১০ সারাংশ / ভাবসম্প্রসারণ

ভাব-সম্প্রসারণ কর:

সত্য যে কঠিন,

কঠিনের ভালোবাসিলাম,

সে কখনো করে না বঞ্চনা।

সত্যকে স্থায়ীভাবে লুকানো অসম্ভব। এটা প্রকৃতির স্বভাবসিদ্ধ যে, সত্য একদিন উন্মোচিত হবেই। ব্যবসায়িক, পেশাদারী অথবা ব্যক্তিগত সম্পর্ক, যা মিথ্যার উপর স্থাপিত তা কোনোদিনই স্থায়ী হয় না। সত্য, সমতা ও পারস্পরিক কল্যাণের উপর প্রতিষ্ঠিত। জীবনের বিভেদ-বিভাজন, বেদনা ও আত্মপরিচয় সত্যের মাধ্যমেই পাওয়া যায়। কল্পনা বিলাসের দ্বারা জীবনের সত্যকে এড়িয়ে যাওয়ার অর্থ হলো জীবনের স্বাভাবিক গতি ও তার রূপকে অস্বীকার করা। সত্য ক্ষেত্রবিশেষে চরম পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে, তবে একমাত্র সত্যকে আঁকড়ে ধরার মাধ্যমেই নির্ভরতা ও নিঃসঙ্কোচে লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব।

১০ সারাংশ / ভাবসম্প্রসারণ টপিকের ওপরে পরীক্ষা দাও

এখনো না বুঝতে পারলে ডাউটস এ পোস্ট করো

পোস্ট করো

Related question

(ক) সারাংশ লেখো:

মানুষের একটা বড়ো পরিচয় সে ভাবতে পারে। করতে পারে যেকোনো বিষয়ে চিন্তা। যে চিন্তা ও ভাব মানুষকে সাহায্য করে মানুষ হতে। পশুপাখিকে পশুপাখি হতে ভাবতে হয় না- পারেও না ওরা ভাবতে বা চিন্তা করতে। সে বালাই ওদের নেই। যেটুকু পারে তার পরিধি অত্যন্ত সংকীর্ণ- বাঁচা ও প্রজননের মধ্যে তা সীমিত। সভ্য- অসভ্যের পার্থক্যও এ ধরনের। যারা যত বেশি চিন্তাশীল, সভ্যতার পথে তারাই তত বেশি অগ্রসর। আর চিন্তার ক্ষেত্রে যারা পেছনে পড়ে - আছে, সভ্যতারও পেছনের সারিতেই তাদের স্থান।

অথবা,

(খ) ভাবসম্প্রসারণ করো: প্রাণ থাকলে প্রাণী হয় কিন্তু মন না থাকলে মানুষ হয় না।

(ক) সারমর্ম লেখ:

ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই- ছোটো সে তরী

আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি।

শ্রাবণ গগন ঘিরে

ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে,

শূন্য নদীর তীরে,

রহিনু পড়ি-

যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী।

অথবা,

(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর: সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।

ক) সারমর্ম লেখো:

দৈন্য যদি আসে আসুক, লজ্জা কিবা তাহে? মাথা উঁচু রাখিস।

সুখের সাথী মুখের পানে যদি না চাহে, ধৈর্য ধরে থাকিস।

রুদ্র রূপে তীব্র দুঃখ যদি আসে নেমে বুক ফুলিয়ে দাঁড়াস,

আকাশ যদি বজ্র নিয়ে মাথায় পড়ে ভেঙে ঊর্ধ্বে দু'হাত বাড়াস।

অথবা,

(খ) ভাব-সম্প্রসারণ করো:

মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে, বয়সের মধ্যে নয়।

(ক) সারাংশ লেখঃ

বর্তমান সভ্যতায় দেখি, এক জায়গায় একদল মানুষ অন্ন উৎপাদনের চেষ্টায় নিজের সমস্ত শক্তি নিয়োগ করেছে, আর এক জায়গায় আর একদল মানুষ স্বতন্ত্র থেকে সেই অন্নে প্রাণধারণ করে। চাঁদের একপিঠে অন্ধকার, অন্যপিঠে আলো- এ সেই রকম। একদিকে দৈন্য মানুষকে পঙ্গু করে রেখেছে অন্যদিকে ধনের সন্ধান। ধনের অভিমান, ভোগ-বিলাস সাধনের প্রয়াসে মানুষ উন্মত্ত, অন্নের উৎপাদন হয় পল্লিতে, আর অর্থের সংগ্রহ চলে নগরে। অর্থ উপার্জনের সুযোগ ও উপকরণ যেখানেই কেন্দ্রীভূত, স্বভাবতই সেখানে আরাম, আরোগ্য, আমোদ ও শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়ে অপেক্ষাকৃত অল্পসংখ্যক লোককে ঐশ্বর্যের আশ্রয় দান করে। পল্লিতে সেই ভোগের উচ্ছিষ্ট যা- কিছু পৌঁছায় তা যৎকিঞ্চিৎ।

অথবা,

(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:

বিদ্যার সঙ্গে সম্পর্কহীন জীবন অন্ধ এবং জীবনের সঙ্গে সম্পর্কহীন বিদ্যা পঙ্গু।