বিড়াল
শেষ পর্যন্ত এক কৃষজীবী পরিবারেই বিয়ে হয় ছবি রাণীর। স্বামী ধনপতির একটি উন্নত জাতের গাভি আছে; গাভির একটি ছোট্ট বাছুর আছে। সেই বাছুরকে মাতৃদুগ্ধ থেকে বঞ্চিত করে দুই বেলা গাভির সবটুকু দুধ দোহন করে নেয় ধনপতি। বাছুরকে জোরপূর্বক আটকে রেখে স্বামীকে সহায়তা করে ছবি রাণী। গাভি যেন সামান্য দুধও বাছুরের জন্য রাখতে না পারে, সেদিকে কড়া নজর তাদের। ক'দিন আগে ছবি রাণীর কোল জুড়ে আসে নবজাত ফুটফুটে এক শিশু সন্তান। এই শিশু যখন ক্ষুধায় কান্না করে, ছবি রাণী তখন পরিবারের সব কাজ ফেলে পরম মমতায় সন্তানকে মাতৃদুগ্ধদানে তৃপ্ত করে। একদিন তার শিশু সন্তানকে মাতৃদুগ্ধদানে পরিতৃপ্ত করতে গিয়ে সে অনুভব করে, মাতৃদুগ্ধ-বঞ্চিত রেখে কী নির্মম আচরণ করে যাচ্ছে তারা গাভির অসহায় বাছুরের ওপর। তারপর থেকে সে স্বামীকে এই কাজে আর সহায়তা করে না।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
গাছের একটি শসা চুরির অপরাধে দরিদ্র বালক ফজলকে নির্দয়ভাবে প্রহার করেন ধনী গৃহস্থ কোবাদ আলী। বালকটি আর্তনাদ করে বলে আর সে কখনও কিছু চুরি করবে না। ঘটনাটি দেখে মনু মাস্টারের প্রাণ কেঁদে ওঠে। দরিদ্র বালক ক্ষুধার জ্বালায় চুরি করেছে। নগণ্য একটি অপরাধে এমন অমানবিক শাস্তি! অথচ অন্যায়ভাবে কত মানুষের জমি দখল করে ধনী হয়েছেন কোবাদ আলী। মন খারাপ হলেও চুরির পক্ষ নিয়ে কথা বলার অবকাশ পান না মনু মাস্টার।
সাগর সাহেবের বাসায় কাজ করে আয়না বিবি। মাস শেষে বেতন পেলেও ঠিকমতো খাবার পায় না সে। ক্ষুধার যন্ত্রণায় মাঝে মাঝে চুরি করে খাবার খায় আয়না। একদিন খাবার চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লে শাস্তি হিসেবে প্রহার করে তাকে তাড়িয়ে দেয়। । আয়না বলে, "পেটে থাকলে চুরি না করে উপায় কী?"