অ্যান্টিবডি ও টিকা
বর্ণার বয়স ৫ বছর। তার কান ব্যথা ও কানে পুঁজ জমেছে।
ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে তিনি বললেন, "এটি অনুজীব ঘটিত রোগ কিন্তু সংক্রামক নয় । "
★বর্ণার রোগটি প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে?
i.ভ্যাকসিন নেয়া
ii.বায়ু দূষণ থেকে দূরে থাকা
iii.অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা
নিচের কোনটি সঠিক?
১. শিশুর আশেপাশে ধুমপান না করা । কারণ ধুমপায়ীদের শিশুরা ঠান্ডা ও কানের সংক্রমণে বেশি ভুগে থাকে ।
২. কানের সংক্রমণ প্রতিরোধে জন্মের পর শিশুকে অন্তত প্রথম ছয়মাস বুকের দুধ খেতে দেয়া । বুকের দুধে রয়েছে রোগ প্রতিরোধক উপাদান । তা ছাড়া ধারণা করা হয় মায়ের দুধে এমন কোনো উপাদান রয়েছে যা পান করার সময় গলার উপর দিকের মিউকাস পর্দা বা ঝিল্লিতে আটকে থাকা ব্যাকটেরিয়াকে নিচের দিকে পাকস্থলিতে নিয়ে আসে । ফলে ব্যাকটেরিয়া উপর দিকে ইউস্টেশিয়ান নালিতে প্রবেশের সুযোগ পায় না ।
৩. বুকের দুধ বা অন্য কোনো তরল খাওয়ানোর সময় শিশুর মাথাটি পিঠের সঙ্গে ৪৫ ডিগ্রি কোণে উঁচুতে রাখতে হবে । তা না হলে তরল খাবার ইউস্টেশিয়ান নালি হয়ে কানে ঢুকে সংক্রমণ সৃষ্টি করে ।
৪.অ্যালার্জি সৃষ্টি করে এমন কিছু এড়িয়ে চলা । কারণ অ্যালার্জিজনিত প্রতিক্রিয়ার কারণে ইউস্টেশিয়ান নালি বন্ধ হয়ে সংক্রমণ ঘটতে পারে ।
৫. গোসলের সময় কানে যাতে পানি প্রবেশ না করে সেদিকে খেয়াল রাখা ও বায়ু দূষণ থেকে দূরে থাকা ।
৬. বার বার সর্দি হতে থাকলে এবং নাকের ছিদ্রপথ লালাভ রং এর হলে; শিশু মুখ দিয়ে শ্বাস নিলে এবং রাতে হ্যাঁ করে ঘুমালে শীঘ্রই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া ।
৭. শিশুকালে নিউমোকক্কাল কনজুগেট ভ্যাক্সিন (Pneumococcal Conjugate Vaccine) গ্রহণ করে Streptococcus pneumoniae সৃষ্ট ওটাইটিস মিডিয়া রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা যেতে পারে।
জন্মের পর বিভিন্ন রোগের টিকার জন্য যেমন আমাদের দেহে এক ধরনের অনাক্রম্যতার সৃষ্টি হয়; তেমনি জন্মের সময়ও আমাদের দেহে প্রাকৃতিকভাবে এক ধরনের অনাক্রম্যতা সৃষ্টি হয়।
শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক বললেন আমাদের দেহে এক ধরনের বিশেষ প্রোটিন অণু তৈরি হয় যা আমাদের ইমিউন সিস্টেমকে সচল রাখে। যা জীবাণুর আক্রমণ হতে প্রতিরক্ষায় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তিনি আরো বলেন যে, টিকাদান কর্মসূচীর কোন বিকল্প নেই একটি রোগমুক্ত দেশ গড়তে।
হালিমা তার এক মাস বয়সী শিশুকে যক্ষ্মা রোগের টিকা দিয়ে আনল।
শিক্ষক মানবদেহের প্রতিরক্ষা নিয়ে আলোচনায় বললেন— “আমাদের দেহে নির্দিষ্ট প্রতিরক্ষা স্তরে B-লিম্ফোসাইট থেকে এক ধরনের প্রোটিন অণু উৎপন্ন হয় যা অণু প্রবেশকারী বস্তু বা অণুজীবকে ধ্বংস করে। দেহ প্রতিরক্ষায় উক্ত প্রোটিন অণু বিশেষ ভূমিকা পালন করে ।