৩।বাংলা ভাষার ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি(৫)
(ক) উদাহরণসহ বিশেষ্যপদের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা কর।
অথবা,
(খ) নিচের অনুচ্ছেদ থেকে পাঁচটি ক্রিয়াপদ চিহ্নিত কর:
"এতদিন যে প্রতি সন্ধ্যায় আমি বিনুদাদার বাড়িতে গিয়া তাঁহাকে অস্থির করিয়া তুলিয়াছিলাম! বিনুদার বর্ণনার ভাষা অত্যন্ত সংকীর্ণ বলিয়াই তাঁর প্রত্যেক কথাটি স্ফুলিঙ্গের মতো আমার মনের মাঝখানে আগুন জ্বালিয়া দিয়াছিল। বুঝিয়াছিলাম মেয়েটির রূপ বড়ো আশ্বর্য; কিন্তু না দেখিলাম তাহাকে চোখে, না দেখিলাম তাহার ছবি, সমস্তই অস্পষ্ট রহিল।
(ক) উত্তরঃ
বিশেষ্য পদ বলতে এমন পদকে বুঝায়, যা কোনো বস্তু, প্রাণী, শ্রেণি, সমষ্টি, ভাব, কাজ, প্রভৃতির নামকে বুঝায়। আবার এক কথায় বলা যায়, যে পদ দ্বারা কোনো কিছুর নাম বুঝায় তাকে বিশেষ্য পদ বলে। যেমন, কলম, বই, ফুল, ফল, আকাশ, সাগর, মাটি, ইত্যাদি।
বিশেষ্য পদের শ্রেণিবিভাগ: বিশেষ্য পদকে নিম্নোক্ত ছয়টি শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায়। যেমন:
১। নামবাচক বিশেষ্য: যে পদ দ্বারা কোনো ব্যক্তি, বস্তু, ভৌগোলিক স্থান বা সংজ্ঞা এবং গ্রন্থবিশেষের নাম প্রকাশ করা হয় তাকে নামবাচক বিশেষ্য বলে। নামবাচক বিশেষ্যকে আবার সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্যও বলা হয়ে থাকে। যেমন,
ক. ব্যক্তির নাম: কামাল, জামাল, রবীন্দ্রনাথ, রহিম, করিম, প্রমুখ।
খ. ভৌগোলিক স্থানের নাম: মক্কা, মদিনা, ঢাকা, নেপাল, রাজশাহী, বাংলাদেশ, ভারত, প্রভৃতি।
২। জাতিবাচক বিশেষ্য: যে পদ দ্বারা কোনো একজাতীয় প্রাণী বা পদার্থের নাম বুঝায় তাকে জাতিবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন: গরু, ঘোড়া, মানুষ, পর্বত, নদী, ইংরেজ, প্রভৃতি।
৩। বস্তুবাচক বিশেষ্য: যে পদ দ্বারা কোনো উপাদানবাচক পদার্থের নাম বুঝায়, তাকে বস্তুবাচক বিশেষ্য বলে। বস্তুবাচক বিশেষ্যকে আবার দ্রব্যবাচক বিশেষ্যও বলা হয়। এ জাতীয় বস্তুর কেবল পরিমাণ নির্ণয় করা যায়, কিন্তু গণনা করা যায় না। যেমনঃ পানি, তৈল, চাল, চিনি, দুধ, মধু লবণ, প্রভৃতি।
৪। সমষ্টিবাচক বিশেষ্য: যে পদ দ্বারা বেশ কিছুসংখ্যক ব্যক্তি বা প্রাণীর সমষ্টি বুঝায়, তাকে সমষ্টিবাচক বিশেষ্য বলে। যেমনঃ সভা, কাফেলা, সমাজ, মাহফিল, ঝাঁক, সমিতি, জনতা, দল, প্রভৃতি।
৫। ভাববাচক বিশেষ্য: যে বিশেষ্য পদ দ্বারা কোনো ক্রিয়ার ভাব বা কাজের ভাব প্রকাশিত হয়, তাকে ভাববাচক বিশেষ্য বলে। যেমন: দর্শন (দেখার কাজ), ভোজন (খাওয়ার কাজ), শয়ন (শোয়ার কাজ), শ্রবণ (শোনার কাজ) প্রভৃতি।
৬. গুণবাচক বিশেষ্য: যে বিশেষ্য পদ দ্বারা কোনো বস্তুর দোষ বা গুণের নাম বুঝায় তাকে গুনবাচক বিশেষ্য বলে। যেমনঃ মধুর মিষ্টত্বের গুণ - মধুরতা, সুন্দর বস্তুর গুণ সৌন্দর্য, তরল পদার্থের গুণ-তারল্য, বীরের গুণ বীর্য, অনুরূপ সুখ, দুঃখ, সততা, মহন্ত্র, দরিদ্রতা, ইত্যাদি।
অথবা,
(খ) উত্তরঃ i. তুলিয়াছিলাম, ii. দিয়াছিল, iii. বুঝিলাম, iv. দেখিলাম, v. রহিল।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
(ক) বিশেষণ পদ কাকে বলে? উদাহরণসহ বিশেষণ পদের শ্রেণিবিভাগ দেখাও।
অথবা,
(খ) নিম্নরেখ যেকোনো পাঁচটি শব্দের পদ নির্দেশ কর:
চাকরি করে অন্যায় পয়সায় ধনী হওয়ার লোভ রাখ? তার চেয়ে মুদি দোকানি ভালো। মুদির পয়সা পবিত্র।
অনেক যুবক থাকতে পারে, যারা মনে করে কোনো রকমে একটা চাকরি সংগ্রহ করে সমাজের ভেতর আসন প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই হলো।
চুরির সাহায্যেই হোক অথবা অসৎ উপায় অবলম্বন করেই হোক, ক্ষতি নেই।
(ক) বিশেষ্যপদ কাকে বলে? উদাহরণসহ বিশেষ্যপদের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা কর।
অথবা,
(খ) নিম্নরেখ যেকোনো পাঁচটি শব্দের ব্যাকরণিক শব্দ নির্দেশ কর:
ⅰ) আজ নয় কাল সে আসবেই।
ii) বাবা রাতে ভাতের বদলে রুটি খান।
iii) লোকটি ধনী কিন্তু কৃপণ।
iv) আমাদের যাত্রা সমুদ্র অভিমুখে।
v) যথা ধর্ম তথা জয়।
vi) মোদের গরব মোদের আশা, আ-মরি বাংলা ভাষা।
ii) শাবাশ! দারুণ খেলেছে আমাদের ছেলেরা।
viii) তিনটি ফুল আর অনেক পাতা।
(ক) আবেগ শব্দ কাকে বলে? কত প্রকার ও কী কী? উদাহরণসহ লেখ।
অথবা,
(খ) নিচের অনুচ্ছেদ থেকে পাঁচটি ক্রিয়াপদ চিহ্নিত কর:
এতদিন যে প্রতি সন্ধ্যায় আমি বিনুদাদার বাড়িতে গিয়া তাঁহাকে অস্থির করিয়া তুলিয়াছিলাম। বিনুদার বর্ণনার ভাষা অত্যন্ত সংকীর্ণ বলিয়াই তাঁর প্রত্যেক কথাটি স্ফুলিঙ্গের মতো আমার, মনের মাঝখানে আগুন জ্বালিয়া দিয়াছিল। বুঝিয়াছিলাম মেয়েটির রূপ বড়ো আশ্চর্য; কিন্তু না দেখিলাম তাহাকে চোখে, না দেখিলাম তাহার ছবি, সমস্তই অস্পষ্ট হইয়া রহিল। বাহিরে তো সে ধরা দিলই না, তাহাকে মনেও আনিতে পারিলাম না- এইজন্য মন সেদিনকার সেই বিবাহসভার দেয়ালটার বাহিরে ভূতের মতো দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলিয়া বেড়াইতে লাগিল।
(ক) ক্রিয়াপদ কাকে বলে? ক্রিয়াপদ কত প্রকার ও কী কী? উদাহরণসহ লেখ।
অথবা,
(খ) নিম্নরেখ যেকোনো পাঁচটি শব্দের ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি নির্দেশ কর:
ⅰ) আমাদের যাত্রা সমুদ্র অভিমুখে।
ii) হে বন্ধু, বিদায়।
iii) দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় না।
iv) এগিয়ে চলেছে প্রতিবাদী মিছিল।
v) ডাক্তার এসে দেখল যে রোগী মারা গেছে।
vi) গরিবকে সাহায্য করা উচিত।
vii) অপরকে একটুখানি সুখ দাও।
viii) বাড়িটি খাঁখাঁ করছে।