বায়ান্নর দিনগুলো
১৫৯১ সালে গ্যালিলিও-এর আমলে ব্রুনো ছিলেন প্রতিশ্রুতিশীল মেধাবী গুরু-দার্শনিক। ভেনিসের অভিজাত এক ব্যক্তি জিওভানি মচেনিগো শিক্ষা লাভের আশায় ব্রুনোকে আমন্ত্রণ করেন । মচেনিগোকে পড়াতে গিয়ে প্রসঙ্গক্রমে যে কথাগুলো বলেছিলেন— তা মচেনিগোর অনুভূতিতে আঘাত হানে। তাই একসময় ভেনেটিয়ান ইনকুইজেশনের কাছে ব্রুনোর বিরুদ্ধে নালিশ করেন। ব্রুনো গ্রেফতার হন, ভেনেটিয়ানদের বিচার অমীমাংসিত থাকায় তাঁকে রোমে প্রেরণ করা হয়। ছয় বছর কারাভোগের পরে ১৬০০ সালে তাঁর মৃত্যুদণ্ড হয়; কঠিন আগুনে পুড়িয়ে মারা হবে তাঁকে। ১৬০০ সালের ফেব্রুয়ারির ৮ তারিখে তাকে শেষবারের মতো- সুযোগ দেওয়া হয় আত্মপক্ষ সমর্থনের- দোষ স্বীকারের। বিপন্ন, বিপর্যন্ত, অপদস্থ ব্রুনো তখন সেই অবিস্মরণীয় কথাটি বলেছিলেন— "Perhaps your fear in Passing this sentence upon me is grater than mine in accepting it."
বদ্ধভূমিতে নেওয়ার সময় দুপাশের মানুষের প্রতি তার সত্য বলার স্পৃহা দেখে দুই ঠোঁটে স্পাইক দিয়ে মুখ বন্ধ দেওয়া হয়। শাসকরা ভেবেছিল, তাঁকে হত্যা করলেই তাঁর আদর্শ শেষ হয়ে যাবে। আসলে হয়েছে উলটো।
"অসহায় জাতি মরিছে ডুবিয়া, জানে না সন্তরণ, কান্ডারি! আজ দেখিব তোমার মাতৃমুক্তিপণ। "হিন্দু না ওরা মুসলিম?" ওই জিজ্ঞাসে কোন জন? কান্ডারি। বল ডুবিছে মানুষ, সন্তান মোর মার।
'দেরি করতে করতে দশটা বাজিয়ে দিলাম'- জেলগেটে বঙ্গবন্ধুর এ দেরি করার কারণ ছিল-
আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় এদেশের জনগণ বিভিন্ন ধরনের স্লোগানে শহর-বন্দর-গ্রাম আন্দোলিত করে মুক্তিযুদ্ধকে বেগবান করেছে। কার্টুন, দেয়াল লেখা, গানের মাধ্যমে সংগ্রামের চেতনা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল সর্বত্র।
উদ্দীপকে 'বায়ান্নর দিনগুলো' রচনার কোন চেতনা প্রকাশ পেয়েছে?
"এভাবে মৃত্যুবরণ করে কি লাভ হবে?" উক্তিটি কার?