১০ সারাংশ / ভাবসম্প্রসারণ
(ক) সারমর্ম লেখো: কোথায় স্বর্গ, কোথায় নরক, কে বলে তা বহুদূর? মানুষেরই মাঝে স্বর্গ-নরক, মানুষেতে সুরাসুর। রিপুর তাড়নে যখনি মোদের বিবেক পায় গো লয়, আত্মগ্লানির নরক অনলে তখনই পুড়িতে হয়। প্রীতি ও প্রেমের পুণ্য বাঁধনে যবে মিলি পরস্পরে, স্বর্গ আসিয়া দাঁড়ায় তখন আমাদেরই কুঁড়েঘরে।
অথবা, (খ) ভাব-সম্প্রসারণ করো: পথ পথিকের সৃষ্টি করে না, পথিকই পথের সৃষ্টি করে।
ক) উত্তরঃ পৃথিবীতেই মানুষের মধ্যে স্বর্গ ও নরকের অবস্থান। প্রীতি ও প্রেমেই স্বগীয় সুখ; হিংসা ও গ্লানিই দেয় নরক-যন্ত্রণা।
খ) উত্তরঃ
মূলভাব: অনুসন্ধানী ও সৃষ্টিশীল মানুষ নিজের পথ নিজেই সৃষ্টি করে। পথের নিজস্ব কোনো সৃষ্টির ক্ষমতা. নেই। মানুষ পথিক হয়ে নিজের প্রয়োজনে নিত্যনতুন পথের সৃষ্টি করে সভ্যতার উৎকর্ষ সাধন করে থাকে।
সম্প্রসারিত ভাব: পথিক পৃথিবীর পথে পথে ভ্রমণকারী জীবনের রথের মতো। সে গতির প্রতীক। পথিকের পদচিহ্নে অঙ্কিত হয় পথরেখা। যে মানুষ প্রথম পথ সৃষ্টি করে মানুষকে মানুষের সাথে মিলিয়ে দেন- সেই তো যথার্থ পথিক। সে পথ বিস্তৃত হচ্ছে, আরো হবে, মানবসমাজকে আরো বৃহৎ করবে। পথ কখনো কোনো পথিকের সৃষ্টি করতে পারেনি, পারবেও না। মানুষের মুক্তির জন্য যে সব মহাপুরুষের পৃথিবীতে আগমন ঘটেছে, তাঁরাই যথার্থভাবে 'রসতীর্থ পথের পথিক'। তাঁদের পথনির্দেশ প্রতিটি মানুষের আত্মমুক্তির ক্রমিক পরিণাম। তাঁদের প্রদর্শিত পথে চলে প্রত্যেক মানুষ স্বমহিমায় ভাস্বর হয়ে উঠতে পারে। বিশ্বের নানা ধর্মের নানা সম্প্রদায়ের মহাজ্ঞানী মহাজনের পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমরা যদি তাঁদের প্রদর্শিত পথে চলতে পারি তাহলে আমরাও বরণীয় ও স্মরণীয় হয়ে থাকতে পারব। শুধু তা-ই নয় ভবিষ্যতে আরও অনেক যুগস্রষ্টা আসবেন যাঁরা মানবকল্যাণের প্রয়োজনে আরো নতুন নতুন পথ সৃষ্টি করবেন। উক্তিটি এ রূপক তাৎপর্যে অনুপম।
মন্তব্য: মহাজ্ঞানী মহাজনেরা যে পথ সৃষ্টি করে অমর হয়ে আছেন, সে পথ মানুষের সামাজিক কল্যাণের আলোকবর্তিকা। মানুষকে নিজের প্রয়োজনে পথ সৃষ্টি করে নিতে হয়- এ সত্য মহাজ্ঞানী মহাজনরা প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
(ক) সারাংশ লেখো:
মানুষের একটা বড়ো পরিচয় সে ভাবতে পারে। করতে পারে যেকোনো বিষয়ে চিন্তা। যে চিন্তা ও ভাব মানুষকে সাহায্য করে মানুষ হতে। পশুপাখিকে পশুপাখি হতে ভাবতে হয় না- পারেও না ওরা ভাবতে বা চিন্তা করতে। সে বালাই ওদের নেই। যেটুকু পারে তার পরিধি অত্যন্ত সংকীর্ণ- বাঁচা ও প্রজননের মধ্যে তা সীমিত। সভ্য- অসভ্যের পার্থক্যও এ ধরনের। যারা যত বেশি চিন্তাশীল, সভ্যতার পথে তারাই তত বেশি অগ্রসর। আর চিন্তার ক্ষেত্রে যারা পেছনে পড়ে - আছে, সভ্যতারও পেছনের সারিতেই তাদের স্থান।
অথবা,
(খ) ভাবসম্প্রসারণ করো: প্রাণ থাকলে প্রাণী হয় কিন্তু মন না থাকলে মানুষ হয় না।
(ক) সারমর্ম লেখ:
ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই- ছোটো সে তরী
আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি।
শ্রাবণ গগন ঘিরে
ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে,
শূন্য নদীর তীরে,
রহিনু পড়ি-
যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর: সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।
(ক) সারাংশ লেখঃ
বর্তমান সভ্যতায় দেখি, এক জায়গায় একদল মানুষ অন্ন উৎপাদনের চেষ্টায় নিজের সমস্ত শক্তি নিয়োগ করেছে, আর এক জায়গায় আর একদল মানুষ স্বতন্ত্র থেকে সেই অন্নে প্রাণধারণ করে। চাঁদের একপিঠে অন্ধকার, অন্যপিঠে আলো- এ সেই রকম। একদিকে দৈন্য মানুষকে পঙ্গু করে রেখেছে অন্যদিকে ধনের সন্ধান। ধনের অভিমান, ভোগ-বিলাস সাধনের প্রয়াসে মানুষ উন্মত্ত, অন্নের উৎপাদন হয় পল্লিতে, আর অর্থের সংগ্রহ চলে নগরে। অর্থ উপার্জনের সুযোগ ও উপকরণ যেখানেই কেন্দ্রীভূত, স্বভাবতই সেখানে আরাম, আরোগ্য, আমোদ ও শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়ে অপেক্ষাকৃত অল্পসংখ্যক লোককে ঐশ্বর্যের আশ্রয় দান করে। পল্লিতে সেই ভোগের উচ্ছিষ্ট যা- কিছু পৌঁছায় তা যৎকিঞ্চিৎ।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:
বিদ্যার সঙ্গে সম্পর্কহীন জীবন অন্ধ এবং জীবনের সঙ্গে সম্পর্কহীন বিদ্যা পঙ্গু।
(ক) সারমর্ম লেখো:
আমরা নূতন, আমরা কুঁড়ি, নিখিল বন-নন্দনে
ওষ্ঠে রাঙা হাসির রেখা, জীবন জাগে স্পন্দনে।
লক্ষ আশা অন্তরে, ঘুমিয়ে আছে মন্তরে,
ঘুমিয়ে আছে মুখের ভাষা পাপড়ি পাতার বন্ধনে।
সকল কাঁটা ধন্য করে ফুটব মোরা ফুটব গো,
প্রভাত-রবির সোনার আলো দু'হাত দিয়ে লুটব গো।
নিত্য নবীন গৌরবে, ছড়িয়ে দিব সৌরভে,
আকাশ পানে তুলব মাথা, সকল বাঁধন টুটব গো।
অথবা,
(খ) ভাবসম্প্রসারণ করো:
সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।