বাংলা ভাষার শব্দভান্ডার ও শব্দের শ্রেণিবিভাগ
(ক) উদাহরণসহ 'আবেগ শব্দের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা করো।
অথবা,
(খ) নিচের অনুচ্ছেদ থেকে পাঁচটি বিশেষণ পদ চিহ্নিত করো:
এখন প্রচন্ড শীত। কফিল ঠান্ডা থেকে রক্ষা পেতে উঠানে বসে সকালের মিষ্টি রোদে গা গরম করছিল। রান্নাঘর থেকে মা তাকে ডাক দেয় ভাঁপা পিঠা খেতে। তার মায়ের হাতের পিঠা যেন অমৃত। লোভাতুর জিহ্বার পরিতৃপ্তি সাধনে সে নগ্নপায়ে রান্নাঘরে দৌড় দেয়।
(ক) উত্তরঃ
যেসব শব্দের মাধ্যমে মনের নানা আবেগ ও ভাব প্রকাশিত হয় তাদেরকে আবেগ-শব্দ বলে। এরা বাক্যে স্বাধীনভাবে ব্যবহৃত হয় অন্য পদের সাথে এদের কোনো সম্পর্ক নেই। প্রকাশভঙ্গি অনুসারে আবেগ-শব্দকে কয়েক ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন:
ক. সিদ্ধান্তবাচক আবেগ-শব্দ: অনুমোদন, সম্মতি, সমর্থন ইত্যাদি ভাব প্রকাশ করতে এ জাতীয় আবেগ-শব্দ ব্যবহৃত হয়। যেমন:
• হু, যুক্তিটা ভালোই মনে হচ্ছে।
• বেশ, তবে চলো।
• আমি তোমার কোনো বাধাই মানবো না।
খ. প্রশংসাবাচক আবেগ-শব্দ: এ জাতীয় আবেগ-শব্দের সাহায্যে প্রশংসা বা তারিফের মনোভাব প্রকাশিত হয়। যেমন:
• শাবাশ! দেখার মতো একটা ছক্কা হাকালে।
• বাঃ! তুমি তো অসাধারণ গাইতে পার।
গ. বিরক্তিসূচক আবেগ-শব্দ: এ ধরনের আবেগ-শব্দের মাধ্যমে অবজ্ঞা, ঘৃণা, বিরক্তি। ইত্যাদি মনোভাব প্রকাশ করা হয়। যেমন:
• ছিঃ ছিঃ! এত নীচ তুমি হতে পারলে। কী জ্বালা!
• লোক যে পিছু ছাড়ে না।
ঘ. ভয় ও যন্ত্রণাবাচক আবেগ-শব্দ: এ ধরনের আবেগ-শব্দের সাহায্যে আতঙ্ক, যন্ত্রণা। কাতরতা ইত্যাদি ভাব প্রকাশিত হয়। যেমন:
• উঃ! কী ব্যথা। আঃ!
• কী মুছিবত।
ঙ. বিস্ময়বাচক আবেগ-শব্দ: এ ধরনের আবেগ-শব্দ বিস্মিত বা আশ্চর্য হওয়ার ভাৰ প্রকাশ করে থাকে। যেমন:
• আরে, তুমি না চলে গেলে!
• আঁ, বলছো কী? ও এখনো বেঁচে আছে!
চ. করুণাবাচক আবেগ-শব্দ: করুণা, সহানুভূতি ইত্যাদি মনোভাব প্রকাশে এ ধরনের আবেগ-শব্দ ব্যবহৃত হয়। যেমন:
• আহা! মা-হারা ছেলেটির দেখার কেউ নেই।
• হায়! হায়! এখন সে কোথায় যাবে।
ছ. সম্বোধনবাচক আবেগ-শব্দ: সম্বোধন বা আহ্বান করার ক্ষেত্রে এ ধরনের আবেগ-শব্দ। ব্যবহৃত হয়। যেমন:
• ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে।
• হে বৎস, সদা সত্য কথা বলো।
জ. অলংকারিক আবেগ-শব্দ: এ ধরনের আবেগ-শব্দ বাক্যের অর্থের পরিবর্তন না ঘটিয়ে কোমলতা, মাধুর্য ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য এবং সংশয়, অনুরোধ, মিনতি ইত্যাদি মনোভাব প্রকাশের জন্য অলংকার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
• দুর পাগল! এ আবার বলতে হয়।
• যাকগে যাক, ওসব নিয়ে আমার মাথা ব্যথা নেই।
(খ) উত্তরঃ
i. প্রচণ্ড, ii. মিষ্টি, iii. অমৃত, iv. লোভাতুর, v. নগ্নপায়ে।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
(ক) আবেগ শব্দ কাকে বলে? উদাহরণসহ আবেগ শব্দের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা কর।
অথবা,
(খ) অনুচ্ছেদ থেকে বিশেষণ বাছাই করে লেখ (যেকোনো পাঁচটি):
একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ১৯৫২ সালের এই দিনে বাংলা ভাষার জন্য বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে অদম্য বাঙালি অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এই গৌরবময় ও ঐতিহ্যবাহী ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই আমরা পেয়েছি কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা।
(ক) ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি কাকে বলে? ব্যাকরণিক শব্দ কত প্রকার ও কী কী? উদাহরণসহ আলোচনা কর।
অথবা,
(খ) নিম্নরেখ যেকোনো পাঁচটি শব্দের ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি নির্দেশ কর:
i) বিপদ কখনও একা আসে না।
ii) বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অতুলনীয়।
iii) হে বন্ধু বিদায়।
iv) আমাদের ছোট গাঁয়ে ছোট ছোট ঘর।
v) বুঝিলাম মেয়েটির রূপ বড়ো আশ্চর্য।
vi) পহেলা বৈশাখ বাঙালির উৎসবের দিন।
vii) সাদা কাপড় পরলেই মন সাদা হয় না।
viii) শাবাশ! দারুণ খেলেছে বাংলাদেশ।
(ক) আবেগ শব্দ কাকে বলে? উদাহরণসহ আবেগ শব্দের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা কর।
অথবা,
(খ) নিম্নরেখ যেকোনো পাঁচটি শব্দের ব্যাকরণিক শব্দ নির্দেশ কর:
ভোররাত থেকে বৃষ্টি। আহা! বৃষ্টির ঝমঝম বোল। এই বৃষ্টির মেয়াদ আল্লা দিলে পুরো তিন দিন। কারণ শনিতে সাত, মঙ্গলে তিন, আর সব দিন দিন। এটা জেনারেল স্টেটমেন্ট। স্পেসিফিক ক্লাসিফিকেশনেও আছে। যেমন, মঙ্গলে ভোররাতে হইল শুরু, তিন দিন মেঘের গুরুগুরু। তারপর, বুধের সকালে নামল জল, বিকালে মেঘ কয় এবার চল। বৃহস্পতি শুক্র কিছু বাদ নাই।
বাংলা ভাষায় অর্ধ-মাত্রার বর্ণ কয়টি?