ঐকতান
'ভোরের পাখি' কার ছদ্মনাম?
বিহারীলাল চক্রবর্তী (১৮৩৫-১৮৯৪) বাংলায় রোমান্টিক গীতিকাব্যের প্রথম স্রষ্টা ও সার্থক পথপ্রদর্শক। রবীন্দ্রনাথ ছিলেন তাঁর অনুগামী ও ভক্ত এবং রবীন্দ্রনাথের প্রথম দিকের রচনায় বিহারীলালের প্রভাব বিশেষভাবেই দেখা যায়, যেমন 'বাল্মীকি প্রতিভা'র ভাবে ও ভাষায় অগ্রজ কবির জ্যোতির্ময় ভাবনার স্পর্শ অনুভূত হয়। বিহারীলাল যথার্থই প্রথম আত্মভাবমূলক গীতিকবিতা রচনা করেন, আসন্ন-উদ্ভাস সূর্যের আলোকচ্ছটায় তাঁর মন হয়েছিল দীপ্ত। রবীন্দ্রনাথ তাই বিহারীলালকে ‘ভোরের পাখী' রূপে অভিহিত করেন। তিনি বলেছেন—“সে প্রত্যুষে অধিক লোক জাগে নাই এবং সাহিত্যকুঞ্জে বিচিত্র কলগীত কুজিত হইয়া উঠে নাই। সেই উষালোকে কেবল একটি ভোরের পাখী সুমিষ্ট সুন্দর সুরে গান ধরিয়াছিল। সে তাহার নিজের। ঠিক ইতিহাসের কথা বলিতে পারি না, কিন্তু আমি সেই প্রথম বাংলা কবিতায় কবির নিজের সুর শুনিলাম”।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
হে সুন্দরী বসুন্ধরে, তোমা পানে চেয়ে কতবার প্রাণ,
মোর উঠিয়াছে গেয়ে প্রকাণ্ড উল্লাস ভরে,
ইচ্ছা করিয়াছে সবলে আঁকড়ি ধরি
এ বক্ষের কাছে সমুদ্র মেখলা পরা তব কটিদেশ;
প্রভাত রৌদ্রের মতো অনন্ত অশেষ ব্যপ্ত হয়ে
দিকে দিকে অরণ্যে ভূধরে কম্পমান পল্লবের হিল্লোলের পরে
করি নৃত্য সারাবেলা;
নমি আমি প্রতিজনে,
আদ্বিজ-চণ্ডাল, প্রভু, ক্রীতদাস!
সিন্ধুমূলে জলবিন্দু, বিশ্বমূলে অণু;
মগ্রে প্রকাশ!
নমি কৃষি-তন্তুজীবী,
স্থপতি, তক্ষক কর্ম, চর্মকার!
কবি সর্বত্র প্রবেশের দ্বার পাননি কেন?
কবি রবীন্দ্রনাথ কোথায় সংকীর্ণ বাতায়নে বসেছেন?