১০ সারাংশ / ভাবসম্প্রসারণ
ক) সারমর্ম লেখো:
বিরহ মিলন কত হাসি, অশ্রুময়
মানুষের সুখে দুঃখে গাঁথিয়া সঙ্গীত
যদি গো রচিতে পারি অমর আলয়।
তা যদি না পারি তবে বাঁচি যতকাল
তোমাদেরই মাঝখানে লভি যেন ঠাঁই
তোমরা তুলিবে বলে সকাল বিকাল
নব নব সঙ্গীতের কুসুম ফোটাই।
অথবা,
(খ) ভাবসম্প্রসারণ করো:
স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন।
ক)উত্তর:
সারমর্ম: মানুষের হাসি-কান্না, মান-অভিমান, আবেগ-ভালোবাসায় - পৃথিবী পরিপূর্ণ। এসব বিষয়কে আশ্রয় করে জীবনঘনিষ্ঠ সৃষ্টির মাধ্যমে সকলের কাছে আদৃত হওয়া সম্ভব।
খ)উত্তর:
মূলভাব:কোনো জাতির জীবনে স্বাধীনতার সূর্য ছিনিয়ে আনা কষ্টকর এবং তার চেয়েও কষ্টকর অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করা।
সম্প্রসারিত ভাব :স্বাধীনতা মানুষের অমূল্য সম্পদ। কোনো মানুষই পরাধীনরূপে বেঁচে থাকতে চায় না। তাই মানুষ স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন করে, যুদ্ধ করে। প্রসঙ্গত, স্বার্থমগ্ন শক্তিশালী বেনিয়া শাসকরা সহজে কোনো জাতিকে স্বাধীনতা দান করেনি; বহু কষ্টে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমেই তা ছিনিয়ে আনতে হয়েছে।
স্বাধীনতা অর্জন অত্যন্ত গৌরবের ব্যাপার। কিন্তু স্বাধীনতা অর্জিত হলেই সংগ্রাম শেষ হয়ে যায় না। তখন বিজয়ী জাতির সামনে আসে স্বাধীনতা রক্ষার সংগ্রাম। এ সংগ্রামে আরও ত্যাগ-তিতিক্ষা ও শক্তি-সামর্থ্যের প্রয়োজন হয়। কারণ স্বাধীন দেশের ভেতরে ও বাইরে শত্রুর অভাব নেই। এরা সুযোগের সন্ধানে সর্বক্ষণ তৎপর থাকে। যেকোনো সময় সুযোগ পেলে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের মাধ্যমে স্বাধীনতাকে ধ্বংস করে দিতে পারে।
সুতরাং, এসব প্রতিক্রিয়াশীল, মীরজাফরী চরিত্রের ধ্বংসাত্মক দৃষ্টি থেকে দেশকে রক্ষার জন্য শক্তি ও বুদ্ধির প্রয়োজন। কিন্তু তাদের পরাভূত করা কঠিন ব্যাপার। যথেষ্ট দায়িত্ব সচেতন, সদা সতর্ক, নিবেদিতপ্রাণ, দেশপ্রেমিক ও শক্তিশালী না হলে স্বাধীনতা রক্ষা করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।
সিদ্ধান্ত :
স্বাধীনতা রক্ষা করা স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে কঠিন ও দুরূহ কাজ। তাই স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করা উচিত।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
(ক) সারমর্ম লেখ:
ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই- ছোটো সে তরী
আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি।
শ্রাবণ গগন ঘিরে
ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে,
শূন্য নদীর তীরে,
রহিনু পড়ি-
যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর: সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।
(ক) সারাংশ লেখঃ
বর্তমান সভ্যতায় দেখি, এক জায়গায় একদল মানুষ অন্ন উৎপাদনের চেষ্টায় নিজের সমস্ত শক্তি নিয়োগ করেছে, আর এক জায়গায় আর একদল মানুষ স্বতন্ত্র থেকে সেই অন্নে প্রাণধারণ করে। চাঁদের একপিঠে অন্ধকার, অন্যপিঠে আলো- এ সেই রকম। একদিকে দৈন্য মানুষকে পঙ্গু করে রেখেছে অন্যদিকে ধনের সন্ধান। ধনের অভিমান, ভোগ-বিলাস সাধনের প্রয়াসে মানুষ উন্মত্ত, অন্নের উৎপাদন হয় পল্লিতে, আর অর্থের সংগ্রহ চলে নগরে। অর্থ উপার্জনের সুযোগ ও উপকরণ যেখানেই কেন্দ্রীভূত, স্বভাবতই সেখানে আরাম, আরোগ্য, আমোদ ও শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়ে অপেক্ষাকৃত অল্পসংখ্যক লোককে ঐশ্বর্যের আশ্রয় দান করে। পল্লিতে সেই ভোগের উচ্ছিষ্ট যা- কিছু পৌঁছায় তা যৎকিঞ্চিৎ।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:
বিদ্যার সঙ্গে সম্পর্কহীন জীবন অন্ধ এবং জীবনের সঙ্গে সম্পর্কহীন বিদ্যা পঙ্গু।
(ক) সারমর্ম লেখো:
সবারে বাসিব ভালো, করিব না আত্মপর ভেদ
সংসারে গড়িব এক নতুন সমাজ।
মানুষের সাথে কভু মানুষের রবে না বিচ্ছেদ-
সর্বত্র মৈত্রীর ভাব করিবে বিরাজ।
দেশে দেশে যুগে যুগে কত যুদ্ধ কত না সংঘাত
মানুষে মানুষে হলো কত হানাহানি।
এবার মোদের পুণ্যে সমুদিবে প্রেমের প্রভাত
সোল্লাসে গাহিবে সবে সৌহার্দ্যের বাণী।
অথবা,
(খ) ভাবসম্প্রসারণ করো:
স্বদেশের উপকারে নেই যার মন কে বলে মানুষ তারে? পশু সেই জন।
(ক) সারমর্ম লেখ:
অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ পৃথিবীতে আজ, যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশি আজ চোখে দ্যাখে তারা; প্রমানা যাদের হৃদয়ে কোন প্রেম নেই-প্রীতি নেই-করুণার আলোড়ন নেই পৃথিবী অচল আজ তাদের সুপরামর্শ ছাড়া যাদের গভীর আস্থা আছে আজো-মানুষের প্রতি এখনো যাদের কাছে স্বাভাবিক মনে হয় মহৎ সত্য বা রীতি, কিংবা শিল্প অথবা সাধনা শকুন ও শেয়ালের খাদ্য আজ তাদের হৃদয়।
অথবা, (খ) ভাবসম্প্রসারণ কর:
স্বার্থমগ্ন যে জন বিমুখ বৃহৎ জগত হতে সে কখনো শেখেনি বাঁচিতে।