প্রস্বেদন, পত্ররন্ধ্রের গঠন বর্ণনা ও পত্ররন্ধ্র উন্মুক্ত ও বন্ধ হওয়ার কৌশল এবং পত্ররন্ধ্রীয় প্রস্বেদন প্রক্রিয়া
পত্ররন্ধ্র খোলা ও বন্ধ হওয়ার কারণ কি?
পত্ররন্ধের খোলা ও বন্ধ হওয়া নির্ভর করে রক্ষীকোষের পরিবর্তনের উপর অর্থাৎ রক্ষীকোষের স্ফীতি হলে পত্ররন্ধ্র খুলে যাবে এবং রক্ষীকোষ শিথিল হলে পত্ররন্ধ্র বন্ধ হয়ে যাবে। পত্ররন্ধ্রের ছিদ্রের আয়তন নির্ভর করবে রক্ষীকোষ কতটা স্ফীত হয়েছে তার উপর। স্ফীতি হওয়ার ফলে রক্ষীকোষের বাইরের পাতলা প্রাচীরের দিকে অতিরিক্ত চাপের টানে ভিতরেরপুরু প্রাচীরটি কিছুটা বেঁকে যায়। ভিতরের পুরু প্রাচীরটি যেহেতু স্থিতিস্থাপক নয় প্রাচীরটি তাই, অবতল (concave) আকার হয়ে যায় ফলে পত্ররন্ধ্রটির আয়তন বাড়তে থাকে এবং পত্ররন্ধ্রটি খুলে যায়। বিজ্ঞানী স্যায়েরি (Sayre, 1926)-র মতে, শ্বেতসার ও চিনির উক্ত আন্তঃপরিবর্তনটি কোষরসের pH এর জন্য ঘটে থাকে এবং তাঁর মতে, কোষরসের pH এর উঠা-নামাই পত্ররন্ধ্রের খোলা ও বন্ধ হওয়ার জন্য দায়ী। উচ্চ pH (৭-এর কাছাকাছি) পত্ররন্ধ্র খুলতে সাহায্য করে এবং নিম্ন pH (৫-এর কাছাকাছি) পত্ররন্ধ্র বন্ধ হতে সাহায্য করে। রাত্রিকালে আলো না থাকাতে সালোকসংশ্লেষণ বন্ধ থাকে কিন্তু শাসন চলতে থাকে। শ্বসনের ফলে সৃষ্ট CO2, রক্ষীকোষের কোষ রসে দ্রবীভূত হয়ে কার্বনিক এসিডের সৃষ্টি করায় কমে যায়।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
উদ্ভিদের পাতায় অবস্থিত একটি রন্ধ্রের মাধ্যমে পানি তরলাকারে নির্গত হলেও অন্য আরেকটি রন্ধ্রের মাধ্যমে পানি বাষ্পাকারে নির্গত হয় এবং রন্ধ্রটির খোলা ও বন্ধ হওয়া রক্ষী কোষ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
পত্ররন্ধ্রের মাধ্যমে প্রস্বেদন হয়-

রাশেদ কচু গাছের পাতার কিনারায় পানির উপস্থিতি দেখে শিক্ষককে প্রশ্ন করল। তিনি বললেন ইহা এক ধরনের রন্ধ্রের কাজ। এরকম আরও এক ধরনের রন্ধ্র আছে যা পাতার ঊর্ধ্ব ও নিম্নতকে থাকে।