১০ সারাংশ / ভাবসম্প্রসারণ
(ক) সারাংশ লেখ:
সময় ও স্রোত কাহারও অপেক্ষায় বসে থাকে না, চিরকাল চলিতে থাকে। সময়ের নিকট অনুনয় কর, ইহাকে ভয় দেখাও। ভ্রুক্ষেপও করিব না, সময় চলিয়া যাইবে, আর ফিরিবে না। নষ্ট স্বাস্থ্য ও হারানো ধন পুনঃপ্রাপ্ত হওয়া যায়, কিন্তু সময় একবার গত হইয়া গেলে আর ফিরিয়া আসে না। গত সময়ের জন্য অনুশোচনা করা নিষ্ফল। যতই কাঁদ না গত সময় আর ফিরিয়া আসিবে না।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর: যে সহে সে রহে।
(ক) উত্তরঃ সময় ও স্রোত একবার চলে গেলে শত চেষ্টাতেও তা আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। ভগ্ন স্বাস্থ্য ও হারানো হন কঠোর সাধনার মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা গেলেও হারানো সময় কোনোভাবেই ফিরে পাওয়া যায় না। তাই সময়ের সহাবহারে সবাইকে সচেতন হতে হবে ।
(খ) উত্তরঃ
মূলভাব:বিপদসংকুল এ পৃথিবীতে মানুষকে সর্বদা সংগ্রাম করেই টিকে থাকতে হয়। এ সংগ্রাম করার শক্তি, সামর্থ্য ও ধৈর্য যার আছে তারই বেঁচে থাকার অধিকার আছে।
সম্প্রসারিত ভাব:স্নেহ, দয়া, ক্ষমা, ধৈর্য, সহনশীলতা প্রভৃতি মহৎগুণের বিকাশ ঘটিয়ে মানুষের ব্যক্তি জীবন ও সমষ্টি জীবন ধন্য করা সম্ভব। সহনশীলতা মানুষের একটা প্রধান গুণ । অন্যান্য বহু গুণ থাকলেও কোনো মানুষের যদি ধৈর্য ও সহনশীলতার গুণ না থাকে, তাহলে সে জীবনে কোনো উন্নতি লাভ করতে পারে না।সচরাচর দেখতে পাওয়া যায়, এ পৃথিবীতে যারা সহিষ্ণু ও ধীর, তারাই জীবনকে সফল করে অক্ষয় গৌরবের অধিকারী হয়েছেন।
এ পৃথিবীতে সব মানুষেরই কোনো না কোনো কাজ করতে হয়, কিন্তু সাফল্যের গৌরব সবাই লাভ করতে পারে না। যখন কোনো লোক কোনো কাজ শুরু করে, তখনই তাকে নানা বাধাবিঘ্নের মুখোমুখি হতে হয়। এভাবেই তার জীবনে সংগ্রাম শুরু হয়। সে যদি ধীর ও সহিষ্ণু না হয়ে বাধাবিঘ্নের কাছে নতি স্বীকার করে এবং এ কাজ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়, তাহলে তার সফল হওয়ার কোনো আশা থাকে না।
প্রতি কাজেই যদি তার এ রকম অবস্থা হয়, তবে তার জীবন ব্যর্থ হয়ে যাবে এবং অভাব-অনটন ও দুঃখ-শোকের মাঝে তার জীবন কাটাতে হবে। পরিণামে সে জীবন সংগ্রামে পরাজিত হয়ে ধুঁকে ধুঁকে মরবে। জীবন সংগ্রামে জয়ী হয়ে কৃতিত্বের সাথে বেঁচে থাকতে হলে অবশ্যই সহিষ্ণু ও ধৈর্যশীল হতে হয়। এ বিশ্ব সংসারে যারা সহিষ্ণু ও ধৈর্যশীল তারাই কেবল টিকে থাকে । এটি মানুষের অন্তরের বল ও পবিত্রতা বপন করে। তাই জীবনে সফলতা পেতে হলে ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার কোনো বিকল্প নেই ।
সিদ্ধান্ত :
সহিষ্ণুতা মানবজীবনে সত্যিই আশীর্বাদস্বরূপ। সহিষ্ণুতার বলেই মানুষ কঠিন বাস্তবতার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সাফল্যের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
(ক) সারমর্ম লেখ:
ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই- ছোটো সে তরী
আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি।
শ্রাবণ গগন ঘিরে
ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে,
শূন্য নদীর তীরে,
রহিনু পড়ি-
যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর: সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।
(ক) সারাংশ লেখঃ
বর্তমান সভ্যতায় দেখি, এক জায়গায় একদল মানুষ অন্ন উৎপাদনের চেষ্টায় নিজের সমস্ত শক্তি নিয়োগ করেছে, আর এক জায়গায় আর একদল মানুষ স্বতন্ত্র থেকে সেই অন্নে প্রাণধারণ করে। চাঁদের একপিঠে অন্ধকার, অন্যপিঠে আলো- এ সেই রকম। একদিকে দৈন্য মানুষকে পঙ্গু করে রেখেছে অন্যদিকে ধনের সন্ধান। ধনের অভিমান, ভোগ-বিলাস সাধনের প্রয়াসে মানুষ উন্মত্ত, অন্নের উৎপাদন হয় পল্লিতে, আর অর্থের সংগ্রহ চলে নগরে। অর্থ উপার্জনের সুযোগ ও উপকরণ যেখানেই কেন্দ্রীভূত, স্বভাবতই সেখানে আরাম, আরোগ্য, আমোদ ও শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়ে অপেক্ষাকৃত অল্পসংখ্যক লোককে ঐশ্বর্যের আশ্রয় দান করে। পল্লিতে সেই ভোগের উচ্ছিষ্ট যা- কিছু পৌঁছায় তা যৎকিঞ্চিৎ।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:
বিদ্যার সঙ্গে সম্পর্কহীন জীবন অন্ধ এবং জীবনের সঙ্গে সম্পর্কহীন বিদ্যা পঙ্গু।
(ক) সারমর্ম লেখ:
হে মহাজীবন, আর এ কাব্য নয়-
এবার কঠিন কঠোর গদ্য আনো
পদ-লালিত্য ঝংকার মুছে যাক,
গদ্যের কড়া হাতুড়িকে আজ হানো।
প্রয়োজন নেই কবিতার স্নিগ্ধতা-
কবিতা তোমায় দিলাম আজকে ছুটি;
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়-
পূর্ণিমা চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:
পথ পথিকের সৃষ্টি করে না, পথিকই পথের সৃষ্টি করে।
(ক) সারমর্ম লেখ:
কোথায় স্বর্গ, কোথায় নরক, কে বলে তা বহুদূর?
মানুষের মাঝে স্বর্গ-নরক, মানুষেতেই সুরাসুর।
রিপুর তাড়নে যখনি মোদের বিবেক পায় গো লয়,
আত্মগ্লানির নরক অনলে তখনি পুড়িতে হয়।
প্রীতি ও প্রেমের পুণ্য বাঁধনে যবে মিলি পরস্পরে,
স্বর্গ আসিয়া দাঁড়ায় তখন আমাদেরই কুঁড়েঘরে।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:
রাত যত গভীর হয়, প্রভাত তত নিকটে আসে।