১০ সারাংশ / ভাবসম্প্রসারণ
(ক) সারাংশ লেখ:
চরিত্র ছাড়া মানুষের গৌরব করার আর কিছুই নেই। মানুষের শ্রদ্ধা যদি মানুষের প্রাপ্য হয়, মানুষ যদি মানুষকে শ্রদ্ধা করে, সে শুধু চরিত্রের জন্যই। অন্য কোনো কারণে মানুষের মাথা মানুষের সামনে নত হওয়ার দরকার নেই। জগতে যে সকল মহাপুরুষ জন্মগ্রহণ করেছেন, তাঁদের গৌরবের মূল এই চরিত্রশক্তি। তুমি চরিত্রবান লোক- এই কথার অর্থ এই নয় যে, তুমি শুধু লম্পট নও। তুমি সত্যবাদী, বিনয়ী এবং জ্ঞানের প্রতি শ্রদ্ধা পোষণ কর। তুমি পরদুঃখকাতর, ন্যায়বান এবং স্বাধীনতাপ্রিয়- চরিত্র মানে এই।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর: জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।
(ক) উত্তরঃ
সারাংশ:
মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো তার চরিত্র। চরিত্রবান ব্যক্তি সকলের শ্রদ্ধা লাভ করে। আর চরিত্রহীন ব্যক্তি সকলের ঘৃণা ও অবজ্ঞার পাত্র। জ্ঞান, ন্যায়ানুগত্য, বিনয়, স্বাধীন চিন্তাপ্রিয়তা ও পরদুঃখকাতরতা চরিত্রের লক্ষণ।
(খ) উত্তরঃ
মূলভাব:জ্ঞান না থাকলে বুদ্ধি আসে না আর বুদ্ধি ছাড়া মুক্তি আসতে পারে না।
সম্প্রসারিত ভাব :মানুষের জ্ঞান তার সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। মানুষের এ সম্পদের কোন বিনাশ নেই। এ সম্পদ মানুষকে বুদ্ধির গভীরে প্রবেশের পথ খুলে দেয় এবং তখন মানুষ অতি সহজেই তার মুক্তির পথ খুঁজে নিতে পারে। বলা হয় , জ্ঞানহীন মানুষ পশুর সমান । পশুর সাথে মানুষের পার্থক্য হল মানুষের বুদ্ধি ও বিবেক আছে আর পশুর বুদ্ধি ও বিবেক নেই। জ্ঞানহীন মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিগুলো সঠিকভাবে বিকশিত হয় না। আর হয় না বলেই সে আপনার ভালোমন্দ, ন্যায় অন্যায় সম্পর্কে সঠিক ধারণা লাভ করতে পারে না। জ্ঞান আর বুদ্ধির এ সীমাবদ্ধতাহেতু তাকে প্রতিনিয়ত প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, জ্ঞানবান ব্যক্তি তার যুক্তির নিরিখে অনেক কঠিন বিষয়কেও নিজের জন্য এবং অপরের জন্য সহজতর করে ধরে তুলতে পারেন। এ কথাটি ব্যক্তির জীবনে যেমন সত্য, তেমনি জাতির জীবনেও সত্য। কোন জাতির লোকেরা যদি জ্ঞানের চর্চা না করে তাহলে সে জাতি কোন দিন উন্নতি করতে পারে না। যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত সে জাতি তত বেশি উন্নত। জাতীয় জীবনে জ্ঞানচর্চার উপযুক্ত পরিবেশ না পেলে মানুষের বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশ ঘটানোর সুযোগ সীমিত হয়ে আসে। তখন অনেক মেধার অপচয় হয়। কোন জাতি যখন মেধার এ অপচয় রোধ করে জ্ঞান ও মেধার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারে, তখন সে জাতির মুক্তি ও উন্নতি নিশ্চিত। অন্যথায় তাদের পিছিয়ে পড়া ছাড়া কোন পথ নেই। তাছাড়া পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর দিকে তাকালেও আমরা এর সত্যতা দেখতে পাই।
সিদ্ধান্ত:তাই জাতীয় মুক্তি ও অগ্রগতির পূর্বশর্ত জনগণের বুদ্ধিবৃত্তিকে বিকাশ। এর জন্য চাই জ্ঞানের চর্চা ও গুণীর কদর। এটা যত ব্যাপক হবে জাতীয় মুক্তি ও অগ্রগতিও ততই ত্বরান্বিত হবে।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
(ক) সারমর্ম লেখ:
হে মহাজীবন, আর এ কাব্য নয়-
এবার কঠিন কঠোর গদ্য আনো
পদ-লালিত্য ঝংকার মুছে যাক,
গদ্যের কড়া হাতুড়িকে আজ হানো।
প্রয়োজন নেই কবিতার স্নিগ্ধতা-
কবিতা তোমায় দিলাম আজকে ছুটি;
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়-
পূর্ণিমা চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:
পথ পথিকের সৃষ্টি করে না, পথিকই পথের সৃষ্টি করে।
(ক) সারাংশ লেখ:
মানুষের সুন্দর মুখ দেখে আনন্দিত হয়ো না। স্বভাবে যে সুন্দর নয়, দেখতে সুন্দর হলেও তার স্বভাব, তার স্পর্শ, তার রীতি-নীতিকে মানুষ ঘৃণা করে। দুঃস্বভাবের মানুষ মানুষের হৃদয়ে জ্বালা এবং বেদনা দেয়, তার সুন্দর মুখে মানুষ তৃপ্তি পায় না। অবোধ লোকেরাই মানুষের রূপ দেখে মুগ্ধ হয় এবং তার ফল ভোগ করে। যার স্বভাব মন্দ, সে নিজেও দুষ্ক্রিয়াশীল, মিথ্যাবাদী, দুর্মতিকে ঘৃণা করে। মানুষ নিজে স্বভাবে সুন্দর না হলেও সে স্বভাবের সৌন্দর্যকে ভালোবাসে।
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:
দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য।
(ক) সারাংশ লেখ।
সময় ও স্রোত কারও অপেক্ষায় বসে থাকে না। চিরকাল চলতে থাকে। সময়ের নিকট অনুনয় কর, একে ভয় দেখাও, ভুক্ষেপও করবে না, সময় চলে যাবে আর ফিরবে না। নষ্ট স্বাস্থ্য ও হারানো ধন পূনঃপ্রাপ্ত হওয়া যায়। কিন্তু সময় একবার গত হয়ে গেলে আর ফিরে আসে না। গত সময়ের জন্য অনুশোচনা-করা নিখল। যতই কাঁদ না কেন, গতসময় কখনও ফিরে আসবে না।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর।
পথ পথিকের সৃষ্টি করে না, পথিকই পথের সৃষ্টি করে।
(ক) সারাংশ লেখ:
এটা স্মরণ রাখা কর্তব্য যে, পৃথিবীতে যেখানে এসে তুমি থামবে সেখান হতেই তোমার ধ্বংস আরম্ভ হবে, কারণ তুমিই কেবল একলা থামবে, আর কেউ থামবে না। জগৎ প্রবাহের সঙ্গে সমগতিতে যদি চলতে না পারতো প্রবাহের সমস্ত সচল বেগ তোমার ওপর এসে আঘাত করবে, একেবারে বিদীর্ণ বিপর্যন্ত হবে কিংবা অল্পে অল্পে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে কালস্রোতের তলদেশে অন্তর্হিত হয়ে যাবে। হয় অবিরাম চল এবং জীবনচর্চা করো, নয় বিশ্রাম করো এবং বিলুপ্ত হও। পৃথিবীর এই রকম নিয়ম।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:
সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।