ডেন্টাল ভর্তি সার্কুলার ২০২৪
ডেন্টাল প্রশ্নব্যাঙ্ক
ডেন্টাল ভর্তি প্রস্তুতি

ডেন্টাল ভর্তি প্রস্তুতি ও ভর্তি সার্কুলার ২০২৪

Author
07/02/2024Chorcha
ডেন্টাল-ভর্তি-সার্কুলার-২০২৪-ও-ডেন্টাল-এডমিশন-প্রশ্নব্যাঙ্ক

ডেন্টাল এডমিশনে সেরাদের সেরা হওয়ার রহস্য!


ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষায় সেরাদের সেরা হতে ডেন্টাল এডমিশন প্রশ্নব্যাঙ্ক চর্চা করার বিকল্প নেই। এজন্য ডেন্টাল ভর্তি সার্কুলার ২০২৪ অনুযায়ী ভর্তি প্রস্তুতি নিতে হবে ।

অন্যের দাঁতের যত্ন যে নিবে, নিজের দাঁতের যত্ন নিচ্ছো তো?

না, এটা কোনো চর্চা কালো নিমের মাজনের বিজ্ঞাপন না। যারা মানুষের দাঁতের ও মুখের সব ধরনের সমস্যার সমাধান করতে ইচ্ছুক, সেই যোদ্ধা তথা ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার্থীদের কথা বলছি। হ্যা, আজকে কথা বলবো ডেন্টাল ভর্তি প্রস্তুতি নিয়ে।

আগামী ৮ মার্চ ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের সরকারি ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জন (বিডিএস) কোর্সে প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এবার আসন রয়েছে ৫৪৫টি। এর মধ্যে ৫৩০টি মেধা কোটায় এবং বাকি ১৫টি বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। ভর্তিচ্ছুদের হাতে সময় আছে এক মাসেরও কম। এই অল্প সময়ে কীভাবে প্রস্তুতি নিলে পরীক্ষায় ভালো করা সম্ভব, আজকের মেডিকেল ভর্তি প্রস্তুতিতে সে বিষয়েই আলোচনা করব।

 গুরুত্বপূর্ণ তারিখ এবং সময়সূচী

  • আবেদন শুরু:

  • আবেদন শেষ:

  • আবেদন ফি:

  • আবেদন ফি জমাদানের সময়সীমা:

  • ভর্তি পরীক্ষা :

  • প্রবেশপত্র ডাউনেলোড :

  • অফিশিয়াল ওয়েবসাইট:

  • আবেদন লিংক :

  • ১৫ জানুয়ারী ২০২৪

  • ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ (রাত ১১.৫৯)

  • ১০০০ টাকা

  • ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ (রাত ১১.৫৯)

  • ২৫-২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

  • dghs.gov.bd

  • dgme.teletalk.com.bd

প্রত্যেকেরই একটি স্বপ্ন থাকে। হোক খুবই ছোট কিংবা আকাশ ছোঁয়া। হতে পারে পরিবারের জন্য কিছু করার স্বপ্ন বা সমাজের সবার উপকারের জন্য। মোটকথা স্বপ্নই একজন মানুষকে বেঁচে থাকার শক্তি জোগায়। এই স্বপ্নই একজন মানুষকে তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারে। চিকিৎসক হয়ে দেশ ও দশের উপকারের স্বপ্ন দেখেনি, এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। শিক্ষাজীবনের শুরু থেকে অনেকের মনেই চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন বাসা বাঁধে। একজন চিকিৎসকের পক্ষে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সাধ্যমত সেবা ও সাহায্য করা যতটা সম্ভব, অন্য পেশা থেকে ততটা নিঃস্বার্থভাবে সাহায্য করার প্রয়াস একটু হলেও কষ্টকর। তাই পরোপকারের মহান ব্রত অন্তরে ধারণ করে অনেকেই মনের গহীনে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন বুনে থাকেন। কিন্তু চিকিৎসক হিসাবে নিজেকে যোগ্যতর করে উপস্থাপন করার এই পথ বড়ই বন্ধুর। এজন্য চাই অসামান্য আত্মনিয়োগ, কঠোর শ্রম, দৃঢ় সংকল্প আর সময়োপযোগী অধ্যয়ন।

ডেন্টাল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা

সকল দেশী এবং বিদেশী শিক্ষা কার্যক্রমে এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান ২টি পরীক্ষায় মােট জিপিএ কমপক্ষে ৯.০০ হতে হবে।

সকল উপজাতীয় এবং পার্বত্য জেলার অ-উপজাতীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় মােট জিপিএ কমপক্ষে ৮.০০ হতে হবে। এক্ষেত্রে এককভাবে কোন পরীক্ষায় জিপিএ ৪.০০ এর কম হলে আবেদনের যােগ্য হবেন না।

সকলের জন্য এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় জীববিজ্ঞান -এ ন্যূনতম জিপি ৪.০০ থাকতে হবে।

বিভিন্ন ডেন্টাল কলেজের আসন সংখ্যা

কলেজ কোড

নাম

আসন সংখ্যা

৭১

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিট

১১০

৭২

ঢাকা ডেন্টাল কলেজ

৬০

৭৮

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিট

৫৯

৮০

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিট

৫৬

৮২

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিট

৫২

৭৬

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিট

৫২

৭৫

এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিট

৫২

৮১

শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিট

৫২

৭৯

রংপুর মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিট

৫২



ডেন্টাল ভর্তি প্রস্তুতি ২০২৪

প্রথমেই জেনে নেয়া যাক ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার মানবণ্টন

ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার মোট নম্বর ৩০০। এর মধ্যে ২০০ নম্বর থাকে এসএসসি ও এইচএসসি ফলাফলের উপর। আর এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত নম্বর ১০০। এর মধ্যে জীববিজ্ঞান ৩০, পদার্থ বিজ্ঞান ২০, রসায়ন ২৫, ইংরেজি ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিষয়ে ১০ নম্বরের প্রশ্ন থাকে।

ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ভিত্তিক মানবণ্টন

বিষয়

মান

জীববিজ্ঞান

৩০

রসায়ন

২৫

পদার্থ

২০

ইংরেজী

১৫

সাধারণ জ্ঞান – বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ

১০

মোট নম্বর

১০০


বিডিএস কোর্সে ভর্তির মেধা তালিকা প্রণয়ন

১/ লিখিত পরীক্ষায় (Written Exam) প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কর্তন করা হবে। এবং লিখিত পরীক্ষায় ৪০ বা এর কম নম্বরের কম প্রাপ্তরা অকৃতকার্য বলে গণ্য হবেন। অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের মেধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে না।

২/ এসএসসি এবং এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ; মােট ২০০ নম্বর হিসেবে নির্ধারণ করে নিম্নলিখিতভাবে মূল্যায়ন করা হবেঃ

৩/ এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-১৫ গুণ= ৭৫ নম্বর (সর্বোচ্চ)।

৪/ এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-২৫ গুণ = ১২৫ নম্বর (সর্বোচ্চ)।


SSC GPA  X 15

75 Marks

HSC GPA X 25

125 Marks


৫/ ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে ডেন্টাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় পূর্ববর্তী বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের সর্বমােট নম্বর (এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এর ১৫ গুণ + (যোগ) এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এর ২৫ গুণ + (যোগ) ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর) থেকে ০৫ নম্বর কর্তন করে এবং পূর্ববর্তী বছরের সরকারী মেডিকেল বা ডেন্টাল কলেজ/ইউনিট এ ভর্তিকৃত ছাত্র বা ছাত্রীদের ক্ষেত্রে মােট প্রাপ্ত নম্বর থেকে ৭.৫ নম্বর কর্তন করে মেধা তালিকায় তৈরি করা হবে।

৬/ লিখিত ভর্তি (Written Exam) পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং অনুচ্ছেদ ০৮ এ বর্ণিত পদ্ধতিতে এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের যােগফলের ভিত্তিতে মেধা তালিকা প্রণয়ন করা হবে।

২০২৪ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস/বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় পূর্ববর্তী বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের সর্বমােট  (Aggregated) নম্বর (এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-এর ১৫ গুণ+এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-এর ২৫ গুণ+ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর) থেকে ০৫ (পাচ) নম্বর কেটে এবং পূর্ববর্তী বৎসরের সরকারি মেডিকেল বা ডেন্টাল কলেজ/ইউনিট-এ ভর্তিকৃত ছাত্র/ছাত্রীদের ক্ষেত্রে মােট প্রাপ্ত নম্বর থেকে ১০ নম্বর কেটে মেধা তালিকা তৈরি করা হবে। লিখিত পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তর প্রদানের জন্য ০.২৫ নম্বর কর্তন করা হবে।

ডেন্টাল আবেদন ফি জমাদানের পদ্ধতি

আবেদন ফি জমা দেওয়া আগ পর্যন্ত অনালাইন আবেদন চুড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে না । ফি জমা দেয়ার পদ্ধতি ধাপে ধাপে বর্ণনা করা হল-

  • টেলিটকের Prepaid মােবাইল ফোনের Message অপশনে গিয়ে BDS লিখে, স্পেস দিয়ে User ID লিখে 16222 নম্বরে SMS পাঠাতে হবে।

    উদাহরণ: BDSYAXZCT লিখে 16222 নম্বরে Send করুন ।

  • ফিরতি SMS-এ একটি PIN, প্রার্থীর নাম এবং পরীক্ষার ফিস হিসেবে ১০০০/- (এক হাজার) টাকা কেটে রাখার তথ্য দিয়ে সম্মতি চাওয়া হবে। সম্মতি দেয়ার জন্য নিম্নোক্তভাবে 16222 নম্বরে SMS পাঠাতে হবে।

  • Message অপশনে গিয়ে BDS লিখে, স্পেস দিয়ে YES লিখে স্পেস দিয়ে PIN লিখে স্পেস দিয়ে পছন্দের সর্বোচ্চ চারটি Centre Code (১ নং সারণিতে) কমা (,) দিয়ে লিখে 16222 নম্বরে SMS প্রেরণ করতে হবে।

    উদাহরণ:  BDSYES 456789 15,16,22,51 Type করে Send করুন 16222 নম্বরে।

  • PIN নম্বরটি সঠিক ভাবে লেখা হলে উক্ত টেলিটকের Prepaid মােবাইল থেকে পরীক্ষার ফি বাবদ ১০০০/(একহাজার) টাকা কেটে রাখা হবে এবং প্রার্থীকে ফিরতি SMS-এ পরীক্ষা কেন্দ্রের নাম জানিয়ে একটি User ID ও Password দেওয়া হবে।

User ID ও Password ব্যবহার করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে হবে ।

 আবেদনের নিয়মাবলী

মেডিকেল ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে তাদের আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন । এমবিবিএস ভর্তি বিষয়ক ওয়েবসাইটের ঠিকানা http://dgme.teletalk.com.bd/bds/index.php আবেদনের নিয়মাবলী ধাপে ধাপে বর্ণনা করা হল-

  • ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ফরম পূরণ করতে হবে । কিভাবে ফরম পূরণ করতে হবে তাদের নির্দেশনা নিচে দেখো-

আবেদন ফরম পূরণের জন্য যে তথ্য প্রয়োজন হবে

১. ছবি: স্ক্যান করা অথবা ডিজিটাল ক্যামেরায় তােলা ছবি হতে হবে এবং মাপ হবে 300 x 300 pixel । তবে ছবির সাইজ কোনভাবেই 100 KB এর বেশী হবে না ।

২.স্বাক্ষর: একটি সাদা কাগজে গাঢ় করে স্বাক্ষর করে স্ক্যান করতে হবে । স্ক্যানকৃত ছবি মাপ 300 x 80 pixel হতে হবে । তবে ফাইলের সাইজ 60 KB এর বেশী হবে না ।

৩. ঠিকানা: প্রার্থীর জেলা, বর্তমান ঠিকানা, স্থায়ী ঠিকানা (জেলা, থানা/উপজেলা, পােস্ট কোড ইত্যাদি) ইংরেজীতে লিখতে হবে ।

৪. পছন্দের তালিকা: ভর্তিচ্ছু মেডিকেল কলেজগুলির নাম নিজের পছন্দের ক্রমানুসারে সাজিয়ে লিখে রাখতে হবে । কারণ পছন্দক্রম একবার টাকা দেওয়ার পর আর বদলানাে যাবে না। মেডিকেল কলেজসমূহের তালিকা বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া আছে ।

৫. এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার তথ্য

জাতীয় মেধাতালিকা ও প্রার্থী নির্বাচন

  • সরকারি মেডিকেল কলেজ-এ ভর্তির জন্য মুক্তিযোদ্ধা, উপজাতি ও অ-উপজাতিদের জন্য নির্ধারিত আসন বাদে অবশিষ্ট আসনে জাতীয় মেধায় প্রার্থী নির্বাচন করা হবে। এ ছাড়া যুক্তিযুক্ত সংখ্যক প্রার্থীদের মেধা ভিত্তিক অপেক্ষমান তালিকাও প্রকাশ করা হবে। সংরক্ষিত আসনসমূহে ও নিজ নিজ শ্রেণির দাবীদারদের মধ্য হতে মেধার ভিত্তিতে প্রার্থী নির্বাচন করা হবে। নির্বাচিত প্রার্থীর অর্জিত মেধাক্রম এবং কলেজ পছন্দের ভিত্তিতে প্রার্থী কোনো কলেজে ভর্তি হবেন তা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে নির্ধারণ করা হবে।

  • পরীক্ষার ফল প্রার্থীর মোবাইলে SMS মাধ্যমে জানানো হবে। এছাড়া স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে www.dgme.gov.bd এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে www.dghs.gov.bd হতে পরীক্ষার ফল জানা যাবে।

  • মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সংরক্ষিত ২% আসন মোট আসনের মধ্যে সীমিত থাকবে। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান এবং সন্তানদের সন্তানগণ আবেদন করতে পারবে।

  • সরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের অব্যবহিত পরের দিন বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। তবে ভর্তি পরীক্ষার ৪০ নম্বরের নিচে প্রাপ্ত পরীক্ষার্থীগণ কোনোভাবেই ভর্তির আবেদনের জন্য যোগ্য বিবেচিত হবে না।

বিভিন্ন নিউজ পোর্টালের মাধ্যমে জানা যায় যে ৪৮ ঘণ্টার মাঝে ফলাফল প্রকাশ করার চেষ্টা করা হয় । সেই অনুসারে……. তারিখে প্রকাশ করা হবে ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার ফল । তবে এবার বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার ফল নির্ধারিত তারিখে প্রকাশ করা না গেলেও ৭ দিনের মদ্ধেই ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ২০২৩ প্রকাশ করা হবে ।

বিডিএস পরীক্ষার রেজাল্ট দেখার নিয়ম / ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ২০২৩ দেখার নিয়ম

প্রথমে রেজাল্ট পিডিএফ আকারে প্রকাশ হতে পারে। সেক্ষেত্রে result.dghs.gov.bd ওয়েবসাইট এ গিয়ে রেজাল্টের পিডিএফ ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ২০২৩ মার্কশীট সহ দেখার নিয়ম

ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ২০২৩ মার্কশীট জন্য প্রথমেই আপনাকে এই ওয়েবসাইটে যেতে হবে; result.dghs.gov.bd/bds এবার সামনে আসা বক্সে (নিচের ছবিতে দেওয়া এরকম) আপনার বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার ‘রোল নম্বর’ লিখতে হবে এরপর ‘রেজাল্ট’ লেখা সবুজ বাটনে ক্লিক করতে হবে, নিচের অংশে আপনার রোল নম্বর, নাম, পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর, মেধা তালিকার নম্বর, মেধা তালিকা, এলোটেড কলেজ এবং অবস্থান সহ

বিস্তারিত রেজাল্ট দেখাবে।

ডেন্টাল ভর্তি পরিক্ষা রেজাল্ট ২০২৩

ডেন্টাল ভর্তি পরিক্ষা রেজাল্ট ২০২৩

ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ২০২৩ এসএমএস

যারা যারা পরীক্ষায় উত্তির্ন হয়েছেন তারা ২৪ ঘন্টার মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে মেসেজ পাবেন।

শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি:

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি হিসেবে প্রতিটি বিষয় ভালো করে রিভিশন দেওয়া জরুরী। কারণ একমাত্র ভালো রিভিশনই পারে পরীক্ষায় সঠিকভাবে প্রশ্নের উত্তর দিতে। মনে রাখতে হবে, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অনেক জটিল কিংবা প্যাচ মারা ইকুয়েশন অথবা মাথা ঘুরানো রিয়াকশন খুব একটা থাকে না। ভালো প্রিপারেশন থাকলে খুব সহজেই এগুলো উত্তর করা যায়। একে একে সবগুলো বিষয় নিয়ে কিভাবে প্রিপারেশন নিতে হবে সেটা বিস্তারিত ভাবে লিখছি-

বিগত বছরগুলো অ্যানালাইসিস করলে দেখতে পাবে—৭০ থেকে ৭৫ মার্কস পেলে একটা সিট নিশ্চিত করা যায়। তুমি হয়তো বায়োলজির একটা অধ্যায় পড়েছ। তারপর প্রশ্নব্যাংক থেকে শেষ ১০ বছরের প্রশ্ন সলভ করবে। দেখবে বেশির ভাগই পারছ। প্রশ্ন কিন্তু অত কঠিন হয় না। কঠিন লাগে কেন তাহলে? এর কারণ হলো, একসঙ্গে সব বিষয়ের পরীক্ষা দিতে হয়, তা-ও আবার আলাদা থাকে প্রশ্ন। ৬০ মিনিটে ১০০টি উত্তরের বৃত্ত ভরাট করতে হয়। তাই প্রশ্ন সহজ হলেও আমাদের কাছে কঠিন হয়ে যায়। এর জন্য চাই অনুশীলন আর সময়ের টাইম ম্যানেজমেন্ট। বিগত সালের প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন সচরাচর নিম্নোক্ত কয়েক জায়গা থেকে করা হয়।

  • সব রাইটারের বইয়ের চ্যাপ্টারের পেছনের MCQ প্রশ্ন

  • বিগত MAT-এর প্রশ্ন হুবহু

  • বিগত MAT-এ আসা প্রশ্নের ধরন/ওই টপিক রিলেটেড

  • HSC-এর বেসিক টপিক/প্রশ্ন, যা সৃজনশীল শেখার মাধ্যমে আয়ত্ত হয়।

  • বইয়ের বোল্ড লাইন ও সংজ্ঞা

  • পারসেন্টেজ, অনুপাত, পরিমাণ। 

  • গত কয়েক বছরের এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন।

  • আবিষ্কারকের নামের সঙ্গে রিলেটেড টপিক।

  • সাম্প্রতিক বেশ আলোচিত টপিক (যেমন—ভ্যাকসিন)

  • জীবনে বইয়ের কোনো এক চ্যাপ্টার যখন একবার রিডিং পড়েছিলে, তখন দু-এক লাইন চোখে পড়েছিল। পরে আর কখনো সেই লাইনগুলো পড়া হয়নি। ওই লাইনগুলোই তুলে দেওয়া হবে পরীক্ষায়। তোমার চেনা চেনা লাগবে, তবুও অচেনা থাকবে। আন্দাজে উত্তর করবে। অনেকের মিলবে, আবার অনেকের মিলবে না।

  • জীবনে দেখা হয়নি এমন প্রশ্ন (১, ২ বা ৩টা)

সাধারণ জ্ঞান: যেকোনো সাধারণ জ্ঞানের বই থেকে বাংলাদেশ বিষয়াবলি শেষবারের মতো দেখে নাও।সাধারণ জ্ঞান বিষয়ের ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক বিষয়াবলি, খেলাধুলা, বাংলাদেশের নদ-নদী, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, বাংলা সাহিত্য, বাংলাদেশ ও বিশ্বের প্রথম, বৃহত্তম, ক্ষুদ্রতম, বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিখ্যাত স্থাপত্য ও ভাস্কর্য, পুরস্কার ও সম্মাননা, বিশ্ব ইতিহাস এবং বিভিন্ন ধরনের দিবসসমূহ ভালোভাবে পড়বে

যে টপিকগুলি খুবই ভালো করে পড়বে:

•সাম্প্রতিক বিষয়াবলি

• খেলাধুলা

• বাংলাদেশের নদ-নদী

• বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ

• বাংলা সাহিত্য

• বাংলাদেশ ও বিশ্বের প্রথম, বৃহত্তম, ক্ষুদ্রতম

• বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিখ্যাত স্থাপত্য ও ভাস্কর্য

• পুরস্কার ও সম্মাননা

• বিশ্ব ইতিহাস

• দিবসসমূহ

ইংরেজি: বিগত বছরগুলোতে মেডিকেল ও ডেন্টাল প্রশ্নপত্রে যেসব বিষয়ের ওপর ইংরেজি প্রশ্নগুলো (যেমন Voice, Narration, Synonym, Antonym, Correction, Spelling, Preposition, Phrase & Idioms ইত্যাদি) সেগুলো সমাধান করার পাশাপাশি ভালো কোনো গ্রামার বই থেকে ওই বিষয়গুলো আরও বিস্তারিত পড়তে হবে।

ভর্তি পরীক্ষার জন্য ইংরেজির বেশি গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো হলো:

  • Synonym

  • Antonym

  • Voice change

  • Translation

  • Spelling

  • Vocabulary

  • Transformation

  • Phrase and Idioms

  • Preposition

পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান : পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান সমাধানের জন্য বিগত ১০ বছরের মেডিকেল এবং ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর বারবার রিভিশন দিতে হবে। এই কয়দিন শুধু বইয়ের দাগানো তথ্যগুলো রিভিশন দিতে হবে।

  • মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে রসায়ন অংশে নম্বর তোলাটাই বেশ কঠিন। প্রতিটি অধ্যায়ের পেছনের MCQ এবং বোর্ড প্রশ্নগুলো বারবার পড়তে হবে। এ ক্ষেত্রেও শর্ট সিলেবাসকে প্রাধান্য দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে। জৈব যৌগ এবং পর্যাপ্ত ধর্ম পারলেই মোটামুটি ১০-১১ নম্বর পাওয়া সম্ভব। 

  • প্রথম পত্রের ২য়, ৩য় ও ৪র্থ অধ্যায় থেকে বেশি প্রশ্ন আসে। আর দ্বিতীয় পত্রের ১ম, ৪র্থ, ৫ম অধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ। দ্বিতীয় পত্রের ৩য় অধ্যায়ের ছোট ছোট অঙ্কগুলো প্রায়ই আসে। রসায়ন অংশে ভালো করতে হলে রসায়ন দ্বিতীয় পত্রকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। প্রথমত, এই অংশে জৈব যৌগ আছে, যাতে অনেকেরই সমস্যা থাকে। বিভিন্ন নামধারী বিক্রিয়া, শনাক্তকারী বিক্রিয়া, অ্যালকোহল, এলডল ক্যানিজারো, ইলেকট্রোফাইল নিউকোফাইল, শেষ দিকের কিছু মুখস্থ তথ্য বারবার চর্চা করতে হবে। মেডিকেলে ভর্তির জন্য ফিজিক্সের পড়া তুলনামূলক কম হয়ে থাকে। ফিজিকসের ক্ষেত্রে শর্ট সিলেবাস পড়াই উত্তম। ১৫টা চ্যাপ্টার থেকে ২০টা প্রশ্ন আসবে। এর জন্য সূত্র, একক, মাত্রা, ছক, বৈশিষ্ট্য, কিছু ছোট ফর্মুলা ম্যাথ পড়লেই চলবে।

পরীক্ষার আগের দিন করণীয়: মূল পরীক্ষার আগে প্রিপারেশন শেষ করা জরুরি। পরীক্ষার ঠিক আগের দিনটিতে বেশি পড়ালেখা করার কোনো দরকার নেই। রিলাক্স মুডে থাকতে হবে। নিজের সিট কোথায় পড়ল, সেটা একবার দেখে আসাটা বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ পরীক্ষার দিন সকালে তাহলে আর টেনশনে পড়তে হবে না।

পরীক্ষার দিন করণীয়: যেখানে তোমার সিট পড়েছে, সেই হল খুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রবেশ করতে হবে। ধীর স্থির হয়ে বসে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন বলপয়েন্ট কলম, পেনসিল, ইরেজার, প্রবেশপত্র টেবিলে রেখে পরীক্ষক প্রশ্নপত্র তোমাকে দেওয়ার পর সাবধানে নির্ধারিত ঘরগুলো পূরণ করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই যেন ওএমআর ফরমের নির্ধারিত ঘরগুলো পূরণে ভুল না হয়, সেদিকে খুব সতর্ক থাকতে হবে।

বিস্তারিত জানতে এই ব্লগ টি চেক করতে ভুলবে না অবশ্যইঃ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি ও ১০ টি টিপস

প্রথম ৩০ মিনিটে ৫৮-৬০টি এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ফেলতে হবে। পরের ২০ মিনিটে বাকি ৪০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। শেষ ৮-১০ মিনিট রিভিশন এবং উত্তর না দেওয়া প্রশ্নগুলো সমাধান করার চেষ্টা করতে হবে। কোনো একটি প্রশ্ন না পারলে সেটির পেছনে অযথা সময় নষ্ট করা যাবে না।

বিশেষ সতর্কতা: একটা কথা মনে রেখো সবাই। স্বপ্ন কখনোই কিনতে পাওয়া যায় না। ১০০ টাকার একটা সাজেশন তোমার কাছে অনেক ভালো লাগবে, অস্থির লাগবে। কিন্তু সেটা তোমার স্বপ্ন কিনে দিবে না। মূল কাজ তোমারই!! সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই উচিত ভর্তি পরীক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া। এজন্য বিগত বছরের এডমিশন প্রশ্নব্যাংক এর উপর সর্বোচ্চ প্র‍্যাক্টিস থাকা জরুরি। এরজন্য অন্যতম সেরা একটি মাধ্যম হতে পারে চর্চা । পরীক্ষায় অংশ নিতে ইচ্ছুক সকল শিক্ষার্থীকে অগ্রীম শুভকামনা জানাই।

পরীক্ষার আগের দিন করণীয়:

মূল পরীক্ষার আগে প্রিপারেশন শেষ করা জরুরি। পরীক্ষার ঠিক আগের দিনটিতে বেশি পড়ালেখা করার কোনো দরকার নেই। রিলাক্স মুডে থাকতে হবে। নিজের সিট কোথায় পড়ল, সেটা একবার দেখে আসাটা বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ পরীক্ষার দিন সকালে তাহলে আর টেনশনে পড়তে হবে না।

পরীক্ষার দিন করণীয়:

যেখানে তোমার সিট পড়েছে, সেই হল খুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রবেশ করতে হবে। ধীর স্থির হয়ে বসে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন বলপয়েন্ট কলম, পেনসিল, ইরেজার, প্রবেশপত্র টেবিলে রেখে পরীক্ষক প্রশ্নপত্র তোমাকে দেওয়ার পর সাবধানে নির্ধারিত ঘরগুলো পূরণ করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই যেন ওএমআর ফরমের নির্ধারিত ঘরগুলো পূরণে ভুল না হয়, সেদিকে খুব সতর্ক থাকতে হবে।

প্রথম ৩০ মিনিটে ৫৮-৬০টি এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ফেলতে হবে। পরের ২০ মিনিটে বাকি ৪০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। শেষ ৮-১০ মিনিট রিভিশন এবং উত্তর না দেওয়া প্রশ্নগুলো সমাধান করার চেষ্টা করতে হবে। কোনো একটি প্রশ্ন না পারলে সেটির পেছনে অযথা সময় নষ্ট করা যাবে না।

কখনোই আত্মবিশ্বাস হারানো যাবে না, আবার অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসও কিন্তু ক্ষতি বয়ে আনতে পারে। সেইসাথে ভর্তি প্রস্তুতির দিকে বেশি জোর দিতে গিয়ে নিজে অসুস্থ হয়ে পড়লে কিন্তু চলবে না। ভালো পরীক্ষা দেওয়ার জন্য সবার আগে সুস্থ থাকাটা ভীষণ জরুরি।

সচরাচর জিজ্ঞাসা

Get it on Google PlayDownload on the app store

© 2024 Chorcha. All rights reserved.