সাম্যবাদী
জেলা শহরের সরকারি হাসপাতালে দক্ষ চিকিৎসক ডাক্তার হুমায়ুন। ধনী-গরিব নির্বিশেষে রোগীদের তিনি পরম যত্নে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। একদিন যমুনা নামে এক অসহায় বৃদ্ধা টাকার অভাবে হাসপাতারের টিকেট না কেটে ডাক্তারের চেম্বারে ঢুকে পড়লে ডাক্তারের সহকারী দুর্ব্যবহার করে তাকে হাসপাতাল থেকে বের করে দিতে চায়। ডাক্তার হুমায়ুন যমুনাকে ডেকে তার কথা শোনন এবং বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। পরে সহকারীকে ডেকে বলেছেন,
"অসহায় মানুষের সেবা করা মানবতার কাজ। সকল মানুষ আমার কাছে সমান।"
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
সব লোকে কয় লালন কী জাত সংসারে?
- লালন কয়, জাতের কী রূপ, দেখলাম না এ নজরে।
কেউ মালা কেউ তসবি গলায়, তাইতো কী জাত ভিন্ন বলায়,
যাওয়ার কিংবা আসার বেলায়, জাতের চিহ্ন রয় কার রে।
বহুরূপে সম্মুখে তোমার, ছাড়ি কোথা খুঁজিছ ঈশ্বর?
জীবে প্রেম করে যেইজন, সেইজন সেবিছে ঈশ্বর।"
ছোটদের বড়দের সকলের, গরীবের নিঃস্বের ফকিরের
আমার দেশ সব মানুষের, সব মানুষের।।
নেই ভেদাভেদ হেথা চাষা আর চামারে,
নেই ভেদাভেদ হেথা কুলি আর কামারে।।
হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, দেশমাতা এক সকলের।
শিক্ষকতার দীর্ঘ জীবনে রহিম সাহেবের কাছে শিক্ষার্থীদের ধর্মীয়, সামাজিক কিংবা অর্থনৈতিক পরিচয় কখনো বড় হয়ে ওঠেনি। জ্ঞান চর্চার পাশাপাশি আশপাশের মানুষদের মানবতাবাদে দীক্ষিত করা ছিল তাঁর জীবনব্রত। এখন তাঁর অবসর কাটে সামাজিক আর ব্যক্তি মানুষের কল্যাণকর্মে। ধর্মীয় গোঁড়ামি কিংবা অন্ধ সংস্কারের কারণে সমাজে যখন অনাচার দেখা দেয় তখন রহিম সাহেব সর্বশক্তি দিয়ে তা প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। তিনি তাঁর শিক্ষার্থীদের প্রায়ই চণ্ডীদাসের সেই অমর উচ্চারণ মনে করিয়ে দিতেন, "সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।"