১০ সারাংশ / ভাবসম্প্রসারণ
(ক) সারাংশ লেখোঃ
আজকের দুনিয়াটা আশ্চর্যভাবে অর্থের বা বিত্তের ওপর নির্ভরশীল। লাভ ও লোভের দুর্নিবার গতি কেবল আগে যাবার নেশায় লক্ষ্যহীন প্রচণ্ড বেগে শুধুই আত্মবিনাশের পথে এগিয়ে চলেছে; মানুষ যদি এই মূঢ়তাকে জয় না করতে পারে, তবে মনুষ্যত্ব কথাটাই হয়তো লোপ পেয়ে যাবে। মানুষের জীবন আজ এমন এক পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে, সেখান থেকে আর হয়তো নামবার উপায় নেই; এবার উঠবার সিঁড়িটা না খুঁজলেই নয়।
অথবা,
(খ) ভাবসম্প্রসারণ করো: গতি যার নীচ সহ, নীচ সে দুর্মতি।
(ক) উত্তরঃ
সারাংশ: বর্তমান পৃথিবীতে মানুষ নেশাগ্রস্তের মতো ধন সম্পদের পেছনে ধাবমান। অর্থের এ অন্ধ নেশা মানুষের আত্মবিনাশের পথকেই প্রশস্ত করছে। অথচ এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য এখনই এ নেশা পরিত্যাগ করা প্রয়োজন।
(খ) উত্তরঃ
মূলভাব:
মানুষ যখন নিজের স্বার্থকে বড়ো করে দেখে তখন তার মধ্যকার মানবিকতা লোপ পায় এবং সে নিজ শ্রেণির শত্রুতে পরিণত হয়।
সম্প্রসারিত ভাব :মানুষ সামাজিক জীব। পরস্পর নানা প্রয়োজনে একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। কখনো কখনো এই নির্ভরতা ও যোগাযোগের ভেতর দিয়ে মানুষ আরও বেশি মানবিক হয়ে ওঠে। আবার কখনো কখনো হীন স্বার্থবাদী স্বধর্মচ্যুত অমানবিক মানুষে পরিণত হয়। আলোচ্য উক্তিতে মূলত এই চিরন্তন সত্য উপস্থাপন করা হয়েছে। কারো দ্বারা প্ররোচিত হয়ে মানুষ যখন নিজ ধর্ম-জাতিরর বিরুদ্ধে যায় তখন সে নিকৃষ্ট মানুষে পরিণত হয়। সে অধম-অমানবিক। সমাজের গভীর সত্যকে এই উক্তির মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। সঙ্গদোষে যেমন লোহা ভাসে ঠিক তেমনি খারাপ মানুষ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ভালো মানুষও খারাপ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে এর বিপরীতও সমাজে দেখা যায়। সুগন্ধিযুক্ত ফুল যেমন কিছুকাল কাদায় ফেলে রাখলে কাদার মধ্যে কিছুটা হলেও সুবাস পাওয়া যাবে তেমনি সৎ, মানুষের সান্নিধ্যে এলে অসৎ মানুষের মাঝেও সৎ চিন্তার উদ্রেক হয়। সৎ সঙ্গ পেলে যেমন স্বর্গবাসের অনুভূতি হয় তেমনি অসৎ মানুষের সঙ্গে থাকলে সর্বনাশ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। যে মানুষ নীচ স্বভাবের মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করবে, নিঃসন্দেহে তার আচরণও নীচ হবে।
সিদ্ধান্ত :আত্মস্বার্থ চরিতার্থ করতে স্বজাতি-ধর্মের বিরুদ্ধে যেতে প্ররোচিত করে এমন মানুষকে বন্ধু করা উচিত নয়। নীচ বা অসৎ ব্যক্তিদের সঙ্গ ছেড়ে সৎ ও মহৎ মানুষদের সঙ্গী হতে হবে।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
(ক) সারাংশ লেখো:
মানুষের একটা বড়ো পরিচয় সে ভাবতে পারে। করতে পারে যেকোনো বিষয়ে চিন্তা। যে চিন্তা ও ভাব মানুষকে সাহায্য করে মানুষ হতে। পশুপাখিকে পশুপাখি হতে ভাবতে হয় না- পারেও না ওরা ভাবতে বা চিন্তা করতে। সে বালাই ওদের নেই। যেটুকু পারে তার পরিধি অত্যন্ত সংকীর্ণ- বাঁচা ও প্রজননের মধ্যে তা সীমিত। সভ্য- অসভ্যের পার্থক্যও এ ধরনের। যারা যত বেশি চিন্তাশীল, সভ্যতার পথে তারাই তত বেশি অগ্রসর। আর চিন্তার ক্ষেত্রে যারা পেছনে পড়ে - আছে, সভ্যতারও পেছনের সারিতেই তাদের স্থান।
অথবা,
(খ) ভাবসম্প্রসারণ করো: প্রাণ থাকলে প্রাণী হয় কিন্তু মন না থাকলে মানুষ হয় না।
(ক) সারমর্ম লেখ:
ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই- ছোটো সে তরী
আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি।
শ্রাবণ গগন ঘিরে
ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে,
শূন্য নদীর তীরে,
রহিনু পড়ি-
যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর: সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।
(ক) সারাংশ লেখঃ
বর্তমান সভ্যতায় দেখি, এক জায়গায় একদল মানুষ অন্ন উৎপাদনের চেষ্টায় নিজের সমস্ত শক্তি নিয়োগ করেছে, আর এক জায়গায় আর একদল মানুষ স্বতন্ত্র থেকে সেই অন্নে প্রাণধারণ করে। চাঁদের একপিঠে অন্ধকার, অন্যপিঠে আলো- এ সেই রকম। একদিকে দৈন্য মানুষকে পঙ্গু করে রেখেছে অন্যদিকে ধনের সন্ধান। ধনের অভিমান, ভোগ-বিলাস সাধনের প্রয়াসে মানুষ উন্মত্ত, অন্নের উৎপাদন হয় পল্লিতে, আর অর্থের সংগ্রহ চলে নগরে। অর্থ উপার্জনের সুযোগ ও উপকরণ যেখানেই কেন্দ্রীভূত, স্বভাবতই সেখানে আরাম, আরোগ্য, আমোদ ও শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়ে অপেক্ষাকৃত অল্পসংখ্যক লোককে ঐশ্বর্যের আশ্রয় দান করে। পল্লিতে সেই ভোগের উচ্ছিষ্ট যা- কিছু পৌঁছায় তা যৎকিঞ্চিৎ।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:
বিদ্যার সঙ্গে সম্পর্কহীন জীবন অন্ধ এবং জীবনের সঙ্গে সম্পর্কহীন বিদ্যা পঙ্গু।
(ক) সারমর্ম লেখো:
আমরা নূতন, আমরা কুঁড়ি, নিখিল বন-নন্দনে
ওষ্ঠে রাঙা হাসির রেখা, জীবন জাগে স্পন্দনে।
লক্ষ আশা অন্তরে, ঘুমিয়ে আছে মন্তরে,
ঘুমিয়ে আছে মুখের ভাষা পাপড়ি পাতার বন্ধনে।
সকল কাঁটা ধন্য করে ফুটব মোরা ফুটব গো,
প্রভাত-রবির সোনার আলো দু'হাত দিয়ে লুটব গো।
নিত্য নবীন গৌরবে, ছড়িয়ে দিব সৌরভে,
আকাশ পানে তুলব মাথা, সকল বাঁধন টুটব গো।
অথবা,
(খ) ভাবসম্প্রসারণ করো:
সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।