রেইনকোট
“তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা, শহরের বুকে জলপাই রঙের ট্যাঙ্ক এলো দানবের মতো চিৎকার করতে করতে'
উদ্দীপকের আবহ 'রেইনকোট' গল্পের যে দিকটি ফুটে উঠেছে—
i. মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহ চিত্র
ii. পাকিস্তানিদের বর্বরতা
iii. বাঙালির স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা
নিচের কোনটি সঠিক?
এখানে জলপাই রঙের ট্যাঙ্ক বলতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গাড়ি করে এসে বাঙালিদের উপর নির্যাতনের ঘটনা বোঝানো হয়েছে। মুক্তি যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী যাকে সন্দেহ হতো তাকেই বিনা বিচারে বন্দী করে নিয়ে হত্যা করতো। এই ট্যাঙ্ক তাদের অত্যাচারের প্রতীক। রেইনকোট গল্পে মুক্তিযুদ্ধ এর সময়কার বাস্তবতা ও ভয়াবহতা তুলে ধরা হয়েছে যা উক্ত লাইনেও প্রকাশ পায়
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
মমতাজ উদ্দীন আহমদ রচিত নাটক ‘স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা’। এ নাটকের উজ্জ্বল চরিত্র দারোগা নুর মোহাম্মদ। অর্থ পুরস্কারের লোভে তিনি আকৃষ্ট হননি। তাই তো ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক পুরস্কার ঘোষিত আসামি স্বদেশি আন্দোলনের নেতাকে হাতের নাগালে পেয়েও ছেড়ে দিয়েছেন। এভাবেই দেশের স্বাধীনতার জন্য কাজ করে যাওয়া বিপ্লবী চেতনার সাথে একাত্ম হয়ে গেছেন তিনি।
হত্যাকে উৎসব ভেবে যারা পার্কে, মাঠে, ক্যাম্পাসে, বাজারে
বিষাক্ত গ্যাসের মতো মৃত্যুর বীভৎস গন্ধ দিয়েছে ছড়িয়ে,
আমি তো তাদের জন্য অমন সহজ মৃত্যু করি না কামনা।
(তথ্যসূত্র: অভিশাপ দিচ্ছি- শামসুর রাহমান)
'রেইনকোট' গল্পে নুরুল হুদার ঝুলন্ত শরীর কাঁপতে থাকে কেন?
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে একটি ছাত্রাবাস থেকে মিলিটারিরা সাজ্জাদকে তুলে নিয়ে যায়। অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে তারা তার পিতার সন্ধান চায়। ক্ষত-বিক্ষত হয়েও সাজ্জাদ নীরব থাকে। মনে পড়ে বাবার শেষ উপদেশ, "জীবনের চেয়ে দেশ, অনেক বড়।" নিজেকে একজন দেশপ্রেমী মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মনে করায় তার বুক ফুলে ওঠে।