নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়
বাংলার আপদে আজ লক্ষ কোটি বীর সেনা ঘরে ও বাইরে হাঁকে রণধ্বনি, একটি শপথ আজ হয়ে যায় শৌর্য ও বীরগাথার মহান সৈনিক, যেন সূর্যসেন, যেন স্পার্টাকাস স্বয়ং সবাই। উদ্দীপকের সবার সূর্যসেন ও স্পার্টাকাস হওয়ার ব্যাপারটি "নুরুলদিনের কথা মনে পড়ে যায়" কবিতার যে দিকগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত তা হলো- i. অধিকার আদায়ের নবজাগরণ ii. পূর্বসূরীর আহ্বান iii. সকলের সমন্বিত প্রয়াস
উদ্দিপক ও নুরুলদিন এর কথা মনে পরে যায় কবিতায় অধিকার আদায়ের নবজাগরণ এর জন্য কবি নূরলদীনের আগমনের কথা বলেছিলেন। তার মতো সংগ্রামী নেতা আমাদের পূর্বসূরীর এবং তার আহ্বানে আমরা আবার একত্রিত হয়ে লড়াই করে অধিকার আদায় করবো। এ লড়াইতে বিজয়ের জন্য সকলের সমন্বিত প্রয়াস প্রয়োজন যা উদ্দীপক ও কবিতায় প্রকাশ পেয়েছে।
পাহাড়ি ঢলের মতো নেমে এসে সমস্ত ভাসায়,
অভাগা মানুষ যেন জেগে ওঠে আবার এ আশায়
যে, আবার নূরলদীন একদিন আসিবে বাংলায়,
আবার নূরলদীন একদিন কাল পূর্ণিমায় দিবে ডাক,
"জাগো, বাহে, কোনঠে সবায়?"
উদ্দীপকে প্রতিফলিত চেতনা ব্যক্ত হয়েছে নিচের কোন চরণে?
রংপুরে নুরুলদিন একদিন ডাক দিয়েছিলেন?
কে একা নিঃসঙ্গ বসে অশ্রুপাত করে? সমস্ত নদীর অশ্রু অবশেষে _______ মেশে। শূন্যস্থানে কী হবে?
আবাল্য তোমার যে নিসর্গ ছিল নিদারুণ নির্বিকার, সুরক্ষিত দুর্গের মতন আমাদের প্রতিরোধে সে হলো সহায়,
ব্ল্যাক-আউট অমান্য করে তুমি দিগন্তে জ্বেলে দিলে
বিদ্রোহী পূর্ণিমা। আমি সেই পূর্ণিমার আলোয় দেখেছি;
আমরা সবাই ফিরছি আবার নিজস্ব উঠোন পার হয়ে নিজেদের ঘরে।