প্রজনন জনিত সমস্যা, যৌনবাহিত রোগসমূহের লক্ষণ ও প্রতিকার
সিফিলিস রোগের লক্ষণ হলো-
নিচের কোনটি সঠিক?
সিফিলিস রোগের লক্ষণ: সিফিলিস রোগটি সাধারণত চারটি অবস্থায় থাকে—
১. প্রাথমিক অবস্থা (Primary Lesion) : প্রাথমিক অবস্থায় শিশ্নের মাথায় বা গায়ে ছোট ছোট ফুসকুঁড়ি ওঠে
এবং ঘায়ে গোটা সৃষ্টি করে। মহিলাদের ক্ষেত্রে যোনিমুখে ও ভালভায় গোটা দেখা যায়। ঘা প্রথমদিকে ছোট লাল দানার মতো শুরু হয়, তারপর তা ভেজা ও ধীরে ধীরে ক্ষয় হতে থাকে। গোটা বা ক্ষতটি প্রথমে বোতামের মতো বেদনাহীন শক্ত অনুভূত হয়। ১০-১৫ দিন পর ক্ষতটির চামড়া পাতলা হয়ে পেকে ওঠে এবং পুঁজ নির্গত হয়। যৌনাঙ্গ ছাড়া এ ঘায়ের গোটা পায়ু, ঠোঁট, স্তনের বোঁটায় হতে পারে। ৮-১০ সপ্তাহের মধ্যে গোটা মিলিয়ে যায় ।
২. সিফিলিসের ২য় স্তর (Secondary Syphilis): সংক্রমণের ৬ সপ্তাহ থেকে তিন মাস পর্যন্ত ২য় স্তরের অবস্থা শুরু হয়। এসময় সারা শরীরের ত্বকে ফুসকুঁড়ি দেখা দেয়। মাথার চুল পড়ে, মাথা ব্যথা, সামান্য জ্বর, গলায় ব্যথা, নিস্তেজ ভাব, রক্তস্বল্পতা ও ওজন হ্রাস পায়। ত্বকের ফুসকুঁড়িতে কোনো চুলকানি হয় না। অনেক ক্ষেত্রে তা তামাটে রংয়ের হয়। শরীরের ত্বকের ফুসকুঁড়ি আপনা-আপনি মিলিয়ে যায়। তখন এ ফুসকুঁড়ি হাত ও পায়ের তালুতে দেখা যায়। লসিকা গ্রন্থি ফুলে যায়। মহিলাদের যোনিদেশে আঁচিল জাতীয় দানা (condyloma lata) দেখা যায় এবং দুর্গন্ধময় রস নির্গত হয়। প্রায় ১ বৎসর পর রোগের চিহ্নগুলো মিলিয়ে যায় ।
৩. সুপ্ত সিফিলিস (Latent Syphilis) : সিফিলিসের ২য় স্তরের পর সুপ্ত অবস্থায় এ রোগের কোনো লক্ষণ দেখা যায় না । মূলতঃ সুপ্ত অবস্থায় এটা ২ বছরের অধিক কাল নিষ্ক্রিয় থাকে ।
৪. সিফিলিসের শেষ স্তর (Tertiary Syphilis): সুপ্তকাল থেকে ৩০ বৎসর পর রোগটি শরীরের যেকোনো অংশে আক্রমণ করতে পারে । হৃৎপিণ্ড, রক্তনালি, মস্তিষ্ক, স্নায়ুরজ্জু সাধারণত আক্রান্ত হয়। অন্যান্য প্রতিক্রিয়ার মধ্যে মুখে ঘা, ত্বক, হাড় ও লিগামেন্টের ক্ষয়, নাসারন্ধ্র আক্রান্ত হয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস বিঘ্নিত করে। বড় ধরনের প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে অন্ধ হয়ে যাওয়া, অঙ্গ অসাড়, উন্মাদনা এবং মৃত্যু। বিকৃতিকর অঙ্গের অবস্থা (Gumma) এ স্তরের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই