হয়, অসময়ে হায় হায় কেউ কারো নয়। কেবল ঈশ্বর বিশ্বপতি যিনি, সকল সময়ের বন্ধু সকলের তিনি।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ করো:
বিদ্যার সাধনা শিষ্যকে নিজে অর্জন করতে হয়। গুরু উত্তরসাধক মাত্র।
(ক)
সারমর্ম: বাগানে ফুল ফুটলে মৌমাছির সমাগম ঘটে। মধু আহরণ শেষে এরা চলেও যায়। তেমনি মানবজীবনে সুসময়ে অনেক বন্ধু, সমর্থক, মোসাহেব জুটলেও দুঃসময়ে কাউকে পাশে পাওয়া যায় না।
অথবা,
(খ)
মূলভাব: জ্ঞান অর্জনের দুরূহ পথে শিক্ষকরা আলোকবর্তিকার ভূমিকা পালন করেন। তাঁরা পদপ্রদর্শক। জ্ঞান। অর্জন করতে হয় নিজেকেই। ব্যক্তির নিজস্ব আগ্রহ ও নিরলস পরিশ্রম দিয়েই বিদ্যা-সাধনায় সিদ্ধি লাভ করা যায়।
সম্প্রসারিত ভাব: বিদ্যা সাধনা তথা শিক্ষা লাভের জন্য আমরা স্কুল,
কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে থাকি। শিক্ষার এই ধরন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নামে পরিচিত। প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষায় গুরু তথা শিক্ষককের ভূমিকা অনস্বীকার্য ও প্রশ্নাতীত। প্রকৃত অর্থে, শিক্ষকরাই আমাদের জীবন বিনির্মাণ ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকেন। গুরুজন তথা শিক্ষকদের প্রর্দশিত পথেই আমরা জ্ঞানরাজ্যে অবাধ প্রবেশাধিকার লাভ করি। বিদ্যার রাজ্যে আমাদের স্বচ্ছন্দ বিচরণের পেছনে শিক্ষকদের ভূমিকাই মুখ্য। বলা হয়ে থাকে মা-বাবার পরেই শিশুর ভবিষ্যৎ জীবন বিনির্মাণে শিক্ষকের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি।
তবে বিদ্যা সাধনা বিদ্যার্থীর একান্তই নিজস্ব বিষয়। শিক্ষকদের ভূমিকার
কথা স্বীকার করেও এ কথা বললে অত্যুক্তি কিংবা অতিরঞ্জন হবে না যে, নিজ চেষ্টা ও পরিশ্রম ছাড়া বিদ্যা অর্জন অসম্ভব। ভালো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি এবং শ্রেষ্ঠ গুরুর আশীর্বাদ ধন্য হলেই বিদ্যা অর্জন কখনো সম্ভবপর হয়ে ওঠে না। এ জন্য চাই বিদ্যার্থীর নিজস্ব একাগ্রতা ও আগ্রহ। থাকা চাই পরিশ্রম করার মানসিকতা প্রকৃত অর্থে, নিজস্ব চেষ্টা ছাড়া কখনই বিদ্যা অর্জন করা যায় না। এমনও অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, ভালো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েও কিংবা দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠে পড়েও অনেকেই বিদ্যার রাজ্যে সিদ্ধি লাভ করতে পারে না। এক্ষেত্রে ওই শিক্ষার্থীর বিদ্যা অর্জনে অনীহা ও ঔদাসীন্যই দায়ী থাকে।
আমরা যদি পৃথিবীর জ্ঞানী-গুণী ও মহাজনদের জীবন ইতিহাসের দিকে তাকাই, তবে দেখতে পাবো, তারা নিজস্ব চেষ্টা ও সাধনার মধ্য দিয়েই বিদ্যা অর্জন করেছেন। পৃথিবীর ইতিহাসে মহামানব হিসেবে তারা নিজের স্থান পাকা করে নিয়েছেন। আলবার্ট আইনস্টাইন কখনোই নিজেকে ভালো ছাত্র হিসেবে তুলে ধরতে পারেননি। নিজ সাধনা ও ঐকান্তিক চেষ্টার বলে তিনি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী হিসেবে পরিচিতি মাইকেল ফ্যারাডে সামান্য বই বাঁধাইকারী থেকে বিদ্যুৎচালিত বিভিন্ন উৎপাদনযন্ত্র আবিষ্কারক হিসেবে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেন। ইতিহাসের দিকে তাকালে এ রকম ভূরি ভূরি দৃষ্টান্ত লক্ষ্য করা যাবে।
আমরা জানি সুশিক্ষিত ব্যক্তি মাত্রই স্বশিক্ষিত। এই স্বশিক্ষাই বিদ্যা সাধনার মূল কথা। ভালো প্রতিষ্ঠান ও শ্রেষ্ঠ গুরু আমাদের জন্য পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করে থাকেন। এক্ষেত্রে বিদ্যা নিজেকেই অর্জন করে নিতে হয়। গুরুর ঋণ স্বীকার করে নিজের সাধনার মধ্য দিয়ে প্রকৃত বিদ্যা অর্জন করতে হয়। নিজস্ব সাধনা ও প্রচেষ্টা না থাকলে শ্রেষ্ঠ গুরুর সান্নিধ্যও কোনো কাজে আসে না। প্রকৃত বিদ্যা অর্জন অধরাই থেকে যায়।
মন্তব্য: নিজস্ব মেধা ও মননের চর্চার মধ্য দিয়ে আমরা প্রকৃত বিদ্যা অর্জন করতে পারব। নচেৎ শ্রেষ্ঠ গুরুর সান্নিধ্য অসার ও নিষ্ফল থেকে যাবে।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
(ক) সারাংশ লেখো:
মানুষের একটা বড়ো পরিচয় সে ভাবতে পারে। করতে পারে যেকোনো বিষয়ে চিন্তা। যে চিন্তা ও ভাব মানুষকে সাহায্য করে মানুষ হতে। পশুপাখিকে পশুপাখি হতে ভাবতে হয় না- পারেও না ওরা ভাবতে বা চিন্তা করতে। সে বালাই ওদের নেই। যেটুকু পারে তার পরিধি অত্যন্ত সংকীর্ণ- বাঁচা ও প্রজননের মধ্যে তা সীমিত। সভ্য- অসভ্যের পার্থক্যও এ ধরনের। যারা যত বেশি চিন্তাশীল, সভ্যতার পথে তারাই তত বেশি অগ্রসর। আর চিন্তার ক্ষেত্রে যারা পেছনে পড়ে - আছে, সভ্যতারও পেছনের সারিতেই তাদের স্থান।
অথবা,
(খ) ভাবসম্প্রসারণ করো: প্রাণ থাকলে প্রাণী হয় কিন্তু মন না থাকলে মানুষ হয় না।
(ক) সারমর্ম লেখ:
ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই- ছোটো সে তরী
আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি।
শ্রাবণ গগন ঘিরে
ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে,
শূন্য নদীর তীরে,
রহিনু পড়ি-
যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর: সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।
(ক) সারাংশ লেখঃ
বর্তমান সভ্যতায় দেখি, এক জায়গায় একদল মানুষ অন্ন উৎপাদনের চেষ্টায় নিজের সমস্ত শক্তি নিয়োগ করেছে, আর এক জায়গায় আর একদল মানুষ স্বতন্ত্র থেকে সেই অন্নে প্রাণধারণ করে। চাঁদের একপিঠে অন্ধকার, অন্যপিঠে আলো- এ সেই রকম। একদিকে দৈন্য মানুষকে পঙ্গু করে রেখেছে অন্যদিকে ধনের সন্ধান। ধনের অভিমান, ভোগ-বিলাস সাধনের প্রয়াসে মানুষ উন্মত্ত, অন্নের উৎপাদন হয় পল্লিতে, আর অর্থের সংগ্রহ চলে নগরে। অর্থ উপার্জনের সুযোগ ও উপকরণ যেখানেই কেন্দ্রীভূত, স্বভাবতই সেখানে আরাম, আরোগ্য, আমোদ ও শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়ে অপেক্ষাকৃত অল্পসংখ্যক লোককে ঐশ্বর্যের আশ্রয় দান করে। পল্লিতে সেই ভোগের উচ্ছিষ্ট যা- কিছু পৌঁছায় তা যৎকিঞ্চিৎ।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:
বিদ্যার সঙ্গে সম্পর্কহীন জীবন অন্ধ এবং জীবনের সঙ্গে সম্পর্কহীন বিদ্যা পঙ্গু।
(ক) সারমর্ম লেখো:
আমরা নূতন, আমরা কুঁড়ি, নিখিল বন-নন্দনে
ওষ্ঠে রাঙা হাসির রেখা, জীবন জাগে স্পন্দনে।
লক্ষ আশা অন্তরে, ঘুমিয়ে আছে মন্তরে,
ঘুমিয়ে আছে মুখের ভাষা পাপড়ি পাতার বন্ধনে।
সকল কাঁটা ধন্য করে ফুটব মোরা ফুটব গো,
প্রভাত-রবির সোনার আলো দু'হাত দিয়ে লুটব গো।
নিত্য নবীন গৌরবে, ছড়িয়ে দিব সৌরভে,
আকাশ পানে তুলব মাথা, সকল বাঁধন টুটব গো।
অথবা,
(খ) ভাবসম্প্রসারণ করো:
সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।