টিস্যুকালচার প্রযুক্তি
যেসব উদ্ভিদের বীজের জীবনীশক্তি কিছুদিনের মধ্যেই নষ্ট হয় তাদের কোনটি সংরক্ষণ করতে হবে?
যে সব উদ্ভিদের বীজ উৎপাদন করা সম্ভব হয় না (যেমন- থুজা, সাগর কলা) সেসব উদ্ভিদের ক্ষেত্রে টিস্যু কালচার প্রয়োগ করে চারাগাছ (planlet) উৎপাদন ও বিপণন করা যায়। ফুল, ফল বা শস্য উৎপাদনকারী কোনো ভালো জাতের উদ্ভিদ থেকে যদি অধিক সংখ্যক চারা উৎপাদন করা প্রয়োজন হয় তবে ঐ ভালোজাতের একটি উদ্ভিদ থেকে টিস্যু নিয়ে কালচার করে অনেক সংখ্যক চারাগাছ উৎপাদন করা সম্ভব হয়। এভাবে উৎপাদিত চারাগাছসমূহ হুবহু এদের মাতৃ-উদ্ভিদের মতো হয়ে থাকে। কাজেই একই বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত উদ্ভিদ উৎপাদন করার জন্য টিস্যু কালচার প্রযুক্তি অত্যন্ত কার্যকর প্রক্রিয়া। অতি ক্ষুদ্র টিস্যু থেকে বহু চারা উৎপাদনের এ পদ্ধতি মাইক্রোপ্রোপাগেশন নামেও পরিচিত।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই

টিস্যু কালচারের জনক কে?
বীজ স্বল্পতা এবং বাঁশ গাছের কাণ্ডে মুকুলের অপর্যাপ্ততার কারণে জনাব রফিকুল বাঁশ গাছের কান্ড থেকে বীজের অভাব এবং অপর্যাপ্ত কুঁড়ির কারণে বাণিজ্যিকভাবে বাঁশের চারা উৎপাদন করতে পারে না। একজন উদ্ভিদ বিজ্ঞানীর পরামর্শ অনুযায়ী তিনি বাঁশের বীজ ও কুড়ি ছাড়াই বিশেষ প্রযুক্তি অনুসরণ করে বাঁশের চারা উৎপাদন শুরু করেন।
রিনির বাগানে একটি দুর্লভ প্রজাতির গাছ আছে যার অস্তিত্ব একটি এককোষী, প্রাককেন্দ্রিক জীব - এর আক্রমণে হুমকীর সম্মুখীন। তাই রিনি গবেষণাগারে একটি বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উক্ত গাছ থেকে অসংখ্য চারা তৈরি করল।