যৌন জনন, নিষেক ও নিষেকের পরিণতি
স্ত্রী গ্যামিটোফাইটে কয়টি অ্যান্টিপোডাল কোষ থাকে?
।মেগাস্পোর মাতৃকোষ (স্ত্রীরেণু মাতৃকোষ) থেকে সৃষ্ট চারটি মেগাস্পোরের (স্ত্রীরেণু কোষ) মধ্যে (অধিকাংশ.ক্ষেত্রে) বাইরের তিনটি বিনষ্ট হয়ে যায় এবং শুধু ভেতরেরটি কার্যকরি থাকে, যা ক্রমশ একটি ভ্ৰূণথলি গঠন করে। এমন একক নিউক্লিয়াস থেকে সৃষ্ট ভ্ৰূণথলিকে মনোস্পোরিক (monosporic) বলে। সক্রিয় মেগাস্পোর কোষটি প্রথমে আয়তনে বৃদ্ধি পায় এবং নিউক্লিয়াস বিভাজিত হয়ে দুটি নিউক্লিয়াস গঠন করে। এরা কোষের দু’প্রান্তে চলে যায় এবং পরপর দু’বার মাইটোসিস বিভাজনের মাধ্যমে চারটি করে নিউক্লিয়াস গঠন করে। প্রতি প্রান্ত থেকে
একটি করে নিউক্লিয়াস কেন্দ্রে সরে আসে এবং তারা মিলিত হয়ে গৌণ নিউক্লিয়াস (2n) গঠন করে। ডিম্বকরন্ধ্রের প্রান্তে অবশিষ্ট তিনটি নিউক্লিয়াস কোষ গঠন করে ও গভযন্ত্রে পরিণত হয়। এদের একটি অপেক্ষাকৃত বড় হয়ে ডিম্বাণু (egg) গঠন করে আর বাকি দু'টিকে সহকারি কোষ (synergids) বলে । নিচের তিনটি নিউক্লিয়াস সামান্য সাইটোপ্লাজমসহ কোষে পরিণত হয় এবং তাদের একত্রে প্রতিপাদ কোষ (antipodal cells) বলে। আবৃতবীজী উদ্ভিদে গভযন্ত্র, গৌণ নিউক্লিয়াস এবং প্রতিপাদ কোষগুলো মিলিতভাবে থলিসদৃশ যে দেহ গঠন করে তাকে স্ত্রী গ্যামিটোফাইট বলে। ডিম্বকের মধ্যে স্ত্রী গ্যামিটোফাইটের উৎপত্তি ঘটে। স্ত্রী গ্যামিটোফাইট স্পোরোফাইট এর উপর নির্ভরশীল।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই