জীবনে অনেকের স্বপ্ন হলো ডাক্তারি পড়া। সাদা এপ্রোন পরে, সদর্পে মেডিকেল কলেজে দাপিয়ে বেড়াবে। মা-বাবার আশা পূরণ করবে, সব বন্ধুদের মধ্যে তুমি হবে অনন্য। সাদা আপ্রন এই স্বপ্ন সত্যি হবে যদি চেষ্টা করো।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১৭ জানুয়ারি ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
অল্প সময়ে কীভাবে প্রস্তুতি নিলে পরীক্ষায় ভালো করা সম্ভব, আজকের মেডিকেল ভর্তি প্রস্তুতিতে সে বিষয়েই আলোচনা করব।
মেডিকেল আবেদন
মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন শুরু হয়েছিল ১০ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে। আবেদন শেষ হবে ২৭ ডিসেম্বর রাত ১১:৫৯ মিনিটে। আবেদন ফি রাখা হয়েছে ১ হাজার টাকা। আবেদন ফি পরিশোধের শেষ সময় ২৭ ডিসেম্বর।
যারা আবেদন করেছেন, তারা পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১৭ জানুয়ারি শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত।
১০০ নম্বরের ১০০টি এমসিকিউ প্রশ্নের ১ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বিষয়ের নাম | নম্বর |
জীববিজ্ঞান | ৩০ |
রসায়ন | ২৫ |
পদার্থবিদ্যা | ২০ |
ইংরেজি | ১৫ |
বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ | ১০ |
মোট নম্বর | ১০০ |
প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। ১০০ নম্বরের মধ্যে পরীক্ষার্থীকে ন্যূনতম ৪০ নম্বর পেতে হবে। এর কম পেলে অকৃতকার্য বলে বিবেচিত হবেন। শুধু কৃতকার্য পরীক্ষার্থীর মেধাতালিকাসহ ফলাফল প্রকাশ করা হবে। এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ মোট ২০০ নম্বর হিসাবে নির্ধারণ করে মূল্যায়ন করা হবে। লিখিত পরীক্ষার ভিত্তিতে মেধাতালিকা প্রণয়ন করা হয়।
বাংলাদেশের নাগরিক শিক্ষার্থী যারা ইংরেজি ২০২১ বা ২০২২ সনে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় এবং ইংরেজি ২০২৪ বা ২০২৩ সনে এইচএসসি বা সমমানের উভয় পরীক্ষায় পদার্থ, রসায়ন ও জীববিদ্যাসহ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তারা ভর্তির আবেদন করার যােগ্য হবেন। ২০২০ সালের পূর্বে এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্র/ছাত্রীরা আবেদনের যােগ্য বলে বিবেচিত হবেন না।
সকল দেশী ও বিদেশী শিক্ষা কার্যক্রমে এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান দুটি পরীক্ষায় মােট জিপিএ কমপক্ষে ৯.০০ হতে হবে । সকল উপজাতীয় ও পার্বত্য জেলার অ-উপজাতীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় মােট জিপিএ কমপক্ষে ৮.০০ হতে হবে। তবে এককভাবে কোন পরীক্ষায় জিপিএ ৩.৫০-এর কম হলে আবেদনের যােগ্য হবেন না।
সকলের জন্যে এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানে (Biology) ন্যূনতম জিপিএ ৪.০০ থাকতে হবে।
২০২৫ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস/বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় পূর্ববর্তী বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের সর্বমােট (Aggregated) নম্বর (এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-এর ১৫ গুণ+এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-এর ২৫ গুণ+ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর) থেকে ০৫ (পাচ) নম্বর কেটে এবং পূর্ববর্তী বৎসরের সরকারি মেডিকেল বা ডেন্টাল কলেজ/ইউনিট-এ ভর্তিকৃত ছাত্র/ছাত্রীদের ক্ষেত্রে মােট প্রাপ্ত নম্বর থেকে ১০ নম্বর কেটে মেধা তালিকা তৈরি করা হবে। লিখিত পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তর প্রদানের জন্য ০.২৫ নম্বর কর্তন করা হবে।
এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ মােট ২০০ নম্বর হিসেবে নির্ধারণ করে নিম্নলিখিতভাবে মূল্যায়ন করাহবে :
ক) এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-এর ১৫ গুণ=৭৫ নম্বর (সর্বোচ্চ)
খ) এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-এর ২৫ গুণ=১২৫ নম্বর (সর্বোচ্চ)
লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্তনম্বরের যােগফলের ভিত্তিতে মেধা তালিকা প্রণয়ন করা হবে।
গুরুত্বপূর্ণ তারিখ এবং সময়সূচী | |
---|---|
|
|
বিগত বছরগুলো অ্যানালাইসিস করলে দেখতে পাবে—৭০ থেকে ৭৫ মার্কস পেলে একটা সিট নিশ্চিত করা যায়। তুমি হয়তো বায়োলজির একটা অধ্যায় পড়েছ। তারপর প্রশ্নব্যাংক থেকে শেষ ১০ বছরের প্রশ্ন সলভ করবে। দেখবে বেশির ভাগই পারছ। প্রশ্ন কিন্তু অত কঠিন হয় না। কঠিন লাগে কেন তাহলে? এর কারণ হলো, একসঙ্গে সব বিষয়ের পরীক্ষা দিতে হয়, তা-ও আবার আলাদা থাকে প্রশ্ন। ৬০ মিনিটে ১০০টি উত্তরের বৃত্ত ভরাট করতে হয়। তাই প্রশ্ন সহজ হলেও আমাদের কাছে কঠিন হয়ে যায়। এর জন্য চাই অনুশীলন আর সময়ের টাইম ম্যানেজমেন্ট। বিগত সালের প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন সচরাচর নিম্নোক্ত কয়েক জায়গা থেকে করা হয়।
|
Dhaka Medical College | Noakhali Medical College |
Mymensingh Medical College | Jessore Medical College |
Rajshahi Medical College | Cox’s Bazar Medical College |
Faridpur Medical College | Comilla Medical College |
Pabna Medical College | Sher-E-Bangla Medical College |
MAG Osmani Medical College | Dinajpur Medical College |
Kalihati Medical College, Tangail | Khulna Medical College |
Rangpur Medical College | Shaheed Ziaur Rahman Medical College |
আবেদন ফি জমা দেওয়া আগ পর্যন্ত অনালাইন আবেদন চুড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে না । ফি জমা দেয়ার পদ্ধতি ধাপে ধাপে বর্ণনা করা হল-
টেলিটকের Prepaid মােবাইল ফোনের Message অপশনে গিয়ে MBBS লিখে, স্পেস দিয়ে User ID লিখে 16222 নম্বরে SMS পাঠাতে হবে।
উদাহরণ: MBBS
ফিরতি SMS-এ একটি PIN, প্রার্থীর নাম এবং পরীক্ষার ফিস হিসেবে ১০০০/- (এক হাজার) টাকা কেটে রাখার তথ্য দিয়ে সম্মতি চাওয়া হবে। সম্মতি দেয়ার জন্য নিম্নোক্তভাবে 16222 নম্বরে SMS পাঠাতে হবে।
Message অপশনে গিয়ে MBBS লিখে, স্পেস দিয়ে YES লিখে স্পেস দিয়ে PIN লিখে স্পেস দিয়ে পছন্দের সর্বোচ্চ চারটি Centre Code (১ নং সারণিতে) কমা (,) দিয়ে লিখে 16222 নম্বরে SMS প্রেরণ করতে হবে।
উদাহরণ: MBBS
PIN নম্বরটি সঠিক ভাবে লেখা হলে উক্ত টেলিটকের Prepaid মােবাইল থেকে পরীক্ষার ফি বাবদ ১০০০/(একহাজার) টাকা কেটে রাখা হবে এবং প্রার্থীকে ফিরতি SMS-এ পরীক্ষা কেন্দ্রের নাম জানিয়ে একটি User ID ও Password দেওয়া হবে।
User ID ও Password ব্যবহার করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে হবে ।
মেডিকেল ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে তাদের আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন । এমবিবিএস ভর্তি বিষয়ক ওয়েবসাইটের ঠিকানা http://dgme.teletalk.com.bd/mbbs/index.php আবেদনের নিয়মাবলী ধাপে ধাপে বর্ণনা করা হল-
ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ফরম পূরণ করতে হবে । কিভাবে ফরম পূরণ করতে হবে তাদের নির্দেশনা নিচে দেখো-
১. ছবি: স্ক্যান করা অথবা ডিজিটাল ক্যামেরায় তােলা ছবি হতে হবে এবং মাপ হবে 300 x 300 pixel । তবে ছবির সাইজ কোনভাবেই 100 KB এর বেশী হবে না ।
২.স্বাক্ষর: একটি সাদা কাগজে গাঢ় করে স্বাক্ষর করে স্ক্যান করতে হবে । স্ক্যানকৃত ছবি মাপ 300 x 80 pixel হতে হবে । তবে ফাইলের সাইজ 60 KB এর বেশী হবে না ।
৩. ঠিকানা: প্রার্থীর জেলা, বর্তমান ঠিকানা, স্থায়ী ঠিকানা (জেলা, থানা/উপজেলা, পােস্ট কোড ইত্যাদি) ইংরেজীতে লিখতে হবে ।
৪. পছন্দের তালিকা: ভর্তিচ্ছু মেডিকেল কলেজগুলির নাম নিজের পছন্দের ক্রমানুসারে সাজিয়ে লিখে রাখতে হবে । কারণ পছন্দক্রম একবার টাকা দেওয়ার পর আর বদলানাে যাবে না। মেডিকেল কলেজসমূহের তালিকা বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া আছে ।
৫. এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার তথ্য
সরকারি মেডিকেল কলেজ-এ ভর্তির জন্য মুক্তিযোদ্ধা, উপজাতি ও অ-উপজাতিদের জন্য নির্ধারিত আসন বাদে অবশিষ্ট আসনে জাতীয় মেধায় প্রার্থী নির্বাচন করা হবে। এ ছাড়া যুক্তিযুক্ত সংখ্যক প্রার্থীদের মেধা ভিত্তিক অপেক্ষমান তালিকাও প্রকাশ করা হবে। সংরক্ষিত আসনসমূহে ও নিজ নিজ শ্রেণির দাবীদারদের মধ্য হতে মেধার ভিত্তিতে প্রার্থী নির্বাচন করা হবে। নির্বাচিত প্রার্থীর অর্জিত মেধাক্রম এবং কলেজ পছন্দের ভিত্তিতে প্রার্থী কোনো কলেজে ভর্তি হবেন তা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে নির্ধারণ করা হবে।
পরীক্ষার ফল প্রার্থীর মোবাইলে SMS মাধ্যমে জানানো হবে। এছাড়া স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে www.dgme.gov.bd এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে www.dghs.gov.bd হতে পরীক্ষার ফল জানা যাবে।
মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সংরক্ষিত ২% আসন মোট আসনের মধ্যে সীমিত থাকবে। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান এবং সন্তানদের সন্তানগণ আবেদন করতে পারবে।
সরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের অব্যবহিত পরের দিন বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। তবে ভর্তি পরীক্ষার ৪০ নম্বরের নিচে প্রাপ্ত পরীক্ষার্থীগণ কোনোভাবেই ভর্তির আবেদনের জন্য যোগ্য বিবেচিত হবে না।
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি হিসেবে প্রতিটি বিষয় ভালো করে রিভিশন দেওয়া জরুরী। কারণ একমাত্র ভালো রিভিশনই পারে পরীক্ষায় সঠিকভাবে প্রশ্নের উত্তর দিতে। মনে রাখতে হবে, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অনেক জটিল কিংবা প্যাচ মারা ইকুয়েশন অথবা মাথা ঘুরানো রিয়াকশন খুব একটা থাকে না। ভালো প্রিপারেশন থাকলে খুব সহজেই এগুলো উত্তর করা যায়। একে একে সবগুলো বিষয় নিয়ে কিভাবে প্রিপারেশন নিতে হবে সেটা বিস্তারিত ভাবে লিখছি-
সাধারণ জ্ঞান: যেকোনো সাধারণ জ্ঞানের বই থেকে বাংলাদেশ বিষয়াবলি শেষবারের মতো দেখে নাও।সাধারণ জ্ঞান বিষয়ের ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক বিষয়াবলি, খেলাধুলা, বাংলাদেশের নদ-নদী, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, বাংলা সাহিত্য, বাংলাদেশ ও বিশ্বের প্রথম, বৃহত্তম, ক্ষুদ্রতম, বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিখ্যাত স্থাপত্য ও ভাস্কর্য, পুরস্কার ও সম্মাননা, বিশ্ব ইতিহাস এবং বিভিন্ন ধরনের দিবসসমূহ ভালোভাবে পড়বে
ইংরেজি: বিগত বছরগুলোতে মেডিকেল ও ডেন্টাল প্রশ্নপত্রে যেসব বিষয়ের ওপর ইংরেজি প্রশ্নগুলো (যেমন Voice, Narration, Synonym, Antonym, Correction, Spelling, Preposition, Phrase & Idioms ইত্যাদি) সেগুলো সমাধান করার পাশাপাশি ভালো কোনো গ্রামার বই থেকে ওই বিষয়গুলো আরও বিস্তারিত পড়তে হবে।
Synonym
Antonym
Voice change
Translation
Spelling
Vocabulary
Transformation
Phrase and Idioms
Preposition
পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান : পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান সমাধানের জন্য বিগত ১০ বছরের মেডিকেল এবং ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর বারবার রিভিশন দিতে হবে। এই কয়দিন শুধু বইয়ের দাগানো তথ্যগুলো রিভিশন দিতে হবে।
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে রসায়ন অংশে নম্বর তোলাটাই বেশ কঠিন। প্রতিটি অধ্যায়ের পেছনের MCQ এবং বোর্ড প্রশ্নগুলো বারবার পড়তে হবে। এ ক্ষেত্রেও শর্ট সিলেবাসকে প্রাধান্য দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে। জৈব যৌগ এবং পর্যাপ্ত ধর্ম পারলেই মোটামুটি ১০-১১ নম্বর পাওয়া সম্ভব।
প্রথম পত্রের ২য়, ৩য় ও ৪র্থ অধ্যায় থেকে বেশি প্রশ্ন আসে। আর দ্বিতীয় পত্রের ১ম, ৪র্থ, ৫ম অধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ। দ্বিতীয় পত্রের ৩য় অধ্যায়ের ছোট ছোট অঙ্কগুলো প্রায়ই আসে। রসায়ন অংশে ভালো করতে হলে রসায়ন দ্বিতীয় পত্রকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। প্রথমত, এই অংশে জৈব যৌগ আছে, যাতে অনেকেরই সমস্যা থাকে। বিভিন্ন নামধারী বিক্রিয়া, শনাক্তকারী বিক্রিয়া, অ্যালকোহল, এলডল ক্যানিজারো, ইলেকট্রোফাইল নিউকোফাইল, শেষ দিকের কিছু মুখস্থ তথ্য বারবার চর্চা করতে হবে। মেডিকেলে ভর্তির জন্য ফিজিক্সের পড়া তুলনামূলক কম হয়ে থাকে। ফিজিকসের ক্ষেত্রে শর্ট সিলেবাস পড়াই উত্তম। ১৫টা চ্যাপ্টার থেকে ২০টা প্রশ্ন আসবে। এর জন্য সূত্র, একক, মাত্রা, ছক, বৈশিষ্ট্য, কিছু ছোট ফর্মুলা ম্যাথ পড়লেই চলবে।
পরীক্ষার আগের দিন করণীয়: মূল পরীক্ষার আগে প্রিপারেশন শেষ করা জরুরি। পরীক্ষার ঠিক আগের দিনটিতে বেশি পড়ালেখা করার কোনো দরকার নেই। রিলাক্স মুডে থাকতে হবে। নিজের সিট কোথায় পড়ল, সেটা একবার দেখে আসাটা বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ পরীক্ষার দিন সকালে তাহলে আর টেনশনে পড়তে হবে না।
পরীক্ষার দিন করণীয়: যেখানে তোমার সিট পড়েছে, সেই হল খুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রবেশ করতে হবে। ধীর স্থির হয়ে বসে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন বলপয়েন্ট কলম, পেনসিল, ইরেজার, প্রবেশপত্র টেবিলে রেখে পরীক্ষক প্রশ্নপত্র তোমাকে দেওয়ার পর সাবধানে নির্ধারিত ঘরগুলো পূরণ করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই যেন ওএমআর ফরমের নির্ধারিত ঘরগুলো পূরণে ভুল না হয়, সেদিকে খুব সতর্ক থাকতে হবে।
বিস্তারিত জানতে এই ব্লগ টি চেক করতে ভুলবে না অবশ্যইঃ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি ও ১০ টি টিপস
প্রথম ৩০ মিনিটে ৫৮-৬০টি এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ফেলতে হবে। পরের ২০ মিনিটে বাকি ৪০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। শেষ ৮-১০ মিনিট রিভিশন এবং উত্তর না দেওয়া প্রশ্নগুলো সমাধান করার চেষ্টা করতে হবে। কোনো একটি প্রশ্ন না পারলে সেটির পেছনে অযথা সময় নষ্ট করা যাবে না।
বিশেষ সতর্কতা: একটা কথা মনে রেখো সবাই। স্বপ্ন কখনোই কিনতে পাওয়া যায় না। ১০০ টাকার একটা সাজেশন তোমার কাছে অনেক ভালো লাগবে, অস্থির লাগবে। কিন্তু সেটা তোমার স্বপ্ন কিনে দিবে না। মূল কাজ তোমারই!! সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই উচিত ভর্তি পরীক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া। এজন্য বিগত বছরের এডমিশন প্রশ্নব্যাংক এর উপর সর্বোচ্চ প্র্যাক্টিস থাকা জরুরি। এরজন্য অন্যতম সেরা একটি মাধ্যম হতে পারে চর্চা । পরীক্ষায় অংশ নিতে ইচ্ছুক সকল শিক্ষার্থীকে অগ্রীম শুভকামনা জানাই।
নীরবে নিভৃতে এক ‘যুদ্ধের’ জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশের প্রায় ১ লাখ এর বেশি তরুণ-তরুণী। এই যুদ্ধের নাম মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা। ৫হাজার এর কিছু বেশি আসনের প্রতিটির বিপরীতে লড়বে অনেকে। কেন্দ্রে এক ঘণ্টার মেধার যুদ্ধে যারা জয়ী হবে, তারা পাবে স্বপ্ন ছোঁয়ার সুযোগ। অনেক সময় ভালো প্রস্তুতি থাকার পরেও পরীক্ষার হলে চাপের কারণে জানা প্রশ্নের উত্তর কেউ কেউ ভুল করে আসে। তুমি যদি এই ৬০ মিনিট মাথা ঠান্ডা রেখে পর্যাপ্ত প্রশ্নের উত্তর করে আসতে পারো, তাহলে নিশ্চিত, সেই সাদা অ্যাপ্রোনটা তোমারই হবে।