৫ । বাক্যতত্ত্ব
(ক) বাক্য কাকে বলে? একটি সার্থক বাক্যের কয়টি গুণ থাকা আবশ্যক? আলোচনা কর।
অথবা,
(খ) বাক্য রূপান্তর কর (যেকোনো পাঁচটি):
i) মানুষ মরণশীল। (নেতিবাচক)
ii) সে মরবে, তবু একথা বলবে না। (জটিল)
iii) নিয়মিত পড়াশুনা করা উচিত। (অনুজ্ঞা)
iv) মানুষটা সমন্ত রাত খেতে পাবে না। (প্রশ্নবোধক বাক্য)
v) আমরা বাড়ির বাহিরে বের হলাম না। (অস্তিবাচক)
vi) যাদের বুদ্ধি নেই, তারাই এ কথা বিশ্বাস করবে। (সরল বাক্য)
vii) যদিও তুমি ধনী, তথাপি তুমি কৃপণ। (যৌগিক)
viii) দৃশ্যটি বড়ই সুন্দর। (বিস্ময়সূচক)
(ক) উত্তরঃ
মানুষের মনে ভাব প্রকাশের মাধ্যম হলাে ভাষা। ভাষার মূল উপকরণ বাক্য এবং বাক্যের মৌলিক উপাদান শব্দ। সুবিন্যাস্ত এবং অর্থপূর্ণ বাক্য ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষ ভাব বিনিময় করে থাকে। বাক্যের অন্তর্গত বিভিন্ন পদ দ্বারা মিলিত ভাবে একটি অখণ্ড ভাব পূর্ণরূপে প্রকাশিত হলে তবেই তাকে বাক্য বলে।
☞ ড. মুহম্মদ শহিদুল্লাহ্ বলেছেন- “একটি সম্পূর্ণ মনােভাব যে পদের দ্বারা প্রকাশ করা যায় ,তাহাদের সমষ্টিকে বাক্য বলে”
☞ ড. এনামুল হক বলেছেন – “সুবিন্যাস্ত পদসমষ্টি দ্বারা যদি বক্তার পুরােপুরি আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ পায়, তবে ঐ পদ সমষ্টিকে বাক্য নামে অভিহিত করা যাবে”।
☞ ভাষাবিদ ড. সুনীতিকুমার চট্টেঅপাধ্যায় এর মতে – “কোনাে ভাষায় যে উক্তির সার্থকতা আছে এবং গঠনের দিক হইতে যাহা স্বয়ংসম্পূর্ণ, সেইরূপ একক উক্তিকে ব্যাকরণে বাক্য বলা হয়।”
ভাষার বিচারে বাক্যের নিম্নলিখিত তিনটি গুণ থাকা চাই – (ক) আকাঙ্ক্ষা (খ) আসত্তি (গ) যােগ্যতা।
(ক) আকাক্ষা :- বাক্যের অর্থ পরিষ্কার ভাবে বােঝার জন্য এক পদের পর অন্য পদ শােনার যে ইচ্ছা তা-ই আকাঙ্ক্ষা। যেমন- কলেজে আজ– এটুকু বললে বাক্য সম্পূর্ণ মনােভাব প্রকাশ করে না, আরও কিছু শােনার ইচ্ছা থাকে। কিন্তু যদি বলা হয় ‘আজ কলেজে যাব না’ তবেই এ বাক্যে আকাক্ষা নিবৃত্তি হয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ বাক্য গঠন হয়েছে।
(খ) আসত্তি :- মনােভাব প্রকাশের জন্য বাক্যে শব্দগুলাে এমন ভাবে পর পর সাজাতে হবে যাতে মনােভাব প্রকাশ বাধাগ্রস্ত না হয়। বাক্যের অর্থসঙ্গতি রক্ষার জন্য সুশৃঙ্খল পদবিন্যাসই অসত্তি। যেমন : ‘হয় হতে মেঘ বৃষ্টি’ এখানে পদ সন্নিবেশিত ঠিকভাবে না হওয়ায় শব্দগুলাের অন্তর্নিহিত ভাবটি যথাযথ প্রকাশ হয় নি। তাই এটিকে বাক্য বলা যাবে না। মনােভাব পূর্ণ ভাবে প্রকাশ করার জন্য পদগুলােকে নিম্নলিখিত ভাবে সাজাতে হবে।- ‘মেঘ হতে বৃষ্টি হয‘ এ বাক্যটি আসত্তিগুণ সম্পন্ন।
(গ) যােগ্যতা :- বাক্যস্থিত পদসমূহের অন্তর্গত এবং ভাবগত মিলবন্ধনের নাম যােগ্যতা। যেমন – ‘হাতি আকাশে উড়ে যায়’ এ বাক্যটি ভাব প্রকাশে যােগ্যতা হারিয়েছে কারণ হাতি আকাশে উড়তে পারে না। যদি বলা হয় – পাখি আকাশে উড়ে যায় তবে একটি যােগ্যতা সম্পন্ন বাক্য হবে কারণ পদের অন্তর্গত এবং ভাবগত সমন্বয় রয়েছে।
(খ) উত্তরঃ
i) মানুষ মরণশীল। (নেতিবাচক)
উত্তর: মানুষ অমর নয়।
ii) সে মরবে, তবু একথা বলবে না। (জটিল)
উত্তর:
যদি তার মৃতু্যও হয়, তবুও এ কথা বলবে না।
iii) নিয়মিত পড়াশুনা করা উচিত। (অনুজ্ঞা)
উত্তর: নিয়মিত পড়াশুনা করো।
iv) মানুষটা সমন্ত রাত খেতে পাবে না। (প্রশ্নবোধক বাক্য)
উত্তর: মানুষটা সমস্ত রাত খেতে পাবে কি ?
v) আমরা বাড়ির বাহিরে বের হলাম না। (অস্তিবাচক)
উত্তর: আমরা বাড়ির বাহিরে বের হতে অক্ষম হলাম।
vi) যাদের বুদ্ধি নেই, তারাই এ কথা বিশ্বাস করবে। (সরল বাক্য)
উত্তর: নির্বোধরাই এ কথা বিশ্বাস করবে।
vii) যদিও তুমি ধনী, তথাপি তুমি কৃপণ। (যৌগিক)
উত্তর: তুমি ধনী কিন্তু কৃপণ।
viii) দৃশ্যটি বড়ই সুন্দর। (বিস্ময়সূচক
উত্তর: বাঃ!দৃশ্যটি বড়ই সুন্দর !
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
(ক) গঠন অনুসারে বাক্যের শ্রেণিবিভাগ উদাহরণসহ আলোচনা কর।
অথবা,
(খ) বাক্য রূপান্তর কর (যেকোনো পাঁচটি):
i) ফরিয়াদি প্রসন্ন গোয়ালিনী। (জটিল)
ii) যাদের বুদ্ধি নেই, তারাই এ কথা বিশ্বাস করবে। (সরল)
iii) ওরা আগামীকাল আসবে। (প্রশ্নবাচক)
iv) তার নাম মজিদ। (জিজ্ঞাসাসূচক)
v) দশ মিনিট পর ট্রেন এলো। (যৌগিক)
vi) মাতৃভূমিকে সকলেই ভালোবাসে। (নেতিবাচক)
vii) আমরা নড়লাম না। (অস্তিবাচক)
viii) সদা সত্য বলা উচিত। (অনুজ্ঞা)
(ক) বাক্য কাকে বলে? একটি সার্থক বাক্যের গুণ বা বৈশিষ্ট্যসমূহ উদাহরণসহ লেখ।
অথবা,
(খ) বাক্য রূপান্তর কর (যেকোনো পাঁচটি) :
ⅰ) অনুগ্রহ করে সব খুলে বলুন। (যৌগিক)
ii) ওকে চেনাই যায় না। (অস্তিবাচক)
iii) কীর্তিমানের মৃত্যু নেই। (জটিল)
iv) দশ মিনিট পর ট্রেন এলো। (যৌগিক)
v) বিপদে অধীর হতে নেই। (অনুজ্ঞাসূচক)
vi) মানুষ মরণশীল। (নেতিবাচক)
vii) যাদের বুদ্ধি নেই, তারাই এ কথা বিশ্বাস করবে। (সরল)
viii) লোকটি অত্যন্ত দরিদ্র। (বিস্ময়সূচক)
(ক) আবেগ শব্দ বলতে কী বোঝ? উদাহরণসহ আবেগ শব্দের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা কর।
অথবা,
(খ) বাক্য রূপান্তর কর (যেকোনো পাঁচটি):
ⅰ) গাড়িটা বেশ জোরে চলছে।
ii) এগিয়ে চলেছে প্রতিবাদী মিছিল।
iii) যে পথ দেখায় সে থাকে এগিয়ে।
iv) মাগো মা! এমন রসিকতা কেউ করে।
v) অধিক ভোজন অনুচিত।
vi) আমি আগামীকাল ঢাকায় যাব।
vii) বুঝিয়াছিলাম মেয়েটির রূপ বড় আশ্চর্য।
viii) হে রাজন, এ ফুলহার তোমার জন্যে।
(ক). অর্থ অনুসারে বাক্যের শ্রেণিবিভাগ উদাহরণসহ আলোচনা কর।
অথবা,
(খ) নির্দেশ অনুযায়ী বাক্যান্তর কর (যে-কোনো পাঁচটি)।
(i) সত্য কথা না বলে বিপদে পড়েছি। (যৌগিক)
(ii)এখনই ডাক্তার ডাকা উচিত। (অনুজ্ঞাবাচক)
(iii) ফুল সকলেই ভালোবাসে। (প্রশ্নবাচক)
(iv) বাংলাদেশের চিরস্থায়িত্ব কামনা করি। (ইচ্ছাসূচক)
(v) যে অন্ধ তাকে আলো দাও। (সরল)
(vi) বৃষ্টির অভাবে ফসল নষ্ট হবে। (জটিল)
(vii) শিশুরা দূষণমুক্ত পরিবেশ চায়। (নেতিবাচক)
(viii) শীতের পিঠা খেতে খুব মজা। (বিস্ময়সূচক)