বাংলাদেশ বিষয়াবলি
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নিম্নের ঘটনাগুলোর প্রভাব বর্ণনা করুন:
(ক) ছয় দফা আন্দোলন
খ) ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান
গ) ৭০-এর সাধারণ নির্বাচন
(ঘ) ৭ই মার্চের ভাষণ
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম একটি চূড়ান্ত ঘটনা হলেও এর ক্ষেত্র তৈরী হচ্ছিল দীর্ঘদিন থেকে। দীর্ঘ ২৪ বছরে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর এ অঞ্চল তথা পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি চরম বঞ্চনা, শোষণ ও নিপীড়নের বলিষ্ঠ প্রতিবাদ ছিলো এই স্বাধীনতা সংগ্রাম। ১৯৫২'র ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৬'র ৬ দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান এমনকি ১৯৭০ সালের নির্বাচন পরবর্তী ক্ষমতার প্রশ্নে প্রহসন পাকিস্তানি শাসকযন্ত্রের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিকে চরম প্রতিবাদমুখর করে যা ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামকে অপরিহার্য করেছিলো। নিম্নে প্রশ্নালোকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ছয়-দফা আন্দোলন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০-এর সাধারণ নির্বাচন, ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব আলোকপাত করা হলো।
(ক) হয়-দফা আন্দোলন
'ছয় দফা' ছিল বাঙ্গালি জাতির মুক্তির সনদ। ব্রিটেনের গণতন্ত্রের সাথে যেমন ম্যাগনাকার্টা, ফরাসি বিপ্লবের সাথে যেমন সাম্য ও স্বাধীনতার ধারণা সম্পর্কিত, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সাথেও তেমনি ছয় দফা কর্মসূচি জড়িত। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর অব্যাহত পক্ষপাত, শোষণ ও প্রশাসনিক বঞ্চনা পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের মনে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি করে। বিশেষ করে ১৯৬৫ সালের ১৭ দিনের পাক-ভারত যুদ্ধের সময় পূর্ব পাকিস্তান ছিল সম্পূর্ণ অরক্ষিত। ফলে জনগণের মনে নিরাপত্তাহীনতা অনুভূত হয়। এমন অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য জনগণ তৎপর হয়ে ওঠে। জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন স্বরূপ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শেখ মুজিবুর রহমান ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬ সালে লাহোরে বিরোধী দলের সম্মেলনে ঐতিহাসিক ছয়দফা কর্মসূচি পেশ করেন। এ কর্মসূচি ছিল নিম্নরূপ: প্রথম দফা- সাংবিধানিক কাঠামো ও রাষ্ট্রের প্রকৃতি: পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের থাকবে স্বায়ত্তশাসন, সরকার হবে সংসদীয় পদ্ধতির। দ্বিতীয় দফা- ক্ষমতা বণ্টন: ফেডারেল (কেন্দ্রীয়) সরকারের হাতে কেবল দেশরক্ষা ও পররাষ্ট্র সংক্রান্ত বিষয় থাকবে।
তৃতীয় দফা- মুদ্রা ব্যবস্থা: দুটি প্রস্তাব-
ক. পাকিস্তানের দুঅঞ্চলের জন্য সম্পূর্ণ পৃথক দুটি মুদ্রা চালু থাকবে। দুঅঞ্চলের দুটি স্বতন্ত্র স্টেট ব্যাংক থাকবে।
অথবা, খ. দু'অঞ্চলের জন্য অভিন্ন মুদ্রা থাকবে তবে মুদ্রা পাচার যাতে না হয় সে ব্যবস্থা থাকবে।
চতুর্থ দফা, রাজস্ব, কর ও শুল্ক সংক্রান্ত ক্ষমতা: সকল প্রকার কর, খাজনা ধার্য এবং আদায় করার ক্ষমতা আঞ্চলিক সরকারের হাতে থাকবে
পঞ্চম দফা, বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক ক্ষমতা: দুঅঞ্চলের বৈদেশিক মুদ্রার আয়ের পৃথক পৃথক হিসাব থাকবে; স্ব-স্ব অঙ্গরাজ্যের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা নিজেদের এখতিয়ারে থাকবে।
ষষ্ঠ দফা, আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠন: অঙ্গরাজ্যগুলোকে স্বীয় কর্তৃত্বাধীনে আধা সামরিক বা আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠন ও রাখার ক্ষমতা থাকবে।
(খ) ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান
১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান ছিল আইয়ুব খানের শাসনামলে সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী আন্দোলন। এটি শুরু হয়েছিল সরকারি নির্যাতন বিরোধী একটি সাধারণ লড়াই হিসেবে। কিন্তু অচিরেই স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের রূপ নিয়ে তা ছড়িয়ে পড়েছিল গ্রামেগঞ্জে।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের পেছনে '৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের প্রভাব ছিল প্রত্যক্ষ এবং সক্রিয়। বাঙালিদের শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এবং বাঙালি জাতির স্বাধিকার অর্জনের প্রশ্নে আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন সর্বদা অটল এবং প্রতিবাদমুখর। '৬৯-এর গণআন্দোলন শেখ মুজিবসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের মুক্তির পথ সুগম করেছিল। মুক্তিলাভের পর শেখ মুজিব বাঙালির স্বার্থ রক্ষায় সদা সজাগ ও সক্রিয় ছিলেন। এর ফলে তাঁর জনপ্রিয়তা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে থাকে। '৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে সমাজতান্ত্রিক দলগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। আর '৭০-এর নির্বাচনি ইশতেহারে শেখ মুজিব সমাজতান্ত্রিক চিন্তাধারা ও আদর্শকে সংযুক্ত করায় বামপন্থীদের সমর্থন লাভ করেন। সর্বোপরি '৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে পূর্ববাংলায় যে জাতীয় ঐক্য গড়ে ওঠে '৭০-এর নির্বাচনে তা পুরোপুরি আওয়ামী লীগের পক্ষে চলে যায়। আর এক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন সরকারের নির্যাতন, নিপীড়ন আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করতে উৎসাহী করে। মোটকথা, সরকারের গণবিদ্বেষী নীতি ও শেখ মুজিবুর রহমানের জনমুখী চরিত্র '৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়কে সহজ করে।
(গ) ৭০ এর সাধারণ নির্বাচন
মার্চ-৬৯ সালে আইয়ুব সরকারের পতন হলে ইয়াহিয়া খান ক্ষমতা দখল করেন। সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে পরিচালিত আন্দোলনের ফলে তিনি নির্বাচন দিতে সম্মত হন। এ লক্ষ্যে লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক অর্ডার গ্রহণ করা হয় ৭ ডিসেম্বর, ১৯৭০ জাতীয় পরিষদ (কিছু আসনে ১৭ জানুয়ারি, ১৯৭১) এবং ১৭ ডিসেম্বর, ১৯৭০ প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনের তারিখ ঘোষিত হয়। জাতীয় পরিষদে মোট আসন ৩১৩টি। এর মধ্যে ৩০০টি নির্বাচিত আসন এবং ১৩টি সংরক্ষিত মহিলা আসন। আসন বণ্টিত হয়েছিলো জনসংখ্যার ভিত্তিতে। পূর্ব পাকিস্তান: নির্বাচিত আসন ১৬২টি; মহিলা আসন ৭টি; মোট ১৬৯টি। পশ্চিম পাকিস্তান: নির্বাচিত আসন ১৩৮টি; মহিলা আসন ৬টি; মোট ১৪৪টি।
✪ পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচিত আসন ৩০০ এবং সংরক্ষিত মহিলা আসন ১০; মোট আসন ৩১০টি।
২. নির্বাচনি ফলাফল:
এক নজরে ১৯৭০ সালের পাকিস্তানের নির্বাচনের ফলাফল
আইনসভার আসন বিন্যাস | নির্বাচিত আসন | সংরক্ষিত আসন | মোট আসন |
|---|---|---|---|
জাতীয় পরিষদ | ৩০০ | ১৩ | ৩১৩ |
আওয়ামী লীগের অবস্থান | ১৬০ | ৭ | ১৬৭ |
পূর্ব-পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদ | ৩০০ | ১০ | ৩১০ |
আওয়ামী লীগের অবস্থান | ২৮৮ | ১০ | ২৯৮ |
✪ পাকিস্তানে পূর্ব পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে পশ্চিম পাকিস্তানি কোনো দল এবং পশ্চিম পাকিস্তানে পূর্ব পাকিস্তানি কোনো দল একটিও আসন পায় নি। ফলে এ নির্বাচনই দেশকে দুটি ভাগে বিভক্ত করে দিয়েছে।
✪ আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার ছিল ছয় দফা, ফলে মানুষ ছয় দফার পক্ষে রায় দিয়েছে যার মধ্যে স্বাধীনতার বীজ উপ্ত ছিল।
✪ বাংলাদেশে একক রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ সংখ্যারগরিষ্ঠতা পায়। অর্থাৎ সামগ্রিক পাকিস্তান পুষ্ট মুসলিম লীগ কিংবা জামাতই ইসলামীর সাফল্য তেমন চোখে পড়ার মত নয়। তাই বাংলাদেশ গড়ার সংকেত এখানেই নিহিত হয়।
৩. নির্বাচন পরবর্তী ভূমিকা: পাকিস্তানের সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খান ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন এটাই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু তাদের গড়িমসি করা, যেহেতু ৭০'র নির্বাচনকে কেন্দ্র করে, অতএব এর ভূমিকা অনেক।
✪ ইয়াহিয়া খান জুলফিকার আলী ভুট্টোর প্ররোচনায় ক্ষমতা হস্তান্তর করতে গড়িমসি করলে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দানা বাঁধে।
✪ ভূট্টো-ইয়াহিয়া-মুজিব বৈঠক কখনোই কাম্য ছিল না যেহেতু ভূট্টো পেয়েছিল মাত্র ৮৮ টি আসন, সেখানে মুজিব পায় ১৬৭ টি আসন।
✪ ইয়াহিয়া খান ভূট্টোর কথাকে বেশি গুরুত্ব দিতে থাকেন ও কিছু অসার মিটিং করতে থাকেন।
✪ সর্বশেষ মার্চ ৩ তারিখে এসেম্বলি বসার কথা থাকলেও ১ তারিখে আবার না করে দেয়ায় সারাদেশে অসহযোগ আন্দোলন গড়ে ওঠে ফলশ্রুতিতে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রয়োজন পড়ে ও বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।
উপর্যুক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, বাংলাদেশ নামক দেশের জন্ম কেবল একটি মাত্র ঘটনার প্রেক্ষিতে না হলেও ১৯৭০ সালের নির্বাচন ছিল অন্যতম। ১৯৪৭ থেকে শুরু করে নানা অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক শোষণের ফলাফল হচ্ছে ৭০'র নির্বাচনে জয়। আর এ জয়ের ফলাফল হচ্ছে স্বাধীন বাংলাদেশ।
(ঘ) ৭ই মার্চের ভাষণ
ধারাবাহিক আন্দোলনকে একটি স্বাধীনতা আন্দোলনের রূপদান করাতে ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দিক নিদের্শনা স্বরূপ বিশ্বখ্যাত সেই ভাষণ প্রদান করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট, দিকনিদের্শনা, কৌশল ও নানা ভাল দিক ও হুমকি সমূহের এক অপার সংবলিত প্রায়স রয়েছে ৭ই মার্চের এই ভাষণে যা দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভূমিকা রেখেছে সব থেকে বেশি।
স্বাধীনতাযুদ্ধে ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব:
নানা দিক বিশ্লেষণ করে ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের গুরুত্ব তুলে ধরা হলো-
১. মানুষকে উজ্জীবিত: বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ গবেষকগণ মনে করেন ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে বাংলাদেশের সমগ্র জাতিকে একক সত্তায় আবদ্ধ করেন। বাংলার সকল শ্রেণির পেশার মানুষ এই ভাষণের মাধ্যমে নিজেদের উৎসর্গ করতে উদ্বুদ্ধ হন। মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার ভাষা, বাক্য ছিল উজ্জ্বল।
"প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো, তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে।"
২. দিকনিদের্শনা: শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধকালে দেশে অবমুক্ত নাও থাকতে পারেন এই আশঙ্কায় তিনি অনেক দিক নির্দেশনা দিয়েছেন এই ভাষণে। তিনি বজ্র কন্ঠে বলেছেন-
" …......গ্রামে মহল্লায় প্রত্যেক মহল্লায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোলো, এবং তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো।"
৩. আত্মবিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রশ্নে সবসময় ছিলেন আত্মবিশ্বাসী। তিনি জনগণকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে দীপ্ত কণ্ঠে আওয়াজ করেছেন বলেছেন-
" ……....আমরা ভাতে মারবো, আমরা পানিতে মারবো………. । আর আমার বুকে গুলি চালাবার চেষ্টা করো না। ৭ কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না।
৪. মুক্তিযুদ্ধে পূর্ববর্তী মানুষকে সহায়তার নিদের্শ:
১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবর্তী আহতদের সহায়তার আহবান করেন। তাদেরকে উজ্জীবিত করতে বিত্তবানদেরও সহায়তার প্রার্থনা করেন। দেশের সকল যুদ্ধাহত যাতে পুনরায় শক্তি ফিরে পান যে ব্যবস্থার নির্দেশ রয়েছে ৭ই মার্চের ভাষণে। তিনি বলেছেন-
"আর যে সমস্ত লোক শহিদ হয়েছে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে, আমরা আওয়ামী লীগের থেকে যদ্দুর পারি তাঁদের সাহায্য করতে চেষ্টা করব। যাঁরা পারেন আমার রিলিফ কমিটিতে সামান্য টাকা পয়সা পৌঁছে দেবেন"।
৫. স্বাধীনতা পূর্ববর্তী দেশ পরিচালনা: ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ থেকে বাংলাদেশ পরিচালিত হয় শেখ মুজিবের নিদের্শনা অনুসারে। তিনি দেশ কিভাবে পরিচালিত হবে তার একটি দিকনিদের্শনা দেন ঐ ভাষণে। সাধারণ মানুষ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর সকলের দায়িত্ব সম্পর্কে বক্তব্য দেন। তাঁর ভাষায়-
"মনে রাখবেন, রেডিও টেলিভিশনের কর্মচারীরা যদি রেডিওতে আমাদের কথা, না শোনে তাহলে কোন বাঙালি রেডিও স্টেশনে যাবেন না।------ ২ ঘণ্টা ব্যাংক খোলা থাকবে, যাতে মানুষ তাদের মাইনেপত্র নিতে পারে। পূর্ব বাংলা থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে এক পয়সাও চালান হতে পারবে না।
৬. স্বাধীনতার পরোক্ষ ঘোষণা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চের ভাষণে পরোক্ষভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তিনি কিছু শর্ত তুলে দেন। সামরিক শাসনের অবসান, জনগণের প্রতিনিধির হাতে ক্ষমতার হস্তান্তর ইত্যাদি বিষয়গুলো উল্লেখ করে তিনি স্বাধীনতা প্রসঙ্গে বলেন-
"............আর যদি আমার লোককে হত্যা করা হয়, তোমরা প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো।....। এবারের সংগ্রাম
আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম"। পরিশেষে এতটুকুই বলা যায়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ যদিও ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ শুরু হয়, তবে এর পরোক্ষ আরম্ভ হয়েছিল ৭ই মার্চ, বলা হয়েছিল আর গুলি চললেই তা হবে স্বাধীনতার সংগ্রাম। সুতরাং আজকের স্বাধীনতার পিছনে সবচেয়ে বড় অবদান রয়েছে ৭ই মার্চের সেই ঐতিহাসিক ভাষণে।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
১৯৪৭ উত্তর সময়ে বাংলাদেশ অঞ্চলে বাংলা সাহিত্যের যে বিকাশ সাধিত হয়েছে এর বর্ণনা দিন।
স্থানীয় সরকার পর্যায়ে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ ব্যতীত সত্যিকার অর্থে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ সম্ভব নয়- বিশ্লেষণ সহকারে ব্যাখ্যা করুন।
বর্তমানে গ্যাস সংকট মোকাবেলায় সরকার কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে? সম্প্রতি বাংলাদেশ কর্তৃক সমুদ্র বিজয় এতে কী প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন?
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা কী? বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশনের দুর্বল দিকগুলো আলোচনা করুন।