বিড়াল
'লাঙ্গুল' শব্দের অর্থ কী?
• 'লাঙ্গুল' শব্দটি বাংলা ভাষায় মূলত পুচ্ছ বা পশুর পেছনের অংশের সাথে সম্পর্কিত। এটি সাধারণত একটি হালকা বা সরল ধরণের পেছনের অংশ বা লেজ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
দরিদ্র বাবা-মা তাদের প্রথম সন্তানের নাম রাখেন সাজাহান। তাদের স্বপ্ন সাজাহান অনেক বড় হবে। কিন্তু আর্থিক অভাব ও শিক্ষা না থাকায় সাজাহান কিশোর বয়সেই কাজে নেমে পড়ে। পাশের গ্রামের কৃপণ ও ধনী আলম সাহেবের বাড়িতে সাজাহান কাজের লোক হিসেবে নিযুক্ত হয়। প্রতিদিন ঘরে ও বাইরে সমান পরিশ্রম করে সাজাহান। কিন্তু পরিশ্রম অনুযায়ী তাঁর ভাগ্যে খাবার জোটে না। একদিন বাজারের টাকা বাঁচিয়ে সাজাহান লাড্ডু কিনে খায়। কিন্তু টাকার হিসেব দিতে না পারায় আলম সাহেব তাকে নির্দয়ভাবে মারে। মনে ক্ষোভ নিয়েও সাজাহান সব সহ্য করে, কারণ সে জানে, সে গরীব-অসহায়।
গাছের একটি শসা চুরির অপরাধে দরিদ্র বালক ফজলকে নির্দয়ভাবে প্রহার করেন ধনী গৃহস্থ কোবাদ আলী। বালকটি আর্তনাদ করে বলে আর সে কখনও কিছু চুরি করবে না। ঘটনাটি দেখে মনু মাস্টারের প্রাণ কেঁদে ওঠে। দরিদ্র বালক ক্ষুধার জ্বালায় চুরি করেছে। নগণ্য একটি অপরাধে এমন অমানবিক শাস্তি! অথচ অন্যায়ভাবে কত মানুষের জমি দখল করে ধনী হয়েছেন কোবাদ আলী। মন খারাপ হলেও চুরির পক্ষ নিয়ে কথা বলার অবকাশ পান না মনু মাস্টার।
সাগর সাহেবের বাসায় কাজ করে আয়না বিবি। মাস শেষে বেতন পেলেও ঠিকমতো খাবার পায় না সে। ক্ষুধার যন্ত্রণায় মাঝে মাঝে চুরি করে খাবার খায় আয়না। একদিন খাবার চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লে শাস্তি হিসেবে প্রহার করে তাকে তাড়িয়ে দেয়। । আয়না বলে, "পেটে থাকলে চুরি না করে উপায় কী?"
শামসুদদীন আবুল কালামের 'মৌসুম' গল্পটি রচিত হয়েছে তৎকালীন জমিদারদের অধীন জনজীবনকে কেন্দ্র করে। সে সময় জমিদারদের শোষণের বিরুদ্ধে একদল সমাজরূপান্তর ও স্বাধীনতাকামীদের প্রচেষ্টায় কৃষকরা আন্দোলন শুরু করে। গল্পে দেখা যায়, দীর্ঘ খরার পর বৃষ্টির আগমনে কৃষকরা ভালো ফসল পাওয়ার আনন্দে বিভোর হয়। কৃষকদের মনের এই আনন্দ জমিদারের পছন্দ হয় না। চাল মজুদ করে দাম বাড়িয়ে কৃষকদের বেকায়দায় ফেলে দেয় জমিদার।