রেইনকোট
চাবুকের বাড়ির দিকে নুরুল হুদার আর মনোযোগ দেওয়া হয়ে ওঠে না কেন?
গল্পের কিছু লাইনঃ
নুরুল হুদার কাছে মনে হয় স্রেফ উৎপাত বলে। মনে হচ্ছে যেন বৃষ্টি পড়ছে মিন্টুর রেইনকোটের ওপর। রেইনকোটটা এরা খুলে ফেলেছে, কোথায় রাখল কে জানে। কিন্তু তার ওম তার শরীরে এখনো লেগেই রয়েছে। বৃষ্টির মতো চাবুকের বাড়ি পড়ে তার রেইনকোটের মতো চামড়ায় আর সে অবিরাম বলেই চলে, মিসক্রিয়েন্টদের ঠিকানা তার জানা আছে। শুধু তার শালার নয়, তার ঠিকানা জানার মধ্যে কোনো বাহাদুরি নাই, সে ছদ্মবেশী কুলিদের আস্তানাও চেনে। তারাও তাকে চেনে এবং তার ওপর তাদের আস্থাও কম নয়। তাদের সঙ্গে তার আঁতাতের অভিযোগ ও তাদের সঙ্গে তার আঁতাত রাখার উত্তেজনায় নুরুল হুদার ঝুলন্ত শরীর এতটাই কাঁপে যে চাবুকের বাড়ির দিকে তার আর মনোযোগ দেওয়া হয়ে ওঠে না।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
আসাদ গেট বাসস্টপেজে ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে যারা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিল তাদের কী মনে করেছিল নুরুল হুদা? ' তারা—
"আমার নাম? সত্যি বলেছে? আমার নাম বলেছে?” বাক্যটিতে নুরুল হুদার কী ধরনের মনোভাব বিকৃত হয়েছে?
মমতাজ উদ্দীন আহমদ রচিত নাটক ‘স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা’। এ নাটকের উজ্জ্বল চরিত্র দারোগা নুর মোহাম্মদ। অর্থ পুরস্কারের লোভে তিনি আকৃষ্ট হননি। তাই তো ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক পুরস্কার ঘোষিত আসামি স্বদেশি আন্দোলনের নেতাকে হাতের নাগালে পেয়েও ছেড়ে দিয়েছেন। এভাবেই দেশের স্বাধীনতার জন্য কাজ করে যাওয়া বিপ্লবী চেতনার সাথে একাত্ম হয়ে গেছেন তিনি।
হত্যাকে উৎসব ভেবে যারা পার্কে, মাঠে, ক্যাম্পাসে, বাজারে
বিষাক্ত গ্যাসের মতো মৃত্যুর বীভৎস গন্ধ দিয়েছে ছড়িয়ে,
আমি তো তাদের জন্য অমন সহজ মৃত্যু করি না কামনা।
(তথ্যসূত্র: অভিশাপ দিচ্ছি- শামসুর রাহমান)