১০ সারাংশ / ভাবসম্প্রসারণ
(ক) সারমর্ম লেখো :
"জোটে যদি মোটে একটি পয়সা
খাদ্য কিনিও ক্ষুধার লাগি
দুটি যদি জোটে তবে অর্ধেকে
ফুল কিনে নিও, হে অনুরাগী।
বাজারে বিকায় ফল তন্দুল;
যে শুধু মিটায় দেহের ক্ষুধা
হৃদয় প্রাণের ক্ষুধা নাশে ফুল,
দুনিয়ার মাঝে সেই তো সুধা।”
অথবা,
(খ) ভাবসম্প্রসারণ করো:
মনেরে আজ কহ যে
ভালো-মন্দ যাহাই আসুক সত্যরে লও সহজে।
(ক) উত্তরঃ
সারমর্ম: মানুষের বেঁচে থাকার জন্য শারীরিক সুস্থতা অপরিহার্য। কিন্তু কেবল শরীর সুস্থ রাখলেই হবে না সেই সঙ্গে মনও সুস্থ রাখা প্রয়োজন। আর মনকে সুস্থ রাখতে দরকার সৌন্দর্যের সাধনা।
(খ) উত্তরঃ
মূলভাব: সত্যই সুন্দর, সত্যই বাস্তব। জীবন চলার পথে ভালো-মন্দ যা- ই ঘটুক সত্যকে সহজ ও সাবলীলভাবে গ্রহণ করতে পারলেই প্রকৃত সুখ পাওয়া যায়। ভালো এবং মন্দ উভয় সময়েই যে সত্যকে আঁকড়ে থাকতে পারে সেই প্রকৃত মানুষ।
সম্প্রসারিত ভাব: মানবজীবন বিচিত্র বৈশিষ্ট্যে গড়া, সুখ-দুঃখের সমন্বয়েই সে জীবন এগিয়ে চলে। জীবনে সফলতা লাভের জন্য অনেক বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে মানুষকে সামনে এগোতে হয়। একজন মানুষ সারা জীবন সুখেই কাটাবে, এটা হতে পারে না। সুখের বিপরীত পিঠেই রয়েছে দুঃখের দহন। অবশ্য ভালো-মন্দ দুটোই যদি না থাকত তবে মানুষ তার জীবনকে আপন সাধনায় সাজিয়ে মানবজন্মকে সার্থক করে তুলতে পারত না। শুধু সুখময় জীবন যেমন একঘেয়ে, শুধু দুঃখের জীবনও অত্যন্ত বেদনাদায়ক। ফলে এ দুইয়ের সমন্বয়েই জীবনকে সাজাতে হবে, এটাই জীবনের অমোঘ বাস্তবতা। তাই সবরকম বাস্তবতায় সত্যের মুখোমুখি দাঁড়ানোই শ্রেয়। যাঁরা পৃথিবীর এই যথার্থ সত্যটি মাথা পেতে গ্রহণ করতে পারেন তাঁরাই জগতে পূজনীয় ব্যক্তিত্ব, তাঁদেরই মানুষ যুগ যুগ ধরে সম্মানের আসন দান করে, শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। সাময়িক লাভ কিংবা লোভের বশে সত্যকে পাশ কাটিয়ে গেলে পরিণামে এর ফল ভালো হয় না। কারণ আমরা এড়িয়ে গেলে বা অস্বীকার করলেই প্রকৃত সত্যটি মিথ্যা হয়ে যায় না। সত্যকে অস্বীকার করার দন্ড হিসেবে পরবর্তী জীবনে চড়া মাসুল দিতে হয়। যে ব্যক্তি মূল সত্যকে চেনে এবং উপলব্ধি করতে জানে তার কাছে সত্য যে রূপেই আসুক না কেন সে তা গ্রহণ করবে এবং তাতে তার কোনো দ্বিধা থাকার কথা নয়। কিন্তু জীবন নিয়ে যারা ভয়ে থাকে, যারা প্রকৃত সত্যসন্ধানী নয় তারা মন্দ দেখলেই পিছিয়ে যায়। তাই সত্যসন্ধানী হতে হলে, বাস্তবতার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে চাইলে মানসিকভাবে প্রস্তুত হওয়া প্রয়োজন। সত্য যে রূপেই আসুক না কেন তাকে সহজভাবে গ্রহণ করা উচিত।
মন্তব্য: বাস্তবতার পথে অগ্রসর হওয়াই জীবনের লক্ষ্য হওয়া উচিত। ভালো-মন্দ সকল পরিস্থিতিতে প্রকৃত সত্যের অনুসন্ধান করাই যথার্থ মানুষের বৈশিষ্ট্য। সাময়িক সুখ অর্জন বা দুঃখ এড়ানোর জন্য সত্যকে পরিহার করা অনুচিত।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
(ক) সারাংশ লেখো:
মানুষের একটা বড়ো পরিচয় সে ভাবতে পারে। করতে পারে যেকোনো বিষয়ে চিন্তা। যে চিন্তা ও ভাব মানুষকে সাহায্য করে মানুষ হতে। পশুপাখিকে পশুপাখি হতে ভাবতে হয় না- পারেও না ওরা ভাবতে বা চিন্তা করতে। সে বালাই ওদের নেই। যেটুকু পারে তার পরিধি অত্যন্ত সংকীর্ণ- বাঁচা ও প্রজননের মধ্যে তা সীমিত। সভ্য- অসভ্যের পার্থক্যও এ ধরনের। যারা যত বেশি চিন্তাশীল, সভ্যতার পথে তারাই তত বেশি অগ্রসর। আর চিন্তার ক্ষেত্রে যারা পেছনে পড়ে - আছে, সভ্যতারও পেছনের সারিতেই তাদের স্থান।
অথবা,
(খ) ভাবসম্প্রসারণ করো: প্রাণ থাকলে প্রাণী হয় কিন্তু মন না থাকলে মানুষ হয় না।
(ক) সারমর্ম লেখ:
ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই- ছোটো সে তরী
আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি।
শ্রাবণ গগন ঘিরে
ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে,
শূন্য নদীর তীরে,
রহিনু পড়ি-
যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর: সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।
(ক) সারাংশ লেখঃ
বর্তমান সভ্যতায় দেখি, এক জায়গায় একদল মানুষ অন্ন উৎপাদনের চেষ্টায় নিজের সমস্ত শক্তি নিয়োগ করেছে, আর এক জায়গায় আর একদল মানুষ স্বতন্ত্র থেকে সেই অন্নে প্রাণধারণ করে। চাঁদের একপিঠে অন্ধকার, অন্যপিঠে আলো- এ সেই রকম। একদিকে দৈন্য মানুষকে পঙ্গু করে রেখেছে অন্যদিকে ধনের সন্ধান। ধনের অভিমান, ভোগ-বিলাস সাধনের প্রয়াসে মানুষ উন্মত্ত, অন্নের উৎপাদন হয় পল্লিতে, আর অর্থের সংগ্রহ চলে নগরে। অর্থ উপার্জনের সুযোগ ও উপকরণ যেখানেই কেন্দ্রীভূত, স্বভাবতই সেখানে আরাম, আরোগ্য, আমোদ ও শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়ে অপেক্ষাকৃত অল্পসংখ্যক লোককে ঐশ্বর্যের আশ্রয় দান করে। পল্লিতে সেই ভোগের উচ্ছিষ্ট যা- কিছু পৌঁছায় তা যৎকিঞ্চিৎ।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:
বিদ্যার সঙ্গে সম্পর্কহীন জীবন অন্ধ এবং জীবনের সঙ্গে সম্পর্কহীন বিদ্যা পঙ্গু।
(ক) সারমর্ম লেখো:
আমরা নূতন, আমরা কুঁড়ি, নিখিল বন-নন্দনে
ওষ্ঠে রাঙা হাসির রেখা, জীবন জাগে স্পন্দনে।
লক্ষ আশা অন্তরে, ঘুমিয়ে আছে মন্তরে,
ঘুমিয়ে আছে মুখের ভাষা পাপড়ি পাতার বন্ধনে।
সকল কাঁটা ধন্য করে ফুটব মোরা ফুটব গো,
প্রভাত-রবির সোনার আলো দু'হাত দিয়ে লুটব গো।
নিত্য নবীন গৌরবে, ছড়িয়ে দিব সৌরভে,
আকাশ পানে তুলব মাথা, সকল বাঁধন টুটব গো।
অথবা,
(খ) ভাবসম্প্রসারণ করো:
সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।