বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস/প্রেক্ষাপট
ভারতের আসাম প্রদেশে যথেষ্ট সংখ্যক লোক বাংলা ভাষায় কথা বলে। আসামের বিধানসভায় ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে অসমীয়া ভাষাকে আসামের দাপ্তরিক ভাষা করার জন্য বিল পাশের সময় বাংলা ভাষাভাষীরা আন্দোলন শুরু করে। এই আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দের ১৯ মে হরতাল চলাকালে সাধারণ মানুষের মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে ১১ জন প্রাণ হারায়।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
মাতৃভাষাকে রাষ্ট্রভাষা রূপে প্রতিষ্ঠা করতে বাংলার গণমানুষ এবং ছাত্রদের বুকের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত করার ইতিহাস বিশ্বে নজিরবিহীন। ভাষা আন্দোলনে পূর্ব বাংলার ছাত্র সমাজের পাশাপাশি ছাত্রীদের ভূমিকাও ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভাষা আন্দোলনের শুরু থেকেই পূর্ববাংলার সকল আন্দোলনের সূতিকাগৃহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা ও ছাত্রদের সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে ভাষা আন্দোলনকে গতিশীল ও তীব্রতর করতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
আমি ভিখারী হইতে পারি, দুঃখ অশ্রুর কঠিন ভাবে চূর্ণ হইতে আপত্তি নাই। আমি মাতৃহারা অনাথ বালক হইতে পারি, কিন্তু আমার শেষ সম্বল ভাষাকে ত্যাগ করিতে পারি না। আমার ভাষা চুরি করিয়া আমার সর্বস্থ হরণ করিও না।
দাদু তার নাতিকে এমন একজন ভাষা শহিদের গল্প শোনালেন যিনি পাকিস্তান সরকারের সচিবালয়ের পিয়ন ছিলেন। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি তারিখে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিলে যোগ দিয়ে তিনি পুলিশের গুলিতে আহত হন। দেড় মাস ঢাকা মেডিকেলে মৃত্যুর সঙ্গে সংগ্রাম করে অবশেষে তিনি মারা যান। মরণোত্তর একুশে পদক প্রদান করে রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে সম্মানিত করা হয়। তার নামে একটি গ্রাম ও একটি ফোটিবিয়াস নামকরণ করা হয়।
