শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যা সংক্ষেপে সাস্ট (SUST) নামে পরিচিত, বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। সিলেট শহরের কাছাকাছি কুমারগাঁও এলাকায় অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৯৮৬ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৯১ সালের ২৫ আগস্ট শিক্ষাকার্যক্রম শুরু করে। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, ও মানবিক শিক্ষার একটি সমন্বিত কেন্দ্র হিসেবে এটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিচিতি লাভ করেছে।
বাংলাদেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করে সাস্ট প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। সিলেট অঞ্চল ঐতিহ্যগতভাবে জ্ঞান ও সংস্কৃতির কেন্দ্র হলেও এখানে উচ্চশিক্ষার পর্যাপ্ত সুযোগ ছিল না। সাস্টের প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই অঞ্চলে শিক্ষার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়।
প্রথম দিকে মাত্র তিনটি বিভাগ নিয়ে যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে এটি ৭টি স্কুল এবং ২৮টি বিভাগের মাধ্যমে শিক্ষা প্রদান করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
সাস্ট ক্যাম্পাস প্রায় ৩২২ একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত, যেখানে রয়েছে মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ, সবুজ বন, লেক, এবং পাহাড়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান লেকটি এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে আলাদা মাত্রা যোগ করেছে। ক্যাম্পাসের স্থাপত্য নকশায় আধুনিকতার ছাপ থাকলেও এটি প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে নির্মাণ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রয়েছে:
1. বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ: শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের জন্য একটি প্রশস্ত প্রার্থনার স্থান।
2. সাস্ট মেডিকেল সেন্টার: জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে।
3. গ্রন্থাগার (সেন্ট্রাল লাইব্রেরি): অত্যাধুনিক গ্রন্থাগার যেখানে শিক্ষার্থীরা অফলাইনে এবং অনলাইনে জ্ঞানার্জন করতে পারে।
4. খেলাধুলার স্থান: ক্রিকেট, ফুটবল, বাস্কেটবলসহ বিভিন্ন খেলাধুলার জন্য আলাদা আলাদা মাঠ।
সাস্ট তার বৈচিত্র্যময় এবং অত্যাধুনিক শিক্ষা কাঠামোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। এখানে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, ব্যবসা প্রশাসন, সামাজিক বিজ্ঞান এবং মানবিক বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পাঠদান করা হয়।
1. স্কুল অব এপ্লাইড সায়েন্সেস এন্ড টেকনোলজি (SAST): | - এই স্কুলের আওতায় রয়েছে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত এবং পরিসংখ্যান। |
---|---|
2. স্কুল অব লাইফ সায়েন্সেস: | - জীববিজ্ঞান এবং জৈবপ্রযুক্তি বিভাগ অন্তর্ভুক্ত। |
3. স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট এন্ড বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন: | - বিজনেস স্টাডিজ এবং ম্যানেজমেন্ট শিক্ষার কেন্দ্র। |
4. স্কুল অব সোশ্যাল সায়েন্সেস: | - অর্থনীতি, সমাজবিজ্ঞান, এবং নৃবিজ্ঞান এখানে পড়ানো হয়। |
5. স্কুল অব ল্যাঙ্গুয়েজ এন্ড লিটারেচার: | - বাংলা এবং ইংরেজি সাহিত্যের গভীর জ্ঞানার্জনের সুযোগ। |
6. স্কুল অব এগ্রিকালচার এন্ড মেরিন সায়েন্সেস: | - উদ্ভিদবিজ্ঞান এবং কৃষি শিক্ষার আধুনিক প্রয়োগ। |
7. স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড ফিজিক্যাল সায়েন্সেস: | - কম্পিউটার বিজ্ঞান, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগ এর অন্তর্ভুক্ত |
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (SUST) শুধু একটি বিশ্ববিদ্যালয় নয়, এটি শিক্ষার একটি বিপ্লব। বাংলাদেশে অনেক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলেও সাস্টের বিশেষত্ব হচ্ছে এর যুগান্তকারী শিক্ষা পদ্ধতি এবং গবেষণার প্রতি গভীর মনোযোগ।
অনন্য ক্রেডিট সিস্টেম:
সাস্ট বাংলাদেশে প্রথম গ্রেড পয়েন্ট এভারেজ (GPA) ভিত্তিক ক্রেডিট সিস্টেম চালু করে। এটি শিক্ষার্থীদের পঠনপাঠন ও পরীক্ষার চাপ কমানোর পাশাপাশি গভীরতর জ্ঞানার্জনের সুযোগ তৈরি করে।
রিসার্চ এবং উদ্ভাবন:
বিশ্ববিদ্যালয়টির গবেষণা কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মানের। এখানকার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা নিয়মিত বৈজ্ঞানিক গবেষণায় অংশ নেন এবং আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে সাফল্যের সাথে নিজেদের প্রমাণ করেন।
টেক ফেস্ট এবং সাংস্কৃতিক উৎসব:
সাস্টের শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তি ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে সক্রিয়। প্রতি বছর টেক ফেস্ট, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, নাটক মঞ্চায়ন এবং ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন করে।
উদ্ভাবনী উদ্যোগ:
"রোবোটিক্স সাস্ট" এবং "সাস্টিয়ানস ফর দ্য এনভায়রনমেন্ট" নামে কয়েকটি ছাত্র উদ্যোগ এখানকার শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতাকে আরো বিকশিত করে তুলেছে।
ই-লার্নিং ও ডিজিটাল ক্লাসরুম
সাস্ট বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একটি যেখানে ডিজিটাল ক্লাসরুম চালু হয়। COVID-19 মহামারির সময়, সাস্ট দক্ষতার সঙ্গে অনলাইন শিক্ষা চালু করে, যা অন্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য রোল মডেল হয়ে ওঠে। শিক্ষার্থীরা এখন লেকচার, অ্যাসাইনমেন্ট, এবং গবেষণাপত্রের জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছে।
ইন্টারন্যাশনাল এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম
বিশ্ববিদ্যালয়টি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে মউ স্বাক্ষর করেছে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা এবং গবেষণার সুযোগ পায়। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরাও এখানে পড়াশোনা করতে আসে, যা সাস্টের বৈচিত্র্যময় শিক্ষার পরিবেশকে আরও সমৃদ্ধ করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াই-ফাই সুবিধা
সাস্টের সম্পূর্ণ ক্যাম্পাসে ওয়াই-ফাই সুবিধা রয়েছে, যা গবেষণা ও শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন কাজকর্ম সহজ করে তুলেছে।
গবেষণা কার্যক্রমে সাস্ট একটি অন্যতম প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিটি বিভাগ গবেষণার জন্য আলাদা তহবিল পায় এবং শিক্ষার্থীদের গবেষণায় অংশগ্রহণ উৎসাহিত করা হয়।
জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা
সিলেট অঞ্চলের প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে সাস্টের গবেষণা কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মানের। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত গবেষণা নিবন্ধ আন্তর্জাতিক জার্নালে জায়গা পায়।
ন্যানোটেকনোলজি এবং জৈবপ্রযুক্তি
সাস্ট ন্যানোটেকনোলজি এবং জৈবপ্রযুক্তির মতো আধুনিক বিষয়েও গবেষণা পরিচালনা করছে। শিক্ষার্থীরা এই প্রযুক্তির সাহায্যে নতুন নতুন উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজে বের করছে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দরকারি।
মহাকাশ গবেষণা
সাস্টে "অ্যাস্ট্রোনমি ক্লাব" এর মতো সংগঠন শিক্ষার্থীদের মহাকাশবিজ্ঞান এবং মহাবিশ্ব সম্পর্কে গবেষণার প্রতি আগ্রহী করে তোলে।
সাস্টে শিক্ষার্থীদের জীবন শুধু একাডেমিক কার্যক্রমের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; এখানে তারা বিভিন্ন ক্লাব, সংগঠন, এবং সামাজিক কার্যক্রমের মাধ্যমে নিজেদের বহুমুখী প্রতিভার বিকাশ ঘটানোর সুযোগ পান।
ক্লাবসমূহ:
1. সাস্ট ডিবেটিং সোসাইটি (SDS): বিতর্কপ্রেমীদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম।
2. সাস্ট সায়েন্স সোসাইটি: বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষার্থীদের জন্য একটি কেন্দ্র।
3. ফটোগ্রাফি ক্লাব: ফটোগ্রাফি শিখতে এবং সৃজনশীলতা প্রকাশের সুযোগ।
4. সাস্টিয়ান ইন্ট্রাপ্রেনিয়রশিপ ডেভেলপমেন্ট ক্লাব: উদ্যোক্তা মনোভাব বিকাশের জন্য কাজ করে।
সাস্টের অবদান শুধুমাত্র শিক্ষাক্ষেত্রেই নয়; এটি স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমাজ উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। সাস্টের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে এবং জাতীয়ভাবে গর্বিত করে।
বিস্ময়কর সাফল্য:
- স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে সাফল্য: সাস্টের শিক্ষার্থীরা নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে অংশ নিয়ে সাফল্য অর্জন করেছে।
- আইসিপিসি প্রতিযোগিতা: প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় অসাধারণ পারফর্মেন্স।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ভর্তি হতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের অবশ্যই নির্দিষ্ট যোগ্যতার মাপকাঠি পূরণ করতে হবে। এ কারণে, আবেদন করার আগে শিক্ষার্থীদের এই নির্দেশিকা ভালোভাবে বুঝে নেওয়া জরুরি।
SUSt admission information | |
---|---|
আবেদন শুরুঃ আবেদন শেষঃ ভর্তি পরীক্ষাঃ আবেদন লিংকঃ আবেদন ফীঃ পরীক্ষার তারিখ ও সময়ঃ | ০৫ জানুয়ারী ২০২৫ ২৫ জানুয়ারী ২০২৫ ২৮ ফেব্রুয়ারি,২০২৫ ইউনিট A1 (বিজ্ঞান) ১২৫০ টাকা ইউনিট A2 (বিজ্ঞান +আর্কিটেকচার) ১৪০০ টাকা B ইউনিট (বিজ্ঞান +মানবিক+ বাণিজ্য) ১২০০ টাকা A (বিজ্ঞান) - ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫(শনিবার) সকাল ১০.০০ – ১১.৩০ B (বিজ্ঞান +মানবিক+ বাণিজ্য) — ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫(শনিবার) বিকাল ০২.৩০- ০৪.০০ |
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা প্রয়োজন। বিজ্ঞান শাখা থেকে এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা উভয় ইউনিট (A এবং B)-এ আবেদন করতে পারবে, তবে অন্যান্য বিভাগ থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র A ইউনিটে আবেদন করতে পারবে।
✔︎ মাধ্যমিক (SSC) এবং উচ্চমাধ্যমিক (HSC) পাশের যোগ্যতা:
SSC বা সমমান পাশ করতে হবে: ২০২১ অথবা ২০২২ সালে।
HSC বা সমমান পাশ করতে হবে: ২০২৩ অথবা ২০২৪ সালে।
এই নির্দিষ্ট সময়ের বাইরের কোনো শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবে না।
আমরা এখন এই দুই ইউনিটের মানবন্টনটা দেখে নিবো ।
বিভাগ | পরীক্ষার বিষয় | সময় |
বিজ্ঞান বিভাগের জন্য | ইংরেজি-২০ বাংলা-১০ পদার্থবিজ্ঞান-১০ গণিত/জীববিজ্ঞান-১০ রসায়ন-১০ বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি-১০ | ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট |
লিখিত পরীক্ষা -৭০ রেজাল্টঃSSC+HSC=১৫+১৫=৩০ | ||
সর্বমোট -১০০ | ||
মানবিক বিভাগের জন্য | ইংরেজি ২০ বাংলা ১০ মাধ্যমিক পর্যায়ের গণিত-১০ অর্থনীতি, পৌরনীতি, যুক্তিবিদ্যা, সমাজবিজ্ঞান, সমাজকল্যাণ, ইতিহাস ও ইসলামের ইতিহাস, বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়-৩০ | ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট |
লিখিত পরীক্ষা -৭০ রেজাল্টঃSSC+HSC=১৫+১৫=৩০ | ||
সর্বমোট -১০০ | ||
বাণিজ্য বিভাগের জন্য | ইংরেজি-২০ বাংলা-১০ মাধ্যমিক পর্যায়ের গণিত-১০ হিসাববিজ্ঞান, ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ, বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক প্রসংগ-৩০ | ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট |
লিখিত পরীক্ষা -৭০ রেজাল্টঃSSC+HSC=১৫+১৫=৩০ | ||
সর্বমোট -১০০ |
B1 ইউনিট | ইংরেজি -১০ পদার্থ- ২০ রসায়ন -২০ গণিত -২০ | ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট | |
লিখিত পরীক্ষা=৭০ রেজাল্টঃSSC+HSC=১৫+১৫=৩০ | |||
সর্বমোট = ১০০ | |||
B2 ইউনিট | ইংরেজি -১০ পদার্থ- ২০ রসায়ন -২০ গণিত -২০ ড্রইং ও স্থাপত্য বিষয়ে সাধারণ জ্ঞান-৩০ | ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট+ ১ ঘন্টা=২ঘন্টা ৩০ মিনিট | |
সর্বমোট = ১০০ |
A ইউনিটে আবেদন করতে চাইলে শিক্ষার্থীকে SSC এবং HSC উভয় পরীক্ষায় নির্দিষ্ট ন্যূনতম GPA অর্জন করতে হবে।
✔️ SSC ও HSC উভয় পরীক্ষায় পৃথকভাবে নির্দিষ্ট ন্যূনতম GPA থাকতে হবে।
✔️ পাশাপাশি দুটি পরীক্ষার মোট GPA একটি নির্দিষ্ট মাত্রার মধ্যে থাকতে হবে।
B ইউনিটে আবেদন করার জন্য শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে।
✔️ SSC ও HSC উভয় পরীক্ষায় পৃথকভাবে একটি নির্দিষ্ট ন্যূনতম GPA থাকতে হবে।
✔️ দুটি পরীক্ষার মোট GPA নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থাকতে হবে।
✔️ HSC বা সমমান পরীক্ষায় গণিতে ন্যূনতম GPA থাকতে হবে। (A লেভেলের ক্ষেত্রে B গ্রেড থাকতে হবে)।
✅ শুধুমাত্র বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা B ইউনিটে আবেদন করতে পারবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সাধারণত SSC ও HSC পাঠ্যসূচির উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়, তবে বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে প্রশ্নের ধরন ও কাঠামো ভিন্ন হতে পারে। শাবিপ্রবির পরীক্ষায় ভালো করতে হলে কিছু বিশেষ কৌশল অনুসরণ করতে হবে।
📍 পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন এবং গণিতের সকল গুরুত্বপূর্ণ সূত্র আলাদা করে অধ্যায়ভিত্তিক নোট তৈরি করতে হবে।
📍 এই নোটটিতে ছোট-বড়, জানা-অজানা সকল সূত্র অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে যেন পরীক্ষার আগে দ্রুত রিভিশন করা যায়।
📍 শুধুমাত্র সূত্র মুখস্থ করলেই হবে না, কীভাবে এসব সূত্র ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের ম্যাথ আসতে পারে, তা ভেবে দেখা দরকার।
📍 নোটে উদাহরণসহ ব্যাখ্যা লিখে রাখলে সূত্রগুলোর প্রয়োগ বুঝতে সুবিধা হবে।
📍 শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষায় গণিত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই এতে ভালো দক্ষতা অর্জন করা আবশ্যক।
📍 গণিতে ভালো প্রস্তুতির জন্য মূল বইয়ের প্রতিটি ম্যাথ Step by Step বুঝে অনুশীলন করতে হবে।
📍 কৌশলগতভাবে ম্যাথ সমাধান করার নিয়ম শিখতে হবে এবং বিগত দশ বছরের প্রশ্ন সমাধান করা দরকার।
📍 শুধু শাবিপ্রবি নয়, অন্যান্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত ৬-৭ বছরের প্রশ্নপত্র সমাধান করলে পরীক্ষার ধরন সম্পর্কে ভালো ধারণা পাওয়া যাবে।
📍 গণিতের যেসব অধ্যায় থেকে বেশি প্রশ্ন আসে, সেগুলোতে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
📍 পড়ার সময় যদি কোনো বিষয় বুঝতে সমস্যা হয়, তাহলে সেটি এড়িয়ে না গিয়ে চর্চার ডাউটস সেকশনে প্রশ্ন করবে।
📍 অতিরিক্ত সময়ে বন্ধু, শিক্ষক বা বড় ভাই-বোনদের কাছে কঠিন বিষয়গুলো বুঝে নেওয়া ভালো।
📍 পরীক্ষার আগে এসব কঠিন টপিক একবার দেখে নেওয়া গেলে মনে রাখা সহজ হবে।
📍 গণিতের কিছু অধ্যায়, যেমন সরলীকরণ, লগারিদম, অন্তরীকরণ, সমীকরণ, জ্যামিতি, ভেক্টর ইত্যাদি, এগুলোতে যদি দুর্বলতা থাকে, তবে সেগুলোর জন্য বাড়তি সময় বরাদ্দ করতে হবে।
📍 শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষায় বিগত বছরের প্রশ্নপত্র অনুশীলন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
📍 বিশেষ করে চর্চার প্রশ্নব্যাংক থেকে বিগত বছরের প্রশ্নপত্র সমাধান করা যেতে পারে।বিগত বছরের এডমিশন প্রশ্নব্যাংক এর উপর সর্বোচ্চ প্র্যাক্টিস থাকা জরুরি। এছাড়াও সেরাদের কাতারে থাকতে রাবি, চবি, ঢাবি ও জাবি এর প্রশ্নব্যাংক এবং সাস্টের আগের বছরের প্রশ্ন প্র্যাক্টিস করা উচিত। এরজন্য অন্যতম সেরা একটি মাধ্যম হতে পারে চর্চা অ্যাপ।
📍 এতে পরীক্ষার প্রশ্নের ধরন, কাঠামো, ও গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় সম্পর্কে ভালো ধারণা পাওয়া যায়।
📍 শুধু উত্তর মুখস্থ না করে কেন উত্তরটি সঠিক হলো, সেটির ব্যাখ্যা বোঝার চেষ্টা করা দরকার।
📍 একই ধরনের প্রশ্ন বারবার সমাধান করলে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে এবং পরীক্ষায় সময় বাঁচবে।
🔹 শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষার জন্য ধারাবাহিক ও কৌশলগত প্রস্তুতি নিতে হবে।
🔹 প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট রুটিন অনুসারে অধ্যয়ন করলে সঠিক সময়ে প্রস্তুতি সম্পন্ন করা সম্ভব।
🔹 বিভিন্ন বিষয়ের সূত্র ও নিয়মগুলো ভালোভাবে রপ্ত করতে হবে, যাতে পরীক্ষায় সহজে প্রয়োগ করা যায়।
🔹 প্রশ্ন সমাধানের সময় দক্ষতা ও গতি বাড়ানোর জন্য নিয়মিত অনুশীলন করতে হবে।
🔹 একইসাথে মানসিক চাপ কমাতে দৈনন্দিন পড়াশোনার পাশাপাশি পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও রিল্যাক্সেশন সময়ও প্রয়োজন।
সাস্ট শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়; এটি একটি স্বপ্নপূরণের স্থান। বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য ভবিষ্যতে শিক্ষা, গবেষণা, এবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে আরও অগ্রসর হওয়া। আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন এবং বিশ্বমানের র্যাংকিংয়ে অবস্থান নিশ্চিত করাই সাস্টের পরবর্তী পদক্ষেপ।